Channel Booster


Channel Booster app makes it easy how to get views and subscribers for your channel and get monetised. You can use it completely free. So without wasting time download Channel Booster App now.

চ্যানেল বুস্টার অ্যাপ আপনার চ্যানেলের ভিউ, সাবস্ক্রাইবার এবং মনিটাইজেশন পেতে সহায়তা করে। এটি আপনি কোন চার্জ ছাড়াই সম্পূর্ণ ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারবেন। তাই সময় নষ্ট না করে এখনি ডাউনলোড করুন চ্যানেল বুস্টার অ্যাপ।

चैनल बूस्टर ऐप आपके चैनल को व्यूज, सब्सक्राइबर और मुद्रीकरण प्राप्त करने में मदद करता है। आप इसे बिना किसी चार्ज के बिल्कुल फ्री में इस्तेमाल कर सकते हैं। तो बिना समय बर्बाद किए अभी चैनल बूस्टर ऐप डाउनलोड करें।


সদ্য প্রকাশিত



YouTube এর রিলিজ করা সাম্প্রতিক কিছু আপডেট সম্পর্কে জানুন
Tuesday, 18th July, 2023

YouTube-এর নীতি আপডেট

মনিটাইজেশন

YouTube Analytics:
YouTube Analytics-এ নতুন ধরনের 'বিভিন্ন ফরম্যাট জুড়ে দর্শক' কার্ড: YouTube Analytics-এর কন্টেন্ট ট্যাবে, এখন দেখতে পাবেন যে আপনার ফিরে আসা দর্শকদের মধ্যে কতজন একাধিক ফরম্যাট দেখেন এবং কতটা বেশি পরিমাণে ওভারল্যাপ করেন। এটি ভিডিও, Shorts ও Live-এ উপলভ্য। 
আরও জানুন।
Studio-তে নতুন শপিং অ্যাফিলিয়েট মেট্রিক: কোনও কম্পিউটার বা মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করে প্ল্যাটফর্মের "উপার্জন করুন" ট্যাবে গেলে, আপনি এখন "অ্যাফিলিয়েট" মেনুর মধ্যে শপিং অ্যাফিলিয়েট সংক্রান্ত আরও ডেটা দেখতে পাবেন। এইসব নতুন মেট্রিক আপনার আনুমানিক উপার্জন, মোট বিক্রি, অর্ডারের সংখ্যা ও প্রোডাক্টের সামগ্রিক পারফর্ম্যান্সের ব্যাপারে একটি ইনসাইট দেবে। আরও জানুন

YouTube Shorts

  • ক্লিপ রিমিক্স করা: আপনি এখন Shorts-এর মধ্যে ক্লিপ রিমিক্স করতে পারবেন। রিমিক্স কন্টেন্ট ব্যবহার করে Shorts তৈরি করা সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন।

 

কমিউনিটি নির্দেশিকা

  • [জুন ২০২৩] ফিচার ব্যবহারের উপযুক্ত হওয়ার বিষয়ে আপডেট: জুলাই থেকে, YouTube কমিউনিটির সুরক্ষার স্বার্থে, চ্যানেলগুলি উন্নত ফিচারে নিজেদের অ্যাক্সেস বজায় রাখতে চাইলে তাদের কমিউনিটি নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে। যেসব চ্যানেলের অ্যাক্সেস সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তারা নিজেদের চ্যানেলের ইতিহাস তৈরি করে বা যাচাইকরণ সম্পূর্ণ করে অ্যাক্সেস ফেরত পেতে পারে। 

প্রোডাক্ট ও ফিচার সংক্রান্ত নীতি

  • [জুন ২০২৩] 'স্টোরি' ফিচার সম্পর্কিত আপডেট: ২৬ জুন, ২০২৩ থেকে YouTube-এ 'স্টোরি' ফিচারটি আর কাজ করবে না। 'স্টোরি' তৈরির বিকল্পটি ক্রিয়েটরদের কাছে আর উপলভ্য হবে না। 
আপনি কি ধরনের কন্টেন্ট YouTube এ মনিটাইজ করতে পারবেন?
Tuesday, 18th July, 2023

আপনার ভিডিও কন্টেন্ট মনিটাইজেশনের জন্য উপযুক্ত হিসেবে বিবেচিত হতে সেটির সব ভিজ্যুয়াল ও অডিও এলিমেন্ট ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহার করার অধিকার আপনার কাছে থাকতে হবে।

আপনার তৈরি করা কন্টেন্টের জন্য নির্দেশিকা:

  • YouTube-এর কমিউনিটি নির্দেশিকা মেনে চলুন।
  • আপনার ভিডিওর সব এলিমেন্ট নিজে তৈরি করুন। এখানে কিছু উদাহরণ দেওয়া হল:
    • দৈনিক ভ্লগ
    • হোম ভিডিও
    • কিছু নিজে করার (DIY) ভিডিও
    • টিউটোরিয়াল
    • আসল মিউজিক ভিডিও
    • আসল শর্ট ফিল্ম
  • আপনার তৈরি করা সব ভিজ্যুয়াল ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহার করার অধিকার আপনার আছে কিনা সেটি দেখুন।
  • এটি মনে রাখবেন যে বিজ্ঞাপনদাতারা বিজ্ঞাপনদাতা-ফ্রেন্ডলি কন্টেন্টে বিজ্ঞাপন দেখানোর ব্যাপারে বেশি আগ্রহী হতে পারেন।

আপনি তৈরি করেননি এমন কন্টেন্টের জন্য নির্দেশিকা:

এগুলি করলে কি আমি ভিডিও মনিটাইজ করতে পারব…?

আপনার কন্টেন্টের ধরন মনিটাইজ করা যায় কিনা এবং সেটি ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহার করার অধিকার যে আপনার আছে, তার প্রমাণ দিতে হয় কিনা তা জানতে নিচে দেখুন-

  • ভিডিওর অধিকার আপনার কাছে থাকলেই আপনার তৈরি করা কন্টেন্ট আপনি মনিটাইজ করতে পারবেন। আপনি কোনও মিউজিক লেবেলের সাথে চুক্তি করে থাকলে, সেটিতে উল্লিখিত সীমাবদ্ধতা বা শর্তাবলীর উপর নির্ভর করে সম্ভবত ভিডিও মনিটাইজ করতে পারবেন। আপনাকে হয়ত অ্যাটর্নির সাথে কথা বলতে হবে।

  • মনিটাইজ করা যায় এমন কন্টেন্ট তৈরি করতে অডিও বা ভিজ্যুয়াল এডিটিং সফ্টওয়্যার ব্যবহার করা যেতে পারে। লাইসেন্সের স্কোপ, সীমাবদ্ধতা ও ব্যবসায়িক অনুমতির উপর মনিটাইজেশন নির্ভর করবে। আপনি কোনও নমুনা বা লুপ ব্যবহার করে থাকলে, সেটি ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহার করা যাবে বলে লাইসেন্সে স্পষ্ঠভাবে উল্লেখ করা আছে কিনা দেখুন।

  • ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহার করা যাবে বলে লাইসেন্সের চুক্তিতে উল্লেখ করা থাকলে, আপনি রয়্যালটি-ফ্রি বা Creative Commons কন্টেন্ট মনিটাইজ করতে পারবেন। কখনও কখনও অধিকারের মালিক, ভিডিওতে ব্যবসায়িক কারণে কন্টেন্ট ব্যবহার করা হলে, কন্টেন্ট ক্রিয়েটরকে স্বীকৃতি দিতে হবে বলে দাবি করেন বা ব্যবহার করার লাইসেন্স কেনাকাটা করার প্রমাণ দিতে বলেন।

  • আপনি সেই ধরনের কন্টেন্ট মনিটাইজ করতে পারেন, কিন্তু আপনার কাছে অধিকারের মালিকের থেকে কন্টেন্ট যেকোনও সময় ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহার করা যাবে বলে স্পষ্টভাবে লিখিত অনুমতি থাকতে হবে।

  • কোনও ভিডিও গেম কন্টেন্ট মনিটাইজ করতে চাইলে, আপনার কাছে ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহার করার অধিকার থাকতে হবে, যা ভিডিও গেম প্রকাশকের দেওয়া লাইসেন্সের মাধ্যমে পাওয়া যাবে। কিছু ভিডিও গেম প্রকাশক আপনাকে সব ভিডিও গেমের কন্টেন্ট ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহার করার অনুমতি দিতে পারেন। তাদের লাইসেন্স সংক্রান্ত চুক্তিতে এই তথ্য কনফার্ম করা থাকতে পারে।

    লাইসেন্স সংক্রান্ত অন্যান্য চুক্তিতে, দীর্ঘক্ষণ ধরে শুধু গেমপ্লে দেখানো হয়েছে এমন ভিডিওর জন্য প্রকাশক ব্যবসায়িক অধিকার নাও দিতে পারেন। লাইসেন্স সংক্রান্ত শর্তাবলীর ক্ষেত্রে, ধারাভাষ্যে নিম্নলিখিত বিষয় না থাকলে, ভিডিও গেমের ব্যবহার খুব কম করতে হবে:

    • নির্দেশমূলক/শিক্ষামূলক গুরুত্ব
    • শুধুমাত্র প্রদর্শিত অ্যাকশনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকেছে
  • আপনার তৈরি করা সফ্টওয়্যার ইউজার ইন্টারফেস কন্টেন্ট মনিটাইজ করা হতে পারে, কিন্তু সেটিও নির্ভর করে সফ্টওয়্যারের লাইসেন্সে ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহারের অধিকার দেওয়া হয়েছে কিনা তার উপর।

    কখনও কখনও আপনাকে প্রকাশকের সাথে চুক্তি করতে অথবা লাইসেন্সিং ফি দিয়েছেন এমন প্রমাণ দেখাতে হতে পারে। ধারাভাষ্যে নিম্নলিখিত বিষয় না থাকলে, সফ্টওয়্যার ইউজার ইন্টারফেসের ব্যবহার খুব কম করতে হবে:

    • নির্দেশমূলক/শিক্ষামূলক গুরুত্ব
      • শুধুমাত্র প্রদর্শিত অ্যাকশনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকেছে
  • কোনও কন্টেন্ট সর্বজনীন ডোমেনে থাকার অর্থ হল যে সেটির কপিরাইটের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে বা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে অথবা সেটি আর প্রযোজ্য হয় না। আপনার ভিডিওর কন্টেন্ট সর্বজনীন ডোমেনে আছে তা প্রমাণ করতে পারলে, আপনি সেটি মনিটাইজ করতে পারবেন।

    মনে রাখবেন: এটি লাইসেন্সের স্কোপ, সীমাবদ্ধতা বা ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহারের অনুমতির উপর নির্ভর করে।

    সর্বজনীন ডোমেনের উপযুক্ত হওয়ার মাপকাঠি অনেক কারণে আলাদা আলাদা হতে পারে।

  • আপনি নিজে কিছু রেকর্ড করলেও, মূল কন্টেন্টের স্রষ্টা বা লেখকের কাছে সেটি ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহার করার অধিকার থাকতে পারে।

    কোনও টিভি শো, ডিভিডি বা সিডির রেকর্ডিং মনিটাইজ করতে, আপনাকে রেকর্ড করা অডিও বা ভিজ্যুয়াল এলিমেন্টের অধিকারের মালিকের থেকে লিখিত অনুমতি নিতে হবে।

  • আপনি কোনও কন্টেন্ট কিনে থাকলেও, সাধারণত মূল কন্টেন্টের স্রষ্টা বা লেখকের কাছে সেটি ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহার করার জন্য প্রয়োজনীয় অধিকাংশ অধিকার থাকে।

    আপনার কাছে কোনও থার্ড-পার্টি কন্টেন্ট ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহার করার জন্য অধিকার না থাকলে, সেটি আপনি কিনলেও মনিটাইজ করতে পারবেন না।

  • আপনি কোনও চার্জ ছাড়াই অনলাইনে কন্টেন্ট খুঁজে পেতে পারেন। তবে সাধারণভাবে, কন্টেন্টের প্রকৃত ক্রিয়েটর ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহার করার জন্য বেশিরভাগ অধিকার সংরক্ষণ করেন।

    আপনি এমন কন্টেন্ট মনিটাইজ করতে চাইলে, তা ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহার করার জন্য সব প্রয়োজনীয় অধিকার আপনার কাছে আছে কিনা দেখুন।

  • YouTube অডিও লাইব্রেরি থেকে নেওয়া মিউজিক আপনি মনিটাইজ করতে পারেন।

  • ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহারকে "ন্যায্য ব্যবহার" হিসেবে বিবেচনা করার সম্ভাবনা কম, কিন্তু ভিডিও মনিটাইজ করা এবং ন্যায্য ব্যবহারের সুবিধাকে কাজে লাগানো যেতে পারে। আরও তথ্য পেতে, YouTube-এ ন্যায্য ব্যবহার শীর্ষক নিবন্ধটি পড়ুন।

এই পৃষ্ঠায় দেওয়া তথ্যগুলি কেবলমাত্র ব্যবহারকারীদের বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্টভাবে জানানোর জন্য দেওয়া হয়েছে এবং এগুলি আইনি পরামর্শ হিসেবে গণ্য হবে না। শুধু উকিল বা আইনি উপদেষ্টার থেকে আপনার আইনি পরামর্শ নেওয়া উচিত।

ডিজিটাল মার্কেটিং কি? কিভাবে এটি করতে হয়?
Thursday, 20th July, 2023

ডিজিটাল মার্কেটিং এর পরিচয়ঃ

ডিজিটাল মার্কেটিং হলো মার্কেটিং প্রক্রিয়ার একটি অংশ যা ইন্টারনেট, মোবাইল ডিভাইস, সম্প্রচার মিডিয়া, এবং অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলির মাধ্যমে কোনও প্রোডাক্ট বা সেবা বা ব্র্যান্ডের প্রচার-প্রসার করে। এটি অনলাইন পাবলিসিটি, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেল মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO), পেই-পার-ক্লিক (PPC) বিজনেস এবং অন্যান্য সামগ্রিক প্রমোশনামূলক ক্যাম্পেইন গুলির উপযুক্ত সমন্বয় প্রযুক্তি সম্পর্কিত।

ডিজিটাল মার্কেটিং অনেকগুলি প্রযুক্তির সাথে যুক্ত হতে পারে, যার মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেল মার্কেটিং, বিজনেস ব্লগিং, ওয়েবসাইট অপটিমাইজেশন, কনটেন্ট মার্কেটিং, অনলাইন রেপুটেশন ম্যানেজমেন্ট, ভিডিও মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং, পেই-পার-ক্লিক বিজনেস, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এবং অন্যান্য সাধারণভাবে ব্যবহৃত মার্কেটিং প্রযুক্তির জন্য প্রস্তুতি থাকতে পারে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর উদ্দেশ্যঃ

ডিজিটাল মার্কেটিং এর মূল উদ্দেশ্য হলো মার্কেট সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের সাথে গ্রাহকের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা এবং প্রোডাক্ট বা সেবা কে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করে উচ্চতর বিক্রয় ও সেবা প্রাদানের মাধ্যমে ব্যবসায়ের লাভ বৃদ্ধি করা। এটি স্বাভাবিকভাবে অবদান রেখেই ব্যবসায়ের ডিজিটাল প্রেজেন্স ও অনলাইন গ্রাহক প্রাপ্তি বৃদ্ধি করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। এটি সাধারণভাবে নিম্নলিখিত উদ্দেশ্যগুলি প্রায় সমন্বিত করে:

  1. গ্রাহক প্রাপ্তি (Customer Acquisition): ডিজিটাল মার্কেটিং এর মূল উদ্দেশ্যের মধ্যে গ্রাহক প্রাপ্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রচার-প্রসারের মাধ্যমে ব্যবসায়ের লক্ষ্য নতুন গ্রাহকের কাছে পৌঁছানো এবং তাদের আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করা যাতে তারা কোম্পানির প্রোডাক্ট বা সেবা কে সন্নিবেশক ক্রেতা হিসেবে প্রস্তুত হন।

  2. গ্রাহক মূল্যবানীকরণ (Customer Engagement): ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবসায়ের গ্রাহক সাথে সম্পর্ক স্থাপন এবং মূল্যবানীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেল মার্কেটিং, এবং অন্যান্য মাধ্যমে গ্রাহকের সাথে সক্রিয় ও সাম্প্রদায়িকভাবে সাংযোগ করা হয়, যা তাদের মুল্যবান করে এবং কোম্পানির সাথে সাম্প্রদায়িকভাবে যুক্ত করে।

  3. ব্র্যান্ড প্রচার (Brand Awareness): ডিজিটাল মার্কেটিং দ্বারা ব্যবসায়ের ব্র্যান্ড প্রচার করা হয়। এই প্রক্রিয়াযর মাধ্যমে ব্যবসায়ের ব্র্যান্ড সন্তুষ্টি এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়।

ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে সফলতা কেমন?

ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে সফলতা সম্পর্কে বলা যায় যে, এটি প্রচুর সাফল্য অর্জন করেছে এবং এটি আরও বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করছে। ডিজিটাল মার্কেটিং একটি দ্বিগুণ মাধ্যম, যা ব্যবসায়ের লক্ষ্য গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করে এবং তাদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে। এই কারণে ব্যবসায়ের লাভ বৃদ্ধির উপায় হিসেবে ডিজিটাল মার্কেটিং প্রচুর গুরুত্ব প্রাপ্ত হয়েছে। কিছু কারণ নিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে সফলতা সম্পর্কে কথা বলা যায়:

  1. সাম্প্রদায়িকভাবে টার্গেট করা: ডিজিটাল মার্কেটিং প্রযুক্তিগুলি ব্যবসায়ের টার্গেট পাবলিকের দিকে সম্প্রদায়িকভাবে নির্দিষ্ট করার সুযোগ সরবরাহ করে। এটি অনলাইন প্রচার-প্রসার এর মাধ্যমে বিজনেসের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য প্রচার করতে সহায়তা করে, যাতে ব্যবসায়ের কাস্টমার গ্রুপের জন্য বিশেষভাবে প্রোডাক্ট বা সেবা উপলব্ধ করা যায়।

  2. প্রয়োজনীয় ডেটা এবং পরিসংখ্যান: ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবসায়ের সাথে প্রয়োজনীয় ডেটা এবং পরিসংখ্যান উপাত্ত করার সুবিধা রয়েছে। এই উপাত্ত অ্যানালাইসিসের মাধ্যমে ব্যবসায়ের উদ্দেশ্য গ্রাহকদের পছন্দ এবং মার্কেটিং সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা যায়, যা কাস্টমারের সাথে সম্পর্ক করার জন্য দরকারী পরিকল্পনা ও প্রচার-প্রসার ক্যাম্পেইনে ব্যবহৃত হয়।

  3. ক্রিয়েটিভিটি এবং ইনভেস্টমেন্ট: ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে, ব্যবসায়ের ক্রিয়েটিভিটি অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং সেই সাথে বিজ্ঞাপন বা প্রচার-প্রসারের জন্য মূল্যবান সামগ্রী তৈরি করার সুযোগ পাওয়া যায়। 

এই সেক্টরে কারা কাজ করতে পারে?

ডিজিটাল মার্কেটিং একটি ব্রহ্মসংস্কার বিষয় যেখানে বিভিন্ন পেশাদার এবং ক্যারিয়ার উদ্দেশ্যের লোকেরা কাজ করতে পারে। ডিজিটাল মার্কেটিং নেটওয়ার্ক বিশ্বব্যাপী বিস্তার লাভ করেছে। নিচে কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো যারা ডিজিটাল মার্কেটিং ক্ষেত্রে কাজ করতে পারে:

  1. ডিজিটাল মার্কেটিং স্পেশালিস্ট: এই ব্যক্তির কাজ হলো প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের বিপণন এবং বিক্রয় বৃদ্ধি করার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করা, সাইট অপ্টিমাইজেশন, মার্কেটিং অভিযানের প্রকাশনা এবং প্রফাইলিং সহ অন্যান্য কাজ করা।

  2. সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার: সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজাররা কোম্পানির সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলগুলির মার্কেটিং ক্যাম্পেইন পরিচালনা করতে সাহায্য করে। তারা প্রোফাইলে নতুন পোস্ট তৈরি করে, উপযুক্ত সময়ে পোস্ট সমূহ প্রকাশ করে, উত্তর দেয় এবং সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে কার্যক্রম পরিচালনা করে।

  3. কনটেন্ট মার্কেটার: কনটেন্ট মার্কেটাররা উচ্চ মানের সেরা কনটেন্ট তৈরি করে যা কোম্পানির টার্গেট পাবলিকের প্রস্তুতি এবং মার্কেটিং গোলকসেট সাথে মিলে। এটি ব্র্যান্ডের অধীনে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট তৈরি করতে সম্পর্কিত হতে পারে, যেমন ব্লগ পোস্ট, ইমেইল মার্কেটিং কনটেন্ট, ভিডিও, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ইত্যাদি।

  4. এসইও (SEO) স্পেশালিস্ট: এই পেশাদাররা ওয়েবসাইটের জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করে যাতে ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিন মোটরে উপরে প্রদর্শিত হয়।

আশাকরি বিষয়টি আপনার ক্লিয়ার ভাবে বুঝতে পেরেছেন।

ইউটিউব থেকে আয় করার সেরা কিছু উপায়। যা আপনি অনুসরণ করতে পারেন।
Saturday, 15th July, 2023

পৃথিবীব্যাপী প্রায় ২৫০ কোটির বেশি মানুষ নিয়মিত ইউটিউবে ভিডিও দেখে থাকেন। প্রত্যেক মিনিটে এই প্ল্যাটফর্মে ৫০০ ঘণ্টা ভিডিও স্ট্রিম হয়। ইউটিউব এখন শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়। সে কথা এখন অনেকেরই জানা। আয়ের অন্যতম মাধ্যম ইউটিউব। জনপ্রিয় এই ভিডিও প্ল্যাটফর্ম থেকে ইউটিউবাররা মাসে কয়েক লাখ মার্কিন ডলার পর্যন্ত রোজগার করে থাকেন। বেকারত্ব থেকে মুক্তি পেয়েছে অনেক ছেলেমেয়ে। চাইলে আপনিও শুরু করতে পারেন। ঘরে বসেই মাসে ইনকাম করতে পারবেন লাখ লাখ টাকা। তাহলে জেনে নিন ইউটিউব থেকে আয় করার সেরা কিছু উপায়-

ইউটিউব থেকে আয় করতে আপনাকেঃ
ইউটিউব থেকে আয় করতে আপনাকে কড়া প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে হবে। প্রথমেই আপনার ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে স্থায়ী দর্শক তৈরি করতে হবে। তবেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন। প্রথমেই আপনাকে কিছু বিষয়ে নজর দিতে হবে। শুধু ভিডিও আপলোড করলেন আর আয় করে ফেললেন বিষয়টা মোটেই এমন নয়। এজন্য আপনাকে নানান বিষয় বুঝে শুনে কাজ করতে হবে। পার করতে হবে কয়েকটি রুলস এবং ফর্মালিটিস।

১. ভিডিও তৈরির আগে আপনার ভিডিও কোন দর্শকদের কাছে নিয়ে যেতে চান তা আগে ঠিক করুন। এরপরে সেই দর্শকদের জন্য ভিডিও তৈরি করে দর্শকদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে। ভিডিও তৈরির আগে উপযুক্ত বিষয় পছন্দ করুন। শুধুমাত্র সেই বিষয়ের উপরেই ভিডিও তৈরি করুন। এর ফলে দর্শকদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে সুবিধা হবে। সেই নির্দিষ্ট বিষয়ে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করুন।

২. একটি ভালো ক্যামেরা, আলো, মাইক্রোফোন আপনার ভিডিয়োকে আরও প্রফেশনাল লুক দিতে পারে। নিয়মিত ভিডিও পোস্ট করতে হবে। প্রত্যেক ভিডিওর সঙ্গে দিতে হবে কি-ওয়ার্ড। নিজের ভিডিও থেকে সোশ্যাল মিডিয়া ও নিজের ব্লগিং ওয়েবসাইটে ট্র্যাফিক নিতে হবে।

৩. ইউটিউব থেকে রোজগারের জন্য চ্যানেলে অন্তত এক হাজার সাবস্ত্রাইবার থাকতে হবে। সাবস্ক্রাইবার প্রতি আপনি কোনো টাকা পাবেন না। তবে যত বেশি সাবস্ক্রাইবার থাকবে রোজগারের সম্ভাবনা ততই বেশি হবে। যেমন ধরুন আপনি যদি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রমোশনাল কাজ করতে চান তবে আপনার চ্যানেলে যত বেশি সাবস্ক্রাইবার থাকবে তত বেশি রোজগার করতে পারবেন।

৪. এক হাজার সাবস্ক্রাইবারের সঙ্গেই আয় শুরুর জন্য বিগত ১২ মাসে প্রয়োজন হবে চার হাজার ঘণ্টা ভিউ। যত বেশি ভিউ পাবেন রোজগারের সম্ভাবনা ততই বাড়তে থাকবে। তবে আপনার ভিডিওর উপরে দেখানো লিঙ্কে ক্লিক করে কেউ সম্পূর্ণ বিজ্ঞাপন দেখলে তবেই রোজগার হবে ইউটিউব থেকে।

৫. তবে শুধুমাত্র ইউটিউবে দেখানো বিজ্ঞাপন থেকে রোজগার করে জীবন চালানো প্রথমে কঠিন হতে পারে। এই কারণে সঙ্গে অন্য কাজ রাখা প্রয়োজন। নিজের চ্যানেলের ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য YouTube Partner Program এ যোগ দিতে পারেন। প্রত্যেক ভিডিও থেকে রোজগারে একটি অংশ কনটেন্ট ক্রিয়েটরের সঙ্গে ভাগ করে নেয় এই ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম।

৬. YouTube Studio থেকে Monitization বিভাগে গিয়ে চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেখানো সিলেক্ট করতে পারবেন। এখানেই ড্যাশবোর্ডে মাসে কত রোজগার হয়েছে দেখে নিতে পারবেন।

৭. একবার প্ল্যাটফর্ম থেকে রোজগার শুরু করলে আপনি YouTube Premium -এ সাইন আপ করতে পারবেন। এই ফিচারে আপনার সাবস্ক্রাইবাররা চাইলে অতিরিক্ত খরচ করে বিজ্ঞাপন ছাড়াই আপনার চ্যানেলের ভিডিও দেখতে পাবে। সাবস্ক্রাইবারদের থেকে রোজগারের দ্বিতীয় পথ হিসাবে কাজ করবেএই YouTube Premium।

৮. বিজ্ঞাপন ছাড়াও আয়ের আরও কিছু উপায় রয়েছে। যেমন ধরুন- মার্চেনইডাইস।টি-শার্ট, কফি মগ, ব্যাগ সহ নিজস্ব মার্চেনডাইস বিক্রি করে ইউটিউব থেকে রোজগার করতে পারবেন। প্রত্যেক ভিডিওর নিচে রাখতে পারবেন মার্চেনডাইস সেলফ।

৯. ফ্যান ফান্ডিংকরতে পারেন। একবার আপনার চ্যানেলে কিছু দর্শক এসে গেলে Patreon, Tipee অথবা Buy Me A Coffee এর মতো ওয়েবসাইট থেকে দর্শকদের কাছ থেকে রোজগার করতে পারবেন।

১০. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আপনার রোজগার আরও বাড়তে পারে। তবে আপনার সঙ্গে কোন ব্র্যান্ডের গাঁটছড়া থাকলে তা ভিডিওতে জানিয়ে দিন।

১১. ভিডিও লাইসেন্সিং করতে পারেন। মনে করুন আপনার কোনো ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে গেলে বিভিন্ন মিডিয়া সেই ভিডিও স্ট্রিম করার জন্য আপনাকে অতিরিক্ত টাকা দেবে। এটাই হচ্ছে ভিডিও লাইসেন্সিং।

১২. চ্যানেল মেম্বারশিপ করতে পারেন। চ্যানেলের মেম্বার হলে দর্শকরা অতিরিক্ত কনটেন্ট পেয়ে যাবেন। এইভাবে বাড়বে আপনার রোজগার। এ ছাড়াও চ্যাট পেমেন্টের মাধ্যমেও ইউটিউব থেকে ভালো আয় করা যায়। যেমন- লাইভ স্ট্রিম। এর সুপার চ্যাটের মাধ্যমে দর্শকদের কাছ থেকে রোজগার করতে পারবেন।

আমরা সবসময় আপনার চ্যানেলের অর্গানিক ভিউ ও সাবস্ক্রাইব পেতে সহায়তা করে থাকি। আপনার Youtube চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব, ভিউ এবং ওয়াচ টাইম বাড়াতে এখনই ডাউনলোড করুন Channel Booster সফটওয়্যার।

ইউটিউব মার্কেটিং কি? এটি কিভাবে করতে হয়? এতে আমাদের লাভ কি?
Sunday, 16th July, 2023

অনলাইন মার্কেটিং জগতের ধারণা পাল্টে দিয়েছে ইউটিউব। কয়েক বছর আগে যদি বলা হতো টিভিতে বিজ্ঞাপনই পণ্য প্রচারের অন্যতম সেরা মাধ্যম তখন তা বিশ্বাসযোগ্য ছিল। বর্তমান ডিজিটাল দুনিয়াতে মার্কেটিং এর জন্য ইউটিউব বরং অন্যসব মাধ্যমকে পেছনে ফেলে দিয়েছে। তাই এই সময়ে ইউটিউব মার্কেটিং ব্যবসা প্রচার ও প্রসারের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

পূর্বের মার্কেটিং ধারণায় গ্রাহকের ফিডব্যাক পাওয়ার ব্যাপার ছিলো খুবই সময় সাপেক্ষ। কিন্ত ইউটিউব মার্কেটিং এর ফলাফল খুবই কম সময়ে পাওয়া যায়। গ্রাহকের সাথে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করেছে ইউটিউব মার্কেটিং। ইউটিউব মার্কেটিং এর মাধ্যমে যে কেউ চাইলেই কিছু সঠিক নিয়ম অনুসরণের মাধ্যমে তার ব্যবসা বা পণ্যের মার্কেটিং করতে পারে।

 
ইউটিউব মার্কেটিং কি?
সাধারণত মার্কেটিং হলো কোন পণ্যের প্রচারণা। ইন্টারনেট তথা অনলাইনে যে মার্কেটিং করা হয় তা ডিজিটাল মার্কেটিং নামে পরিচিত। আর ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্যতম শাখা হলো ইউটিউব মার্কেটিং।

অতএব এ কথা বলা যায় যে, ইউটিউব চ্যানেল এ ভিডিও আপলোড এর মাধ্যমে কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পণ্য অথবা সেবার প্রচারণা করার নামই হলো ইউটিউব মার্কেটিং।

এটি দুই ধরণের হতে পারে। নিজে পণ্য বা সেবা সম্পর্কে ভিডিও তৈরি করে আপলোড দিয়ে প্রচার করা অথবা অন্য কারো দ্বারা টাকার বিনিময়ে চাহিদা মাফিক প্রচারণা করানো। সরাসরি ইউটিউব এ টাকা প্রদানের মাধ্যমে ইউটিউব মার্কেটিং করা যায়।

 
কিভাবে করবেন ইউটিউব মার্কেটিং?
এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, ইউটিউব মার্কেটিং কি জানা হয়ে গেলেও কিভাবে করবেন ইউটিউব মার্কেটিং তার ব্যাপারে সঠিক ধারণা না থাকলে ইউটিউব মার্কেটিং করা সম্ভব হবে না। ইউটিউব মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে কতগুলো ধাপ পার হতে হবে। আর তা হলো-

 
নিজের ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করুন
ইউটিউব গুগলের একটি প্রতিষ্ঠান। তাই প্রথমে একটি গুগল অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। যা আমাদের কাছে জিমেইল অ্যাকাউন্ট নামে পরিচিত। এই জিমেইল অ্যাকাউন্ট দিয়ে আপনি সরাসরি ইউটিউব এ সাইন ইন করতে পারবেন। আপনার ব্যবসার ধরণ অনুযায়ী আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারেন।

 
আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি সেটাপ করুন
গুগল অ্যাকাউন্ট এ সাইন ইন করার পর আপনি ইউটিউব এ আপনার ব্র্যান্ড অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারেন। ব্র্যান্ড অ্যাকাউন্ট এর মাধ্যমে আপনি চাইলে পরবর্তীতে চ্যানেলের ইউজার নেম, ব্র্যান্ড নেম ইত্যাদি এডিট করতে পারবেন।

অতপর মাই চ্যানেল অপশনে ক্লিক করুন। তারপর আপনার পছন্দমত বা প্রয়োজনমত নাম দিয়ে ক্রিয়েট চ্যানেল এ ক্লিক করুন। তখন আপনি ব্র্যান্ড অ্যাকাউন্ট করার অনুমতি পাবেন। এরপর আপনি ব্র্যান্ড নেম দিয়ে অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।

তারপর আপনার ব্র্যান্ড অ্যাকাউন্টকে আপনার ব্যবসার ধরণ মতো করে সাজাতে পারেন। আপনি চ্যানেল আইকন ও চ্যানেল আর্ট এর মাধ্যমে আপনার ব্র্যান্ড সম্পর্কে ধারণা দিতে পারবেন। যাতে অন্য ইউজাররা আপনার চ্যানেল ও ব্র্যান্ড সহজে চিনতে ও মনে রাখতে পারে।

 
আপনার ব্যবসা সম্পর্কিত ভিডিও তৈরি করুন
আপনার ইউটিউব চ্যানেল তৈরি ও ব্র্যান্ড সেটাপ করার পরবর্তী ধাপ হচ্ছে আপনার ব্যবসা সম্পর্কিত ভিডিও তৈরি করা। মূলত এই ভিডিও তৈরির মাধ্যমে ইউটিউব মার্কেটিং এর প্রথম ধাপ শুরু হয়। ভিডিও তৈরিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ, এই ভিডিও’র মাধ্যমে গ্রাহকের সামনে আপনার পণ্য বা সেবাটি উপস্থাপন করবেন।

ভিডিও তৈরির ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমেই পরিকল্পনা সাজাতে হবে। ভিডিও এমনভাবে তৈরি করতে হবে যাতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দর্শক আগ্রহ নিয়ে আপনার আপলোড করা ভিডিও দেখে। তারপর পণ্য বা সেবা ক্রয়ের ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে থাকে।

মনে রাখতে হবে, স্বল্প সময়ের ভিডিওর মধ্যে যেন সবাই আপনার ব্যবসা তথা পণ্যের ব্যাপারে বিস্তারিত ধারণা লাভ করতে পারে সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। গবেষণায় দেখা গেছে, ইউটিউব ভিডিওর ক্ষেত্রে কম দৈর্ঘের ভিডিও সর্বাধিক জনপ্রিয়।

আপনার ব্যবসা সম্পর্কিত ভিডিও তৈরিতে সৃজনশীলতার সাথে ভিডিও তৈরি করতে হবে। যাতে ভিডিও কনটেন্ট ইউনিক ও এভারগ্রীন হয়ে থাকে।

 
আপনার ভিডিওগুলো এসইও অপ্টিমাইজড করুন
যত বেশি আপনার ভিডিও ভিউ হবে ততবেশি লাভ আসবে আপনার ইউটিউব চ্যানেল তথা ভিডিও থেকে। এই বিষয়টি সব সময় খেয়াল রাখতে হবে।

এসইও হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। আপনার ওয়েবসাইট অথবা ভিডিও কে প্রথম দিকে আনার জন্য যে কৌশল অবলম্বন করা হয় তাই এসইও।

সাধারণত আমরা গুগল বা ইউটিউব এ কোন বিষয়ে জানতে চাইলে টপিক লিখে সার্চ দিয়ে থাকি। যার কনটেন্ট বা ভিডিও যত বেশি টপিক সম্পর্কিত হয় সেসব আর্টিকেল অথবা ভিডিওগুলো আমাদের সামনে সবার আগে আসে। আর এই সামনে আসার প্রক্রিয়াই হলো এসইও তথা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। তাই আপনার ইউটিউব ভিডিওগুলো এসইও অপ্টিমাইজড করতে হবে।

আপনার ভিডিওগুলো এসইও অপ্টিমাইজ করার জন্য সঠিক ভাবে টাইটেল, ডেসক্রিপশন, ক্যাটাগরি, থাম্বনেইল, ট্যাগ, কীওয়ার্ড ইত্যাদি নির্বাচন করতে হবে। এর ফলে আপনি ন্যাচারাল ও ইউনিক দর্শক পাবেন। পাশাপাশি খুব দ্রুত সময়ে আপনার ভিডিওটি অধিক সংখ্যক ভিউ করবে। আপনার ভিডিওগুলো এসইও অপ্টিমাইজ করার জন্য ইউটিউব এসইও সম্পর্কে আরো জেনে নিতে পারেন।

ভিডিওগুলো ইন্টারনেটে প্রমোট করুন
যে কোন ব্যবসার পণ্য বা সেবার উৎপাদন করার পর আপনাকে প্রচারণার দিকে মনোযোগী হতে হবে। তেমনি আপনার ইউটিউব চ্যানেল ভিডিও তৈরি ও আপলোড করার পর আপনাকে অধিকতর মার্কেটিং এ নজর দিতে হবে। যেহেতু আপনার ব্যবসার চ্যানেল অনলাইন তথা ইন্টারনেটকেন্দ্রিক, তাই ভিডিওগুলো ইন্টারনেটে প্রমোট করুন। এ জন্য আপনাকে কিছু অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করতে হবে।

যেমন: ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, টুইটার, ব্লগ, ওয়েবসাইট ইত্যাদি।

এই সব মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে আপনি ভিডিওগুলো ইন্টারনেটে প্রমোট করতে পারেন। আপনার ভিডিও ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, টুইটার, ব্লগ, ওয়েবসাইট এ শেয়ার দিতে পারেন। যাতে করে এইসব মাধ্যম থেকে আপনার চ্যালেনে দর্শক আসে। এভাবেই আপনার ভিডিওগুলো ইন্টারনেটে প্রমোট করুন। তখন খুব দ্রুত সময়ে আপনার চ্যানেল এ সাবস্ক্রাইবার এবং ভিডিওর দর্শক বৃদ্ধি পাবে।

ইউটিউব অ্যাডস এর ব্যবহার করুন
ইউটিউব এ ভিডিও দর্শক বাড়ানোর অন্যতম মাধ্যম হলো ইউটিউব অ্যাডস। কম সময়ে কম খরচে সুনির্দিষ্ট দর্শক পেতে আপনি ইউটিউব অ্যাডস এর ব্যবহার করুন।

সাধারণত ইউটিউব এ কোন ভিডিও দেখার সময় মাঝে মাঝে বিভিন্ন অ্যাডস দেখতে পাই। ইউটিউব এ টাকার বিনিময়ে আপনার চ্যানেল ও ভিডিওগুলো অ্যাড আকারে প্রমোট করতে পারেন। ইউটিউব অ্যাডস এর ব্যবহার করে আপনি খুব দ্রুত সময়ে কাঙ্খিত দর্শক পেতে পারেন।

 
ইউটিউব মার্কেটিং করে কি লাভ হবে?
ইউটিউব মার্কেটিং করে কি লাভ হবে এই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর পাওয়ার আগে আপনি কিছু তথ্য জেনে নিতে পারেন। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী প্রায় দুই বিলিয়ন ইউজার প্রতিমাসে কমপক্ষে একবারের জন্য হলেও ইউটিউব এ ভিডিও দেখে। ইউটিউব হচ্ছে দ্বিতীয় স্যোশাল মিডিয়া প্লাটফর্ম যাতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের প্রায় ঊনআশি ভাগের ইউটিউব এ অ্যাকাউন্ট রয়েছে।

গুগলের পর ইউটিউব হচ্ছে সর্বাধিক জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন। ইউটিউবে পৃথিবীর একশো এর অধিক দেশের প্রায় আশিটি ভাষার কনটেন্ট রয়েছে। প্রতিদিন প্রায় এক বিলিয়নের বেশি লোক ইউডিটউব এ ভিডিও দেখে। প্রায় ষাট ভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ইউডিটউব চ্যানেল ও ভিডিওর মাধ্যমে তাদের মার্কেটিং পরিচালনা করে। প্রায় সত্তর ভাগের বেশি ইউজার মোবাইল ডিভাইস থেকে ইউটিউবে ভিডিও দেখে। প্রায় নব্বই ভাগ লোক ব্যবসার ব্র্যান্ড ও পণ্য সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা ইউটিউব থেকে পেয়ে থাকে। প্রতি মিনিটে প্রায় তিনশত ঘণ্টার ভিডিও আপলোড হয় ইউটিউবে। প্রায় ষাট ভাগ লোক তথ্য প্রাপ্তির জন্য আর্টিকেল পড়ার চাইতে ভিডিও দেখাকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। তাই বুঝা গেল বর্তমানে ইউটিউব মার্কেটিং করে অবশ্যই লাভ হবে।

আপনারা যদি খেয়াল করে দেখেন, পত্রিকা, টিভিতে বিজ্ঞাপনের মতো এখন ইউটিউব, ফেসবুক, গুগলে বিজ্ঞাপন দেয়া হচ্ছে। আমরা পত্রিকা, টিভির বিজ্ঞাপন গুলোই অনলাইন প্লাটফর্ম এ দেখছি। তাই এ কথা বলা যায় যে, আগামির পৃথিবীতে ব্যবসার পণ্য প্রচার-প্রসার ও বিক্রিতে ইউটিউব মার্কেটিং করে লাভ হবে।

 
ইউটিউব মার্কেটিং এর ৭টি লাভ
উপরের আলোচনার সত্যতা নিরুপণের জন্য ইউটিউব মার্কেটিং এর ৭টি লাভ সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন।

আমরা যদি পণ্যের মার্কেটিং এর মাধ্যম গুলোর দিকে তাকাই, দেখা যাবে টিভি, পত্রিকাতে কখনো বিজ্ঞাপন কমে না। তেমনি ভাবে একই পণ্যের অসংখ্য স্টোর থাকলেও ব্যবসা কমছে না বরং বাড়ছে। তাই অনলাইন মাধ্যমে পণ্যের প্রসার করতে ইউটিউব মার্কেটিং কখনো কমবে না। কারণ, সবাই এখন অনলাইন কেনাকাটায় আগ্রহী হচ্ছে। এর পাশাপাশি দিন দিন নতুন নতুন দর্শক তথা গ্রাহক তৈরি হচ্ছে। তাই বলা যায় যে, নতুন গ্রাহক পাওয়ার ক্ষেত্রে ইউটিউব মার্কেটিং এর চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ভবিষ্যতে আরো তা বেশি হবে।

দেখা যায় যে, নানা ভিডিও কনটেন্ট ভাইরাল হয়ে থাকে। তা যে কোন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে হতে পারে। আপনার ভিডিও যদি কোয়ালিটি কনটেন্ট হয় এবং গ্রাহকের জন্য প্রয়োজনীয় হয়ে থাকে, তখন অন্যদের শেয়ার করার মাধ্যমে কোন ধরণের পেইড মার্কেটিং ছাড়া আপনার ইউটিউব চ্যানেলের মার্কেটিং হতে থাকবে। যার ফলে আপনার ব্যবসা প্রসার লাভ করবে।

আপনার ইউটিউব চ্যানেলে যদি বেশি পরিমাণে দর্শক থাকে, দেশে বিদেশের যে কোন পণ্যের প্রচারে আপনার ইউটিউব চ্যানেল ব্যবহার করে আয় করতে পারেন। যদি লক্ষ্য করে দেখেন, পৃথিবীর সকল প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে।  সেখানে তারা তাদের পণ্য বা সেবার মার্কেটিং করে থাকে। আর এভাবেই আপনার ব্যবসার ব্র্যান্ড ভ্যালু বৃদ্ধি পাবে।

গুগল ও ইউটিউব অ্যাড থেকে আপনি অর্থ আয় করতে পারেন। আপনার ভিডিও তে ইউটিউব অ্যাড প্রদানের মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারেন।

আপনার ভিডিওর যদি একটি নিদির্ষ্ট সংখ্যক দর্শক থাকে, ইউটিউব আপনাকে অর্থ প্রদান করবে।

ফেসবুকে যেমন ফলোয়ার ইউটিউবে তেমনি সাবস্ক্রাইবার। যার যতো বেশি সাবস্ক্রাইবার তার ইউটিউব মার্কেটিং তত লাভজনক ও সহজ। সাবস্ক্রাইবারকে আমারা লয়্যাল গ্রাহক হিসেবে বিবেচনা করতে পারি। যে স্টোর এর পণ্য ভালো লয়্যাল গ্রাহক সবসময় সেখান থেকে পণ্য কিনে থাকে। তেমনি সাবস্ক্রাইবাররা যে কোন পণ্য মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে স্থায়ী গ্রাহক হিসেবে অংশগ্রহণ করে থাকে। ফলে দীর্ঘমেয়াদি ব্যবসা বৃদ্ধিতে সাবস্ক্রাইবাররা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।

আগেই বলা হয়েছে, আর্টিকেল পড়ার চাইতে মানুষ ভিডিও দেখতে আগ্রহী বেশি। আর ভিডিও মার্কেটিং এর জন্য ইউটিউব মার্কেটিং থেকে ভালো কোন মাধ্যম পৃথিবীতে নেই।

ভিডিও কনটেন্ট মার্কেটিং বর্তমানে খুবই সহজ ও জনপ্রিয় মাধ্যম। টাকা খরচ ছাড়াই শুধুমাত্র ইউটিউব মার্কেটিং এর দ্বারা আপনি যে কোন ব্র্যান্ড ও পণ্যের প্রচারণা করতে পারেন।

 

সমাপনিঃ বর্তমান ডিজিটাল পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত অনলাইন মার্কেটিং এর প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে। আর ইউটিউব মার্কেটিং তার নেতৃত্ব দিচ্ছে। আমরা ইউটিউব মার্কেটিং না করতে চাইলেও অন্যরা কিন্তু থেমে নেই। বরং দিন দিন ইউটিউব মার্কেটিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবসা প্রসার লাভ করছে এবং ইউটিউব মার্কেটিং এর চাহিদা বাড়ছে।

তাই আর দেরি না করে ইউটিউব মার্কেটিং এর মাধ্যমে ডিজিটাল দুনিয়াতে আপনার যাত্রা শুরুর মাধ্যমে নিজেকে স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তুলুন।

ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং করে আমাদের লাভ কি?
Thursday, 20th July, 2023

ফ্রিল্যান্সিং এর পরিচয়ঃ

ফ্রিল্যান্সিং হলো এমন একটি কাজের পদ্ধতি যেখানে একজন ব্যক্তি নিজের সময় ও ক্যাপাসিটির সাথে কোনো প্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট নয় এবং স্বপ্রয়োজনে বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করে টাকা উপার্জন করে। এই পদ্ধতিতে ব্যক্তিরা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বা মাধ্যমে কাজ পেতে পারে, যার মধ্যে উদাহরণ হিসেবে ওয়েবসাইট ডিজাইন, সফটওয়্যার উন্নতি, সামগ্রিক প্রকল্প ব্যবস্থাপনা, ডিজিটাল মার্কেটিং, লেখার জন্য লেখক, প্রোগ্রামিং ও ডেটা এন্ট্রি অন্তর্ভুক্ত থাকে।

এই পদ্ধতিতে ফ্রিল্যান্সার স্বয়ং বসে কাজ করার সুবিধা পায় এবং নির্দিষ্ট প্রকল্প বা কাজের জন্য সময়সীমা নেওয়া হতে পারেন। ফ্রিল্যান্সার আপনার জন্য কাজ পেতে বিভিন্ন সাইট ও প্ল্যাটফর্মে আবেগ করতে পারেন যেমন Upwork, Freelancer, Fiverr, ইত্যাদি।

ফ্রিল্যান্সিং একটি উপযুক্ত পদ্ধতি হতে পারে যেটি উপলব্ধ সময় ব্যবহার করার সুবিধা দেয় এবং আপনার কাজের নির্দিষ্ট দক্ষতা অনুভব ও সুযোগ প্রদান করে। এই পদ্ধতির মাধ্যমে ব্যক্তি নিজের স্বাধীনতা অনুভব করতে পারে এবং লাভবান ক্যারিয়ার উজ্জীবিত করতে পারে।

ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে আপনি কয়েকটি উপকারিতা অর্জন করতে পারেন:

1. স্বাধীনতা: ফ্রিল্যান্সিং আপনাকে স্বয়ং বসে কাজ করার সুযোগ দেয় যার মাধ্যমে আপনি আপনার কাজের সময় ও সম্প্রদায়ের ব্যবস্থা নিজের উপার্জন করতে পারেন।

2. কর্ম উপার্জন: ফ্রিল্যান্সিং করে আপনি মাসিক বেতনের স্থানে প্রকল্প ভিত্তিক ভিত্তিত কাজ করতে পারেন। কার্য সম্পাদন করার প্রতি আপনি বিশেষ মূল্য নির্ধারণ করতে পারেন, যা আপনি নিজের ক্ষমতা এবং মার্কেট মূল্যে ভিত্তি করে সম্পাদন করতে পারেন।

3. বিশেষজ্ঞতা অর্জন: ফ্রিল্যান্সিং আপনার ক্ষমতা এবং বিশেষজ্ঞতা উন্নত করতে সাহায্য করে। আপনি অনুভব এবং দক্ষতা অর্জন করতে সমস্ত প্রকল্পে কাজ করতে পারেন, যা ভবিষ্যতে আপনার ক্যারিয়ারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

4. বিশ্বব্যাপী ক্লায়েন্টবেস: ফ্রিল্যান্সিং আপনাকে বিশ্বব্যাপী ক্লায়েন্টবেস গড়তে সাহায্য করে। আপনি বিভিন্ন দেশের ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করতে পারেন, যা আপনার সীমাবদ্ধতা ছাড়াই আপনার আয় বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

5. সময় ব্যবস্থাপনা: ফ্রিল্যান্সিং আপনাকে নিজের সময় সঠিকভাবে ব্যবহার করতে সাহায্য করে। আপনি কোথাও কাজ করতে পারেন এবং নিজের পছন্দমত সময়ে কাজ করতে পারেন।

যেমনঃ একজন ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে, আপনি ওয়েবসাইট বা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন বানাতে কাজ করতে পারেন এবং নিজের ক্যারিয়ার এবং আয় নির্ধারণ করতে পারেন। এটি স্বাধীনতা এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে যা প্রস্তুতি করতে পারে আপনার ভবিষ্যতের ক্যারিয়ারের জন্য প্রয়োজনীয়।

কিছু কারণের জন্য ফ্রিল্যান্সিং বাংলাদেশে এত প্রচলিত হয়েছে

  1. ইন্টারনেট এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির উন্নতি: বাংলাদেশে ইন্টারনেট এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির উন্নতি দ্বারা সমস্ত মানুষের মাধ্যমে কাজ করার সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি কাজের স্থানে একটি ভ্রমণকারী অনুভব সৃষ্টি করে এবং প্রকল্প সম্পাদন এবং কাজের সাথে কর্মীদের যোগাযোগ করতে সহায়ক হয়েছে।

  2. দক্ষ তালেমার্কেট: বাংলাদেশের দক্ষ তালেমার্কেট এবং দক্ষ কর্মীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন প্রযুক্তিগত কৌশল এবং পেশাদার জ্ঞানের সাথে দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের কাজ নিয়ে বিশেষজ্ঞতা এবং অনুভব দ্বারা ব্যাবস্থা করা সম্ভব হয়েছে।

  3. নিয়োজিত কাজের অভাব: বাংলাদেশে নিয়োজিত কাজের সুযোগ কম আছে এবং নিজের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা চেয়েছে অনেকে। এই কারণে ব্যক্তিগত প্রকল্পে ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে স্বাধীনতা অনুভব করতে প্রত্যাশা করছেন অনেক লোক।

  4. আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম: বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে কাজ করতে পারেন যেমন Upwork, Freelancer, Fiverr, ইত্যাদি। এটি তাদের বিশেষজ্ঞতা এবং সেবা প্রদানের জন্য বিশ্বব্যাপী ক্লায়েন্টবেস এনাবে।

সর্বমোটভাবে বলা যায় যে ফ্রিল্যান্সিং বাংলাদেশে একটি প্রাকৃতিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এটি অনেকের জন্য স্বাধীনতা কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে।

Channel Booster (চ্যানের বুস্টার) App এর কাজ কি? এটি কেন ব্যবহার করা হয়?
Thursday, 13th July, 2023

চ্যানের বুস্টার App বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল কন্টেন্ট বুস্টার প্লাটফরম। এটি বর্তমান প্রায় লক্ষাধিক ইউজার নিয়ে প্রতিষ্ঠিত। এখানে রয়েছে গ্রাহকদের সেবা প্রদানের জন্য একটি টেকনিক্যালটিম। যারা সার্বক্ষনিকভাবে গ্রাহকদের কে ইমেইলের মাধ্যমে সেবা প্রদান করে থাকে।

এই App টি যেভাবে কাজ করেঃ


এখানে আপনি সাধারণত আপনার কাঙ্খিত কন্টেন্ট গুলোকে দুটি উপায়ে বুস্ট করতে পারবেন। যা আপনার ইউটিউব চ্যানেলে বা ফেসবুক পেজকে মনিটাইজেশন পেতে সহায়তা করবে।

  • ফ্রি বুস্টিং 
    • এর জন্য আপনাকে কোন অর্থ খরচ করতে হবেনা। শুধু আপনি আপনার ওয়ালে উপলদ্ধ ক্যাম্পেইনগুলোর টাস্ক পূরনের মাধ্যমে কয়েন উপার্জন করে তা দিয়ে আপনার কাঙ্খিত কন্টেনের ক্যাম্পেইন করতে পারবেন। যা আপনার জন্য খুবই সহজ ও সাশ্রয়ী।
  • পেইড বুস্টিং
    • আপনার হাতে যদি পর্যাপ্ত পরিমানে সময় না থাকে যে আপনি এখান থেকে কয়েন উপার্জন করবেন, তবে আপনার জন্য এই সিস্টেমটি এভেইলেবল আছে। এখানে আপনি কিছু অর্থ খরচ করে নির্দিষ্ট পরিমানে কয়েন কিনে তা দিয়ে আপনার কাঙ্খিত কন্টেন্টের ক্যাম্পেইন করতে পারবেন। তবে আপনি যদি একবার কোন কয়েনের প্যাকেজ পারচেজ করেন তবে তা আর ফেরতযোগ্য নয়। কেননা আমাদের কয়েনে রেট পরিবর্তনশীল এবং এটা অফেরত যোগ্য।

এখান থেকে আপনি সম্পূর্ণ অর্গানিক পদ্ধতিতে আপনার YouTube চ্যানেল, Facebook পেইজ, Website এ ট্রাফিক নিতে পারবেন। যা আপনার ডিজিটাল প্লাটফরমকে আরো গ্রো করবে।

ইউটিউব কীভাবে মনিটাইজেশন নীতি এনফোর্স করে? এবং আপনার দায়িত্ব
Monday, 17th July, 2023

YouTube কন্টেন্টে বিজ্ঞাপনদাতারা তাদের ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন দেখাতে চান কিনা তার উপর আপনার চ্যানেল এবং YouTube পার্টনার প্রোগ্রামের সাফল্য নির্ভর করে। বিজ্ঞাপনদাতারা বিশ্বাস হারালে, সব YouTube ক্রিয়েটরের উপার্জনের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

তাই YouTube এমন জঘন্য আচরণ অনুমোদন করে না যার ফলে কমিউনিটির উপর বিরাট নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এই নীতির অর্থ হল, YouTube-এর মধ্যে এবং বাইরে আপনাকে দর্শক, সহযোগী ক্রিয়েটর এবং YouTube এর বিজ্ঞাপনদাতাদের সম্মান করতে হবে।

আপনি এই নীতি লঙ্ঘন করলে, YouTube সাময়িকভাবে আপনার মনিটাইজেশন বা অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিতে পারে। এটি আপনার আগে থেকে আছে এমন সব চ্যানেলে, আপনি তৈরি করেছেন এমন সমস্ত নতুন চ্যানেলে এবং যেসব চ্যানেলে আপনাকে নিয়মিত দেখা যায় সেগুলির উপর প্রযোজ্য হতে পারে।

আপনার কোন চ্যানেল যদি ডিমনিটাইজ বা বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে এই নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর জন্য নতুন চ্যানেল তৈরি করবেন না অথবা পুরনো কোন চ্যানেল ব্যবহার করবেন না। এটি করলে আপনার সব চ্যানেল বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে।

ক্রিয়েটরের সততাঃ

YouTube আশা করে যে, যারা YouTube পার্টনার প্রোগ্রামে যোগ দিয়েছে এমন ক্রিয়েটররা নিজেদের পরিচয়ের ব্যাপারে সৎ থাকবে এবং অন-প্ল্যাটফর্ম অ্যাক্টিভিটিতে কারচুপি করে অথবা প্রতারণামূলক কাজে যুক্ত থাকার মাধ্যমে নিজেদের পরিচয় সংক্রান্ত মিথ্যা বর্ণনা দেবেন না।

অর্থাৎ, ক্রিয়েটরদের চ্যানেল ভিউ, সাবস্ক্রাইবার, লাইক, দেখার সময় ও বিজ্ঞাপনের ইম্প্রেশনের মতো চ্যানেল এনগেজমেন্ট কৃত্রিমভাবে বাড়ানো উচিত নয়। একইভাবে, YouTube পার্টনার প্রোগ্রামের উপযুক্ত হওয়ার জন্য, নীতি লঙ্ঘন করে এমন কন্টেন্ট মুছে দেওয়া বা ঝাপসা করার আগে ক্রিয়েটরদের তাতে অর্গানিক এনগেজমেন্ট পাওয়ার চেষ্টা করা উচিত নয়। এই ধরনের আচরণ করলে, আপনাকে YouTube পার্টনার প্রোগ্রাম থেকে সরিয়ে দেওয়া বা আপনার চ্যানেল বন্ধ করা হতে পারে। আরও তথ্যের জন্য YouTube এর AdSense নীতি দেখুন।

এছাড়াও, ক্রিয়েটরদের কোনও আর্থিক অপব্যবহারমূলক আচরণে যুক্ত থেকে ব্যবহারকারী বা YouTube-কে বিভ্রান্ত করা উচিত নয়, যেমন বেআইনি, জাল বা প্রতারণামূলক ট্রানজ্যাকশনের জন্য আমাদের মনিটাইজেশন ফিচার ব্যবহার করা। আপনি এই নীতি লঙ্ঘন করলে, আপনাকে YouTube পার্টনার প্রোগ্রাম থেকে সরিয়ে দেওয়া বা আপনার চ্যানেল বন্ধ করা হতে পারে।

YouTube যেভাবে মনিটাইজেশন নীতি এনফোর্স করে-

YouTube থেকে উপার্জন করেন এমন যেকোন ব্যক্তিকে অবশ্যই YouTube চ্যানেল মনিটাইজেশন সংক্রান্ত নীতি মেনে চলতে হবে। আপনি YouTube কোনও একটি নীতি লঙ্ঘন করলে, YouTube নিচে উল্লেখ করা কাজগুলি করতে পারে।

  • উইথহোল্ড, অ্যাডজাস্ট করা, আবার চার্জ করা বা উপার্জন অথবা পেমেন্ট অফসেট করাঃ আপনার কোন উপার্জন YouTube চ্যানেল মনিটাইজেশন সংক্রান্ত নীতি লঙ্ঘনের সাথে সম্পর্কিত হলে YouTube তা উইথহোল্ড বা অ্যাডজাস্ট করতে পারে। এছাড়াও, এখনও পেমেন্ট করা হয়নি এমন AdSense ব্যালেন্স থেকে সংশ্লিষ্ট উপার্জন আবার চার্জ করতে অথবা ভবিষ্যতে পেমেন্ট করা হবে এমন উপার্জন থেকে YouTube সেটি অফসেট করতে পারে।

    এই ধরনের লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে YouTube কিছুটা সময় নিয়ে তদন্ত করে দেখে যে উপার্জন উইথহোল্ড, অ্যাডজাস্ট নাকি অফসেট করা উচিত। এর ফলে পেমেন্ট করতে সর্বাধিক ৯০ দিন অথবা যতদিন না YouTube কোনও থার্ড-পার্টির অধিকার সংক্রান্ত বিরোধের সমাধান করছে ততদিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

    আপনার উপার্জন YouTube উইথহোল্ড বা অ্যাডজাস্ট করতে হবে এমন নীতি লঙ্ঘনের উদাহরণের মধ্যে এগুলি সহ আরও অনেক কিছু পড়ে:

    • আপনার কন্টেন্টে ভুল ট্রাফিক
    • জাল এনগেজমেন্ট
    • Content ID সংক্রান্ত দাবি
    • YouTube এর নীতি এনফোর্স করতে হলে YouTube ইমেল করে বা প্রোডাক্ট মধ্যস্থ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আপনাকে জানাবে। এছাড়া, আপনার কাছে কী কী বিকল্প উপলভ্য আছে সেই বিষয়েও আপনাকে জানানো হবে।
  • আপনার ভিডিওর বিজ্ঞাপন থেকে উপার্জন সীমিত করাঃ YouTube পার্টনার প্রোগ্রামের মেম্বার হিসেবে আপনি উপযুক্ত ভিডিওর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন থেকে উপার্জন করতে পারবেন, তবে এর জন্য YouTube এর বিজ্ঞাপনদাতার-অনুকূল কন্টেন্টের নির্দেশিকা মেনে ভিডিও তৈরি করতে হবে। তবে, যদি দেখা যায় যে আপনার ভিডিও YouTube এর বিজ্ঞাপনদাতার-অনুকূল কন্টেন্টের নির্দেশিকা মেনে চলছে না অথবা সেটি YouTube এর অন্য কোনও নীতি যেমন বয়স সংক্রান্ত বিধিনিষেধ বা কপিরাইট সংক্রান্ত নির্দেশিকা লঙ্ঘন করেছে, তাহলে YouTube ভিডিও বিজ্ঞাপন থেকে সীমিত উপার্জন করবে বা কোনও উপার্জন করবে না।
  • YouTube পার্টনার প্রোগ্রামে আপনার অংশগ্রহণ সাসপেন্ড করাঃ YouTube চ্যানেল মনিটাইজেশন সংক্রান্ত নীতি লঙ্ঘন করলে, আপনার সব বা যেকোনও অ্যাকাউন্টে মনিটাইজেশনের সুবিধা সাসপেন্ড করা বা স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। YouTube যদি আপনার চ্যানেলে মনিটাইজেশনের সুবিধা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়, সেক্ষেত্রে আপনার চ্যানেলে YouTube পার্টনার প্রোগ্রামের সাথে যুক্ত আর কোনও মনিটাইজেশন টুল, ফিচার ও মডিউলের অ্যাক্সেস থাকবে না। আপনি ক্রিয়েটর সহায়তা টিমের সাথে যোগাযোগ করে যেকোনও সময় নির্দিষ্ট কোনও মনিটাইজেশন মডিউল থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন।

    ডেটার রেকর্ড রাখাঃ YouTube-এর সাথে আপনার মনিটাইজেশন চুক্তি বাতিল করে দেওয়া হলেও, ক্রিয়েটর সহায়তা টিমের সাথে যোগাযোগ করে আপনি যখন এই প্রোগ্রামের অংশ ছিলেন তখনকার YouTube Analytics ডেটা চাইতে পারবেন।

  • আপনার YouTube চ্যানেল সাসপেন্ড করা বা বন্ধ করে দেওয়াঃ YouTube নীতি এনফোর্স করতে হলে YouTube ইমেল করে বা প্রোডাক্ট মধ্যস্থ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আপনাকে জানাবে। এছাড়াও, আপনার কাছে কী কী বিকল্প উপলভ্য আছে সেই বিষয়ে আপনাকে জানানো হবে।

আপনাকে প্রভাবিত করে এমন সমস্যার বিষয়ে কীভাবে সাহায্য পাবেনঃ

আপনি YouTube পার্টনার প্রোগ্রাম-এ যোগ দিয়ে থাকলে, ক্রিয়েটর সহায়তা টিমের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনি কোনও নির্দিষ্ট সমস্যার সম্মুখীন হলে অথবা ক্রিয়েটর হিসেবে YouTube থেকে সবচেয়ে বেশি সুবিধা কীভাবে পাবেন তার উপায় খুঁজতে চাইলে, YouTube আপনাকে সাহায্য করতে প্রস্তুত:

  • আরও ভালভাবে YouTube ব্যবহার করুন
  • YouTube-এর প্রযুক্তি বা পরিষেবার ব্যাপারে পরামর্শ পান।
  • নীতি ও কপিরাইট সংক্রান্ত নির্দেশিকা কীভাবে মেনে চলবেন তা জানুন
  • অ্যাকাউন্ট ও চ্যানেল ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর পান
  • Content ID ও অধিকার ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করুন
  • আপনার অ্যাকাউন্টে হওয়া সমস্যা সমাধান বা ত্রুটি সংশোধন করুন

আপনি ক্রিয়েটর সহায়তা টিমের সাথে যোগাযোগ করা এবং YouTube ক্রিয়েটর হিসেবে সহায়তা পাওয়া সম্পর্কে আরও বিস্তারিত নির্দেশাবলী পাবেন।

YouTube চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব এবং আন-সাবস্ক্রাইব সম্পর্কে জানুন
Tuesday, 18th July, 2023

আপনি যেসব চ্যানেলের আরও কন্টেন্ট দেখতে চান, সেই চ্যানেলগুলি সাবস্ক্রাইব করতে পারবেন। আপনি যেকোনও YouTube ভিডিওর নিচে বা চ্যানেলের পৃষ্ঠায় 'সাবস্ক্রাইব করুন' বোতাম দেখতে পাবেন। আপনি কোনও চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করলে, চ্যানেলের মাধ্যমে প্রকাশিত যেকোনও নতুন ভিডিও আপনার সাবস্ক্রিপশন ফিডে দেখানো হবে।

আপনার সাবস্ক্রাইব করা কোনও চ্যানেল নতুন কন্টেন্ট প্রকাশ করলে আপনার বিজ্ঞপ্তি পাওয়া শুরু করতে পারেন। ডিফল্ট হিসেবে, YouTube আপনাকে শুধু চ্যানেলের হাইলাইট পাঠাবে।

কিভাবে YouTube চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করবেন?

  1. কম্পিউটার থেকে YouTube Studio-তে সাইন-ইন করুন।
  2. আপনি যে চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করতে চান সেটির কোনও ভিডিওতে যান।
  3. ভিডিও প্লেয়ারের নিচে 'সাবস্ক্রাইব করুন'  বিকল্পে ক্লিক করুন।
    1. ভিডিওতে আরেকজন ক্রিয়েটরকে ফিচার করা হলে তাদের চ্যানেলের লিঙ্ক ও সাবস্ক্রাইব বোতাম দেখানো হতে পারে।

আপনি কখন বিজ্ঞপ্তি পাবেন?

আপনি সাবস্ক্রাইব করলে, আপনাকে চ্যানেলের হাইলাইট সম্পর্কে অটোমেটিক বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হবে। আপনি বিজ্ঞপ্তির সেটিংস পরিবর্তন করে চ্যানেলটি প্ৰত্যেকবার কন্টেন্ট প্রকাশ করার সময় বিজ্ঞপ্তি পেতে পারেন। 

মনে রাখবেন যে আপনি কোনও চ্যানেল থেকে আনসাবস্ক্রাইব করে আবার পরে সাবস্ক্রাইব করলে আপনার বিজ্ঞপ্তির সেটিংস রিসেট হয়ে যাবে।

চ্যানেলের দর্শকদের সেটিংস বাচ্চাদের জন্য তৈরি হিসেবে সেট করা থাকলে আপনি কোনও বিজ্ঞপ্তি পাবেন না। এছাড়াও, বিজ্ঞপ্তির ঘণ্টা কোনও বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হবে না  হিসেবে সেট করা থাকবে। আপনি এই সেটিং পরিবর্তন করতে পারবেন না। 

YouTube চ্যানেল থেকে আনসাবস্ক্রাইব কিভাবে করবেন?

  1. কম্পিউটার থেকে YouTube Studio-তে সাইন-ইন করুন।
  2. আপনি যে চ্যানেল থেকে আনসাবস্ক্রাইব করতে চান সেটির কোনও ভিডিওতে যান।
  3. ভিডিও প্লেয়ারের নিচে সাবস্ক্রাইব করা আছে এবং তারপর আনসাবস্ক্রাইব করুন বিকল্পে ট্যাপ করুন।
  4. আপনি আনসাবস্ক্রাইব করেছেন বলে স্ক্রিনের নিচে একটি বিজ্ঞপ্তি দেখানো হবে।

আপনার সাবস্ক্রিপশন ম্যানেজ করুন

'হোম' ট্যাব ও কোনও ভিডিও দেখার পরে আপনার পছন্দ হতে পারে বলে আমাদের মনে হয় এমন ভিডিও ও চ্যানেল YouTube-এ দেখানো হয়। আপনি কী দেখেছেন এবং ট্রেন্ডিং ভিডিওর উপর নির্ভর করে আমরা এগুলি সাজেস্ট করি।  

আমাদের সাজেশন আপনার পছন্দ না হলে, আপনি যে আগ্রহী নন সেটি আমাদের জানাতে পারেন।

  • বিভাগ অনুযায়ী ব্রাউজ করুন: আপনি নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে চ্যানেল খুঁজতে চাইলে, বিভিন্ন বিভাগের জনপ্রিয় চ্যানেলগুলি দেখার জন্য চ্যানেল ব্রাউজ করুন বিকল্পে যান।
  • সার্চ করে দেখুন: আপনার আগ্রহের বিষয়বস্তু YouTube-এ সার্চ করে দেখতে পারেন। আপনি যা সার্চ করেছেন সেটির সাথে প্রাসঙ্গিক চ্যানেল দেখতে সার্চ ফলাফল ফিল্টার করতে পারেন। 

আপনার সাবস্ক্রাইব করা চ্যানেলে সম্প্রতি আপলোড করা ভিডিও, মোবাইল ও কম্পিউটার দুটিতেই উপলভ্য সাবস্ক্রিপশন ফিডে দেখানো হবে।

বিজ্ঞপ্তি আপনাকে জানায় যে, নতুন ভিডিও উপলভ্য আছে, আপনার সাবস্ক্রাইব করা চ্যানেল থেকে আপডেট শেয়ার করে এবং আপনি যেসব কন্টেন্ট পছন্দ করতে পারেন সেগুলি সম্পর্কে জানাতে পারে। আমরা ইমেল, মোবাইলে পছন্দমতো বিজ্ঞপ্তি বা কম্পিউটার বা মোবাইল ডিভাইসে ইনবক্স বিজ্ঞপ্তি পাঠাব। চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করলে, আপনাকে অ্যাক্টিভিটির হাইলাইট সহ পছন্দমতো বিজ্ঞপ্তি অটোমেটিক পাঠানো হবে।

ইনবক্স বিজ্ঞপ্তি সময় অনুযায়ী সাজানো হয়, নতুন বিজ্ঞপ্তি উপরে থাকে। কিছু বিজ্ঞপ্তি, নতুন বিজ্ঞপ্তির উপরে থাকা "গুরুত্বপূর্ণ" বিভাগে থাকতে পারে, এইসব বিজ্ঞপ্তি আমরা আপনার জন্য সবথেকে বেশি প্রাসঙ্গিক বলে মনে করি। গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞপ্তির উদাহরণের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে আপনার কমেন্টে দেওয়া উত্তর বা আপনার ভিডিও যখন লোকজন শেয়ার করেন।

সাবস্ক্রাইব করা চ্যানেল থেকে সব বিজ্ঞপ্তি পেতে 'বেল বিজ্ঞপ্তি ' আইকনে ট্যাপ করুন। আপনি সব বিজ্ঞপ্তি বেছে নিয়েছেন সেটি বোঝানোর জন্য বাজছে এমন ঘণ্টা  আইকনে পরিবর্তন হয়ে যাবে।

চ্যানেলের দর্শকদের সেটিংস বাচ্চাদের জন্য তৈরি হিসেবে সেট করা থাকলে আপনি কোনও বিজ্ঞপ্তি পাবেন না। এছাড়াও, বিজ্ঞপ্তির ঘণ্টা কোনও বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হবে না  হিসেবে সেট করা থাকবে। আপনি এই সেটিং পরিবর্তন করতে পারবেন না।

YouTube চ্যানেলে ৫০০টি Subscribe হলে আয় করা যাবে?
Thursday, 20th July, 2023

ইউটিউব থেকে আয় করার জন্য ইউটিউবের কয়েকটি নিয়ম বা শর্ত অবশ্যই পুরণ করতে হয়। তার মধ্যে প্রধান শর্ত হচ্ছে বিগত ১ বছরে চ্যানেল ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার ও ৪ হাজার ঘন্টা ওয়াচটাইম অথবা শর্ট ভিডিওতে ১০ মিলিয়ন ভিউ অর্জন করতে হয়। অনেকে প্রফেশনালভাবে ইউটিউবিং শুরু করলেও ইউটিউবের এই শর্ত পূরন করতে করতে বছর পর্যন্ত লেগে যায়। যার ফল সরূপ অনেক ক্রিয়েটর হতাস হয়ে ইউটিউব চ্যানেল ছেড়ে দেয়। সেসব কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের কথা মাথা রেখে ইউটিউব অসাধারন এক আপডেট নিয়ে এসেছে। এখন থেকে ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করার জন্য ক্রিয়েটরদের আর ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার ও ৪ হাজার ঘন্টা লাগবে না।

গতকাল ইউটিউবের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ক্রিয়েটদের এমনই সু সংবাদ দিলেন ইউটিউব। ইউটিউবের নতুন এ আপডেটে বলা হয়েছে আগের শর্ত ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার ও ৪ হাজার ঘন্টা ওয়াচটাইমের লাগবে না। এখন থেকে ইউটিউব চ্যানেলে ৫০০ সাবস্ক্রাইবার ও তিন হাজার ঘন্টা ওয়াচটাইম থাকলে চ্যানেল থেকে আয় করা যাবে। আর শর্টস ভিডিওর ক্ষেত্রে ১০ হাজার মিলিয়ন ভিউসের পরিবর্তে ৩ হাজার মিলিয়ন ভিউস পূরন করলেই চ্যানেল মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করা যাবে। এছাড়া ৯০ দিনে কমপক্ষে ৩টি ভিডিও চ্যানেল আপলোড করতে হবে।

ইউটিউবের এই আপডেটে খুশি ছোট ইউটিউবাররা। তাদের মতে এখন তারা ইউটিউবিং করতে আরও উৎসাহিত হবে। তবে এই আপডেট এখন শুধু যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, কানাডা, তাইওয়ান  ও দক্ষিন কোরিয়ায় উন্মুক্ত করা হবে। পরে এটি আসতে আসতে সকল দেশের ক্রিয়েটরদের জন্য চালু করে দেয়া হবে। যারা এখনও মনিটাইজেশনের শর্ত পুরন করতে পারেনি তাদের জন্য ইউটিউবিং করা আরও সহজতর হয়ে গেছে। পাশাপাশি যারা ইউটিউবিং করবে বলে ভাবছেন তারা এখন দ্বীগুন উৎসাহ পেয়ে কাজ করুন । যারা কাজ করবেন বলে ধারনা করছেন , ইউটিউব কতৃপক্ষ।




Advertisement

আমাদের পোস্ট সমূহ



Channel Booster (চ্যানের বুস্টার) App এর কাজ কি? এটি কেন ব্যবহার করা হয়? Thursday, 13th July, 2023

চ্যানের বুস্টার App বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল কন্টেন্ট বুস্টার প্লাটফরম। এটি বর্তমান প্রায় লক্ষাধিক ইউজার নিয়ে প্রতিষ্ঠিত। এখানে রয়েছে গ্রাহকদের সেবা প্রদানের জন্য একটি টেকনিক্যালটিম। যারা সার্বক্ষনিকভাবে গ্রাহকদের কে ইমেইলের মাধ্যমে সেবা প্রদান করে থাকে।

এই App টি যেভাবে কাজ করেঃ


এখানে আপনি সাধারণত আপনার কাঙ্খিত কন্টেন্ট গুলোকে দুটি উপায়ে বুস্ট করতে পারবেন। যা আপনার ইউটিউব চ্যানেলে বা ফেসবুক পেজকে মনিটাইজেশন পেতে সহায়তা করবে।

  • ফ্রি বুস্টিং 
    • এর জন্য আপনাকে কোন অর্থ খরচ করতে হবেনা। শুধু আপনি আপনার ওয়ালে উপলদ্ধ ক্যাম্পেইনগুলোর টাস্ক পূরনের মাধ্যমে কয়েন উপার্জন করে তা দিয়ে আপনার কাঙ্খিত কন্টেনের ক্যাম্পেইন করতে পারবেন। যা আপনার জন্য খুবই সহজ ও সাশ্রয়ী।
  • পেইড বুস্টিং
    • আপনার হাতে যদি পর্যাপ্ত পরিমানে সময় না থাকে যে আপনি এখান থেকে কয়েন উপার্জন করবেন, তবে আপনার জন্য এই সিস্টেমটি এভেইলেবল আছে। এখানে আপনি কিছু অর্থ খরচ করে নির্দিষ্ট পরিমানে কয়েন কিনে তা দিয়ে আপনার কাঙ্খিত কন্টেন্টের ক্যাম্পেইন করতে পারবেন। তবে আপনি যদি একবার কোন কয়েনের প্যাকেজ পারচেজ করেন তবে তা আর ফেরতযোগ্য নয়। কেননা আমাদের কয়েনে রেট পরিবর্তনশীল এবং এটা অফেরত যোগ্য।

এখান থেকে আপনি সম্পূর্ণ অর্গানিক পদ্ধতিতে আপনার YouTube চ্যানেল, Facebook পেইজ, Website এ ট্রাফিক নিতে পারবেন। যা আপনার ডিজিটাল প্লাটফরমকে আরো গ্রো করবে।

ইউটিউব থেকে আয় করার সেরা কিছু উপায়। যা আপনি অনুসরণ করতে পারেন। Saturday, 15th July, 2023

পৃথিবীব্যাপী প্রায় ২৫০ কোটির বেশি মানুষ নিয়মিত ইউটিউবে ভিডিও দেখে থাকেন। প্রত্যেক মিনিটে এই প্ল্যাটফর্মে ৫০০ ঘণ্টা ভিডিও স্ট্রিম হয়। ইউটিউব এখন শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়। সে কথা এখন অনেকেরই জানা। আয়ের অন্যতম মাধ্যম ইউটিউব। জনপ্রিয় এই ভিডিও প্ল্যাটফর্ম থেকে ইউটিউবাররা মাসে কয়েক লাখ মার্কিন ডলার পর্যন্ত রোজগার করে থাকেন। বেকারত্ব থেকে মুক্তি পেয়েছে অনেক ছেলেমেয়ে। চাইলে আপনিও শুরু করতে পারেন। ঘরে বসেই মাসে ইনকাম করতে পারবেন লাখ লাখ টাকা। তাহলে জেনে নিন ইউটিউব থেকে আয় করার সেরা কিছু উপায়-

ইউটিউব থেকে আয় করতে আপনাকেঃ
ইউটিউব থেকে আয় করতে আপনাকে কড়া প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে হবে। প্রথমেই আপনার ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে স্থায়ী দর্শক তৈরি করতে হবে। তবেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন। প্রথমেই আপনাকে কিছু বিষয়ে নজর দিতে হবে। শুধু ভিডিও আপলোড করলেন আর আয় করে ফেললেন বিষয়টা মোটেই এমন নয়। এজন্য আপনাকে নানান বিষয় বুঝে শুনে কাজ করতে হবে। পার করতে হবে কয়েকটি রুলস এবং ফর্মালিটিস।

১. ভিডিও তৈরির আগে আপনার ভিডিও কোন দর্শকদের কাছে নিয়ে যেতে চান তা আগে ঠিক করুন। এরপরে সেই দর্শকদের জন্য ভিডিও তৈরি করে দর্শকদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে। ভিডিও তৈরির আগে উপযুক্ত বিষয় পছন্দ করুন। শুধুমাত্র সেই বিষয়ের উপরেই ভিডিও তৈরি করুন। এর ফলে দর্শকদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে সুবিধা হবে। সেই নির্দিষ্ট বিষয়ে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করুন।

২. একটি ভালো ক্যামেরা, আলো, মাইক্রোফোন আপনার ভিডিয়োকে আরও প্রফেশনাল লুক দিতে পারে। নিয়মিত ভিডিও পোস্ট করতে হবে। প্রত্যেক ভিডিওর সঙ্গে দিতে হবে কি-ওয়ার্ড। নিজের ভিডিও থেকে সোশ্যাল মিডিয়া ও নিজের ব্লগিং ওয়েবসাইটে ট্র্যাফিক নিতে হবে।

৩. ইউটিউব থেকে রোজগারের জন্য চ্যানেলে অন্তত এক হাজার সাবস্ত্রাইবার থাকতে হবে। সাবস্ক্রাইবার প্রতি আপনি কোনো টাকা পাবেন না। তবে যত বেশি সাবস্ক্রাইবার থাকবে রোজগারের সম্ভাবনা ততই বেশি হবে। যেমন ধরুন আপনি যদি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রমোশনাল কাজ করতে চান তবে আপনার চ্যানেলে যত বেশি সাবস্ক্রাইবার থাকবে তত বেশি রোজগার করতে পারবেন।

৪. এক হাজার সাবস্ক্রাইবারের সঙ্গেই আয় শুরুর জন্য বিগত ১২ মাসে প্রয়োজন হবে চার হাজার ঘণ্টা ভিউ। যত বেশি ভিউ পাবেন রোজগারের সম্ভাবনা ততই বাড়তে থাকবে। তবে আপনার ভিডিওর উপরে দেখানো লিঙ্কে ক্লিক করে কেউ সম্পূর্ণ বিজ্ঞাপন দেখলে তবেই রোজগার হবে ইউটিউব থেকে।

৫. তবে শুধুমাত্র ইউটিউবে দেখানো বিজ্ঞাপন থেকে রোজগার করে জীবন চালানো প্রথমে কঠিন হতে পারে। এই কারণে সঙ্গে অন্য কাজ রাখা প্রয়োজন। নিজের চ্যানেলের ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য YouTube Partner Program এ যোগ দিতে পারেন। প্রত্যেক ভিডিও থেকে রোজগারে একটি অংশ কনটেন্ট ক্রিয়েটরের সঙ্গে ভাগ করে নেয় এই ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম।

৬. YouTube Studio থেকে Monitization বিভাগে গিয়ে চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেখানো সিলেক্ট করতে পারবেন। এখানেই ড্যাশবোর্ডে মাসে কত রোজগার হয়েছে দেখে নিতে পারবেন।

৭. একবার প্ল্যাটফর্ম থেকে রোজগার শুরু করলে আপনি YouTube Premium -এ সাইন আপ করতে পারবেন। এই ফিচারে আপনার সাবস্ক্রাইবাররা চাইলে অতিরিক্ত খরচ করে বিজ্ঞাপন ছাড়াই আপনার চ্যানেলের ভিডিও দেখতে পাবে। সাবস্ক্রাইবারদের থেকে রোজগারের দ্বিতীয় পথ হিসাবে কাজ করবেএই YouTube Premium।

৮. বিজ্ঞাপন ছাড়াও আয়ের আরও কিছু উপায় রয়েছে। যেমন ধরুন- মার্চেনইডাইস।টি-শার্ট, কফি মগ, ব্যাগ সহ নিজস্ব মার্চেনডাইস বিক্রি করে ইউটিউব থেকে রোজগার করতে পারবেন। প্রত্যেক ভিডিওর নিচে রাখতে পারবেন মার্চেনডাইস সেলফ।

৯. ফ্যান ফান্ডিংকরতে পারেন। একবার আপনার চ্যানেলে কিছু দর্শক এসে গেলে Patreon, Tipee অথবা Buy Me A Coffee এর মতো ওয়েবসাইট থেকে দর্শকদের কাছ থেকে রোজগার করতে পারবেন।

১০. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আপনার রোজগার আরও বাড়তে পারে। তবে আপনার সঙ্গে কোন ব্র্যান্ডের গাঁটছড়া থাকলে তা ভিডিওতে জানিয়ে দিন।

১১. ভিডিও লাইসেন্সিং করতে পারেন। মনে করুন আপনার কোনো ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে গেলে বিভিন্ন মিডিয়া সেই ভিডিও স্ট্রিম করার জন্য আপনাকে অতিরিক্ত টাকা দেবে। এটাই হচ্ছে ভিডিও লাইসেন্সিং।

১২. চ্যানেল মেম্বারশিপ করতে পারেন। চ্যানেলের মেম্বার হলে দর্শকরা অতিরিক্ত কনটেন্ট পেয়ে যাবেন। এইভাবে বাড়বে আপনার রোজগার। এ ছাড়াও চ্যাট পেমেন্টের মাধ্যমেও ইউটিউব থেকে ভালো আয় করা যায়। যেমন- লাইভ স্ট্রিম। এর সুপার চ্যাটের মাধ্যমে দর্শকদের কাছ থেকে রোজগার করতে পারবেন।

আমরা সবসময় আপনার চ্যানেলের অর্গানিক ভিউ ও সাবস্ক্রাইব পেতে সহায়তা করে থাকি। আপনার Youtube চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব, ভিউ এবং ওয়াচ টাইম বাড়াতে এখনই ডাউনলোড করুন Channel Booster সফটওয়্যার।

ইউটিউবিং শুরু করার আগে আপনাকে যে বিষয় গুলো গুরুত্বের সাথে জানতে হবে Sunday, 16th July, 2023

নতুন ইউটিউবারদের জন্য বা যারা চ্যানেল খুলবেন ভাবছেন বা ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করবেন ভাবছেন বা ইউটিউব থেকে আয় করার উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাদের জন্য ও সকল ইউটিউবারদের জন্য কিছু কমপ্লিট টিপস যা জানা থাকা খুবই জরুরি। ইউটিউবিং শুরু করার আগে কি কি বিষয় জানতে হয় বা ইউটিউব থেকে আয় করতে কি কি দরকার হয় তা নিয়ে আজকের এই আর্টিকেল এ আলোচনা করব।

ইউটিউবিং শুরু করার আগে যা জানতে হয়
আগে জানুন তারপর ইউটিউবে কাজ করুন–

১। প্রথমে আপনার ইউটিউবে কাজ করার তীব্র ইচ্ছা থাকতে হবে।
২। আপনার একটা মোবাইল বা ল্যাপটপ অথবা ডেক্সটপ পিসি থাকতে হবে। 
৩। কিছু নিশ এর জন্য ভাল ক্যামেরা লাগবে আর কিছু নিশ এর জন্য ক্যামেরা না হলেও চলবে, যদি কম্পিউটারের স্ক্রীন রেকর্ড করেন তাহলে ক্যামেরা না হলেও চলবে।
৪। আপনার চ্যানেল এর জন্য একটা ভাল নাম পছন্দ করতে হবে। লগো ব্যানার এবং চ্যানেল কাস্টমাইজ করা জানতে হবে।
৫। সবচাইতে জরুরি হল নিশ সিলেক্ট করা, ইউটিউবে নিশ সিলেক্ট নিয়ে আমরা চিন্তায় পরি কি ভিডিও বানাব বুঝতে পারি না। আমার সাজেস্ট হল যে বিষয় নিয়ে আপনি পারদর্শি সে বিষয় নিয়ে কাজ করতে পারেন, আগে চিন্তা করুন আপনি কোন বিষয়ে দক্ষ। প্রতিদিন বা সপ্তাহে আপনি ভিডিও দিতে পারবেন কিনা ভেবে নিবেন।
৬। ভিডিও তৈরি করার জন্য অনেক সফটওয়্যার আছে কিন্তু নতুনদের জন্য filmora বা camtasia ভাল। মোবাইলের জন্য কাইন্ড মাস্টার ভাল।
৭। ভাল একটা মাইক্রোফোন লাগবে, অনেক ধরনের মাইক্রোফোন আছে প্রথম অবস্থায় বয়া মাইক্রোফোনটি নিতে পারেন। দাম সস্তা কিন্তু ভাল।
৮। অডিও রেকর্ড করা জানতে হবে, সেক্ষেত্রে audacity সফটওয়্যার টি দিয়ে ভয়েজ রেকর্ড করতে পারবেন।
৯। ভিডিও তৈরি করতে গেলে অনেক সময় ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক দরকার হয়, কিভাবে ফ্রি মিউজিক বা ফানি ইফেক্ট মিউজিক নিতে হয় জানতে হবে।
১০। ভিডিও তৈরি করতে গেলে অনেক সময় অনেক পারপাসের দরকারি ভিডিও দরকার হয়, কিভাবে ফ্রি ভিডিও নিতে হয় জানতে হবে। Pexels বা Pixabay এই দুটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফ্রি ভিডিও ডাউনলোড করতে পারেন।
১১। অবশ্যই আপনাকে রেগুলার ভিডিও আপলোড করতে হবে।
১২। আকর্ষনীয় থাম্বনেইল বানাতে জানতে হবে, pixellab, picsart, snapseed এই এপস মোবাইলে আর পিসিতে photoshop সফটওয়্যার দিয়ে thumbnail তৈরি করতে পারেন।
১৩। কিভাবে এসইও করতে হয় ভিডিওর জানতে হবে। টাইটেল ট্যাগ ডিসক্রিপশন এ সার্চিং রিলেটেড এসইও ধরনের লেখা দিতে হবে।
১৪। ভিডিও বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। যেমন-ফেইসবুক, টুইটার ইত্যাদি সাইটে শেয়ার করতে হবে।
১৫। সততার সাথে কাজ করতে হবে কারো ভিডিও কপি করা যাবে না।

নতুনদের ইউটিউব প্লাটফরমের জন্য এই টিপস ও কথা গুলো অবশ্যই মাথায় রেখে ইউটিউবে কাজ করা শুরু করা হোক। ভাল মানের ভিডিও বানান রেগুলার আপলোড দিয়ে জান সমস্ত নিয়ম মেনে ভিডিও তৈরি করলে ভিডিওর ভিউ একদিন হবেই। পড়াশুনার ক্ষেত্রে একটি কথা আছে পড়িলেই পাশ তেমনি ইউটিউবেও একটিই সুত্র ভাল মানের চয়েজফুল ভিডিও তৈরি করুন চ্যালেন রেঙ্ক একদিন হবেই।

ইউটিউব মার্কেটিং কি? এটি কিভাবে করতে হয়? এতে আমাদের লাভ কি? Sunday, 16th July, 2023

অনলাইন মার্কেটিং জগতের ধারণা পাল্টে দিয়েছে ইউটিউব। কয়েক বছর আগে যদি বলা হতো টিভিতে বিজ্ঞাপনই পণ্য প্রচারের অন্যতম সেরা মাধ্যম তখন তা বিশ্বাসযোগ্য ছিল। বর্তমান ডিজিটাল দুনিয়াতে মার্কেটিং এর জন্য ইউটিউব বরং অন্যসব মাধ্যমকে পেছনে ফেলে দিয়েছে। তাই এই সময়ে ইউটিউব মার্কেটিং ব্যবসা প্রচার ও প্রসারের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

পূর্বের মার্কেটিং ধারণায় গ্রাহকের ফিডব্যাক পাওয়ার ব্যাপার ছিলো খুবই সময় সাপেক্ষ। কিন্ত ইউটিউব মার্কেটিং এর ফলাফল খুবই কম সময়ে পাওয়া যায়। গ্রাহকের সাথে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করেছে ইউটিউব মার্কেটিং। ইউটিউব মার্কেটিং এর মাধ্যমে যে কেউ চাইলেই কিছু সঠিক নিয়ম অনুসরণের মাধ্যমে তার ব্যবসা বা পণ্যের মার্কেটিং করতে পারে।

 
ইউটিউব মার্কেটিং কি?
সাধারণত মার্কেটিং হলো কোন পণ্যের প্রচারণা। ইন্টারনেট তথা অনলাইনে যে মার্কেটিং করা হয় তা ডিজিটাল মার্কেটিং নামে পরিচিত। আর ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্যতম শাখা হলো ইউটিউব মার্কেটিং।

অতএব এ কথা বলা যায় যে, ইউটিউব চ্যানেল এ ভিডিও আপলোড এর মাধ্যমে কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পণ্য অথবা সেবার প্রচারণা করার নামই হলো ইউটিউব মার্কেটিং।

এটি দুই ধরণের হতে পারে। নিজে পণ্য বা সেবা সম্পর্কে ভিডিও তৈরি করে আপলোড দিয়ে প্রচার করা অথবা অন্য কারো দ্বারা টাকার বিনিময়ে চাহিদা মাফিক প্রচারণা করানো। সরাসরি ইউটিউব এ টাকা প্রদানের মাধ্যমে ইউটিউব মার্কেটিং করা যায়।

 
কিভাবে করবেন ইউটিউব মার্কেটিং?
এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, ইউটিউব মার্কেটিং কি জানা হয়ে গেলেও কিভাবে করবেন ইউটিউব মার্কেটিং তার ব্যাপারে সঠিক ধারণা না থাকলে ইউটিউব মার্কেটিং করা সম্ভব হবে না। ইউটিউব মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে কতগুলো ধাপ পার হতে হবে। আর তা হলো-

 
নিজের ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করুন
ইউটিউব গুগলের একটি প্রতিষ্ঠান। তাই প্রথমে একটি গুগল অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। যা আমাদের কাছে জিমেইল অ্যাকাউন্ট নামে পরিচিত। এই জিমেইল অ্যাকাউন্ট দিয়ে আপনি সরাসরি ইউটিউব এ সাইন ইন করতে পারবেন। আপনার ব্যবসার ধরণ অনুযায়ী আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারেন।

 
আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি সেটাপ করুন
গুগল অ্যাকাউন্ট এ সাইন ইন করার পর আপনি ইউটিউব এ আপনার ব্র্যান্ড অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারেন। ব্র্যান্ড অ্যাকাউন্ট এর মাধ্যমে আপনি চাইলে পরবর্তীতে চ্যানেলের ইউজার নেম, ব্র্যান্ড নেম ইত্যাদি এডিট করতে পারবেন।

অতপর মাই চ্যানেল অপশনে ক্লিক করুন। তারপর আপনার পছন্দমত বা প্রয়োজনমত নাম দিয়ে ক্রিয়েট চ্যানেল এ ক্লিক করুন। তখন আপনি ব্র্যান্ড অ্যাকাউন্ট করার অনুমতি পাবেন। এরপর আপনি ব্র্যান্ড নেম দিয়ে অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।

তারপর আপনার ব্র্যান্ড অ্যাকাউন্টকে আপনার ব্যবসার ধরণ মতো করে সাজাতে পারেন। আপনি চ্যানেল আইকন ও চ্যানেল আর্ট এর মাধ্যমে আপনার ব্র্যান্ড সম্পর্কে ধারণা দিতে পারবেন। যাতে অন্য ইউজাররা আপনার চ্যানেল ও ব্র্যান্ড সহজে চিনতে ও মনে রাখতে পারে।

 
আপনার ব্যবসা সম্পর্কিত ভিডিও তৈরি করুন
আপনার ইউটিউব চ্যানেল তৈরি ও ব্র্যান্ড সেটাপ করার পরবর্তী ধাপ হচ্ছে আপনার ব্যবসা সম্পর্কিত ভিডিও তৈরি করা। মূলত এই ভিডিও তৈরির মাধ্যমে ইউটিউব মার্কেটিং এর প্রথম ধাপ শুরু হয়। ভিডিও তৈরিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ, এই ভিডিও’র মাধ্যমে গ্রাহকের সামনে আপনার পণ্য বা সেবাটি উপস্থাপন করবেন।

ভিডিও তৈরির ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমেই পরিকল্পনা সাজাতে হবে। ভিডিও এমনভাবে তৈরি করতে হবে যাতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দর্শক আগ্রহ নিয়ে আপনার আপলোড করা ভিডিও দেখে। তারপর পণ্য বা সেবা ক্রয়ের ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে থাকে।

মনে রাখতে হবে, স্বল্প সময়ের ভিডিওর মধ্যে যেন সবাই আপনার ব্যবসা তথা পণ্যের ব্যাপারে বিস্তারিত ধারণা লাভ করতে পারে সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। গবেষণায় দেখা গেছে, ইউটিউব ভিডিওর ক্ষেত্রে কম দৈর্ঘের ভিডিও সর্বাধিক জনপ্রিয়।

আপনার ব্যবসা সম্পর্কিত ভিডিও তৈরিতে সৃজনশীলতার সাথে ভিডিও তৈরি করতে হবে। যাতে ভিডিও কনটেন্ট ইউনিক ও এভারগ্রীন হয়ে থাকে।

 
আপনার ভিডিওগুলো এসইও অপ্টিমাইজড করুন
যত বেশি আপনার ভিডিও ভিউ হবে ততবেশি লাভ আসবে আপনার ইউটিউব চ্যানেল তথা ভিডিও থেকে। এই বিষয়টি সব সময় খেয়াল রাখতে হবে।

এসইও হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। আপনার ওয়েবসাইট অথবা ভিডিও কে প্রথম দিকে আনার জন্য যে কৌশল অবলম্বন করা হয় তাই এসইও।

সাধারণত আমরা গুগল বা ইউটিউব এ কোন বিষয়ে জানতে চাইলে টপিক লিখে সার্চ দিয়ে থাকি। যার কনটেন্ট বা ভিডিও যত বেশি টপিক সম্পর্কিত হয় সেসব আর্টিকেল অথবা ভিডিওগুলো আমাদের সামনে সবার আগে আসে। আর এই সামনে আসার প্রক্রিয়াই হলো এসইও তথা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। তাই আপনার ইউটিউব ভিডিওগুলো এসইও অপ্টিমাইজড করতে হবে।

আপনার ভিডিওগুলো এসইও অপ্টিমাইজ করার জন্য সঠিক ভাবে টাইটেল, ডেসক্রিপশন, ক্যাটাগরি, থাম্বনেইল, ট্যাগ, কীওয়ার্ড ইত্যাদি নির্বাচন করতে হবে। এর ফলে আপনি ন্যাচারাল ও ইউনিক দর্শক পাবেন। পাশাপাশি খুব দ্রুত সময়ে আপনার ভিডিওটি অধিক সংখ্যক ভিউ করবে। আপনার ভিডিওগুলো এসইও অপ্টিমাইজ করার জন্য ইউটিউব এসইও সম্পর্কে আরো জেনে নিতে পারেন।

ভিডিওগুলো ইন্টারনেটে প্রমোট করুন
যে কোন ব্যবসার পণ্য বা সেবার উৎপাদন করার পর আপনাকে প্রচারণার দিকে মনোযোগী হতে হবে। তেমনি আপনার ইউটিউব চ্যানেল ভিডিও তৈরি ও আপলোড করার পর আপনাকে অধিকতর মার্কেটিং এ নজর দিতে হবে। যেহেতু আপনার ব্যবসার চ্যানেল অনলাইন তথা ইন্টারনেটকেন্দ্রিক, তাই ভিডিওগুলো ইন্টারনেটে প্রমোট করুন। এ জন্য আপনাকে কিছু অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করতে হবে।

যেমন: ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, টুইটার, ব্লগ, ওয়েবসাইট ইত্যাদি।

এই সব মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে আপনি ভিডিওগুলো ইন্টারনেটে প্রমোট করতে পারেন। আপনার ভিডিও ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, টুইটার, ব্লগ, ওয়েবসাইট এ শেয়ার দিতে পারেন। যাতে করে এইসব মাধ্যম থেকে আপনার চ্যালেনে দর্শক আসে। এভাবেই আপনার ভিডিওগুলো ইন্টারনেটে প্রমোট করুন। তখন খুব দ্রুত সময়ে আপনার চ্যানেল এ সাবস্ক্রাইবার এবং ভিডিওর দর্শক বৃদ্ধি পাবে।

ইউটিউব অ্যাডস এর ব্যবহার করুন
ইউটিউব এ ভিডিও দর্শক বাড়ানোর অন্যতম মাধ্যম হলো ইউটিউব অ্যাডস। কম সময়ে কম খরচে সুনির্দিষ্ট দর্শক পেতে আপনি ইউটিউব অ্যাডস এর ব্যবহার করুন।

সাধারণত ইউটিউব এ কোন ভিডিও দেখার সময় মাঝে মাঝে বিভিন্ন অ্যাডস দেখতে পাই। ইউটিউব এ টাকার বিনিময়ে আপনার চ্যানেল ও ভিডিওগুলো অ্যাড আকারে প্রমোট করতে পারেন। ইউটিউব অ্যাডস এর ব্যবহার করে আপনি খুব দ্রুত সময়ে কাঙ্খিত দর্শক পেতে পারেন।

 
ইউটিউব মার্কেটিং করে কি লাভ হবে?
ইউটিউব মার্কেটিং করে কি লাভ হবে এই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর পাওয়ার আগে আপনি কিছু তথ্য জেনে নিতে পারেন। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী প্রায় দুই বিলিয়ন ইউজার প্রতিমাসে কমপক্ষে একবারের জন্য হলেও ইউটিউব এ ভিডিও দেখে। ইউটিউব হচ্ছে দ্বিতীয় স্যোশাল মিডিয়া প্লাটফর্ম যাতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের প্রায় ঊনআশি ভাগের ইউটিউব এ অ্যাকাউন্ট রয়েছে।

গুগলের পর ইউটিউব হচ্ছে সর্বাধিক জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন। ইউটিউবে পৃথিবীর একশো এর অধিক দেশের প্রায় আশিটি ভাষার কনটেন্ট রয়েছে। প্রতিদিন প্রায় এক বিলিয়নের বেশি লোক ইউডিটউব এ ভিডিও দেখে। প্রায় ষাট ভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ইউডিটউব চ্যানেল ও ভিডিওর মাধ্যমে তাদের মার্কেটিং পরিচালনা করে। প্রায় সত্তর ভাগের বেশি ইউজার মোবাইল ডিভাইস থেকে ইউটিউবে ভিডিও দেখে। প্রায় নব্বই ভাগ লোক ব্যবসার ব্র্যান্ড ও পণ্য সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা ইউটিউব থেকে পেয়ে থাকে। প্রতি মিনিটে প্রায় তিনশত ঘণ্টার ভিডিও আপলোড হয় ইউটিউবে। প্রায় ষাট ভাগ লোক তথ্য প্রাপ্তির জন্য আর্টিকেল পড়ার চাইতে ভিডিও দেখাকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। তাই বুঝা গেল বর্তমানে ইউটিউব মার্কেটিং করে অবশ্যই লাভ হবে।

আপনারা যদি খেয়াল করে দেখেন, পত্রিকা, টিভিতে বিজ্ঞাপনের মতো এখন ইউটিউব, ফেসবুক, গুগলে বিজ্ঞাপন দেয়া হচ্ছে। আমরা পত্রিকা, টিভির বিজ্ঞাপন গুলোই অনলাইন প্লাটফর্ম এ দেখছি। তাই এ কথা বলা যায় যে, আগামির পৃথিবীতে ব্যবসার পণ্য প্রচার-প্রসার ও বিক্রিতে ইউটিউব মার্কেটিং করে লাভ হবে।

 
ইউটিউব মার্কেটিং এর ৭টি লাভ
উপরের আলোচনার সত্যতা নিরুপণের জন্য ইউটিউব মার্কেটিং এর ৭টি লাভ সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন।

আমরা যদি পণ্যের মার্কেটিং এর মাধ্যম গুলোর দিকে তাকাই, দেখা যাবে টিভি, পত্রিকাতে কখনো বিজ্ঞাপন কমে না। তেমনি ভাবে একই পণ্যের অসংখ্য স্টোর থাকলেও ব্যবসা কমছে না বরং বাড়ছে। তাই অনলাইন মাধ্যমে পণ্যের প্রসার করতে ইউটিউব মার্কেটিং কখনো কমবে না। কারণ, সবাই এখন অনলাইন কেনাকাটায় আগ্রহী হচ্ছে। এর পাশাপাশি দিন দিন নতুন নতুন দর্শক তথা গ্রাহক তৈরি হচ্ছে। তাই বলা যায় যে, নতুন গ্রাহক পাওয়ার ক্ষেত্রে ইউটিউব মার্কেটিং এর চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ভবিষ্যতে আরো তা বেশি হবে।

দেখা যায় যে, নানা ভিডিও কনটেন্ট ভাইরাল হয়ে থাকে। তা যে কোন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে হতে পারে। আপনার ভিডিও যদি কোয়ালিটি কনটেন্ট হয় এবং গ্রাহকের জন্য প্রয়োজনীয় হয়ে থাকে, তখন অন্যদের শেয়ার করার মাধ্যমে কোন ধরণের পেইড মার্কেটিং ছাড়া আপনার ইউটিউব চ্যানেলের মার্কেটিং হতে থাকবে। যার ফলে আপনার ব্যবসা প্রসার লাভ করবে।

আপনার ইউটিউব চ্যানেলে যদি বেশি পরিমাণে দর্শক থাকে, দেশে বিদেশের যে কোন পণ্যের প্রচারে আপনার ইউটিউব চ্যানেল ব্যবহার করে আয় করতে পারেন। যদি লক্ষ্য করে দেখেন, পৃথিবীর সকল প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে।  সেখানে তারা তাদের পণ্য বা সেবার মার্কেটিং করে থাকে। আর এভাবেই আপনার ব্যবসার ব্র্যান্ড ভ্যালু বৃদ্ধি পাবে।

গুগল ও ইউটিউব অ্যাড থেকে আপনি অর্থ আয় করতে পারেন। আপনার ভিডিও তে ইউটিউব অ্যাড প্রদানের মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারেন।

আপনার ভিডিওর যদি একটি নিদির্ষ্ট সংখ্যক দর্শক থাকে, ইউটিউব আপনাকে অর্থ প্রদান করবে।

ফেসবুকে যেমন ফলোয়ার ইউটিউবে তেমনি সাবস্ক্রাইবার। যার যতো বেশি সাবস্ক্রাইবার তার ইউটিউব মার্কেটিং তত লাভজনক ও সহজ। সাবস্ক্রাইবারকে আমারা লয়্যাল গ্রাহক হিসেবে বিবেচনা করতে পারি। যে স্টোর এর পণ্য ভালো লয়্যাল গ্রাহক সবসময় সেখান থেকে পণ্য কিনে থাকে। তেমনি সাবস্ক্রাইবাররা যে কোন পণ্য মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে স্থায়ী গ্রাহক হিসেবে অংশগ্রহণ করে থাকে। ফলে দীর্ঘমেয়াদি ব্যবসা বৃদ্ধিতে সাবস্ক্রাইবাররা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।

আগেই বলা হয়েছে, আর্টিকেল পড়ার চাইতে মানুষ ভিডিও দেখতে আগ্রহী বেশি। আর ভিডিও মার্কেটিং এর জন্য ইউটিউব মার্কেটিং থেকে ভালো কোন মাধ্যম পৃথিবীতে নেই।

ভিডিও কনটেন্ট মার্কেটিং বর্তমানে খুবই সহজ ও জনপ্রিয় মাধ্যম। টাকা খরচ ছাড়াই শুধুমাত্র ইউটিউব মার্কেটিং এর দ্বারা আপনি যে কোন ব্র্যান্ড ও পণ্যের প্রচারণা করতে পারেন।

 

সমাপনিঃ বর্তমান ডিজিটাল পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত অনলাইন মার্কেটিং এর প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে। আর ইউটিউব মার্কেটিং তার নেতৃত্ব দিচ্ছে। আমরা ইউটিউব মার্কেটিং না করতে চাইলেও অন্যরা কিন্তু থেমে নেই। বরং দিন দিন ইউটিউব মার্কেটিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবসা প্রসার লাভ করছে এবং ইউটিউব মার্কেটিং এর চাহিদা বাড়ছে।

তাই আর দেরি না করে ইউটিউব মার্কেটিং এর মাধ্যমে ডিজিটাল দুনিয়াতে আপনার যাত্রা শুরুর মাধ্যমে নিজেকে স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তুলুন।

ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ নীতি সম্পর্কে জানুন Monday, 17th July, 2023

ইউটিউব পর্যালোচকরা আপনার চ্যানেলে যে বিষয়গুলি চেক করে:
তারা আপনার চ্যানেলে সেই সকল কন্টেন্ট গুলো চেক করেন, যে গুলি তাদের নীতি মেনে চলার ক্ষেত্রে আপনার চ্যানেলের স্পষ্ট পরিচয় দেয়। পর্যালোচকদের পক্ষে প্রতিটি ভিডিও চেক করা সম্ভব নয় বলে, তারা আপনার চ্যানেলের নিম্নলিখিত বিষয়গুলির উপর ফোকাস করতে পারেন:

১. মূল থিম
২. সবথেকে বেশি দেখা ভিডিও
৩. লেটেস্ট ভিডিও
৪. দেখার সময়ের সবচেয়ে বেশি অনুপাত
৫. ভিডিওর মেটাডেটা (নাম, থাম্বনেল এবং বিবরণ সহ)

উপরে এমন কন্টেন্টের উদাহরণ দেওয়া আছে যেগুলি YouTube এর পর্যালোচকরা মূল্যায়ন করতে পারেন। মনে রাখবেন যে, আপনার চ্যানেল সম্পূর্ণ YouTube এর নীতি মেনে চলছে কিনা তা দেখার জন্য পর্যালোচকরা চ্যানেলের অন্যান্য অংশ পর্যালোচনা করে দেখতে পারেন।

দর্শক, ক্রিয়েটর এবং বিজ্ঞাপনদাতাদের জন্য YouTube-কে একটি দারুণ কমিউনিটি হিসেবে বজায় রাখতে এইসব নির্দেশিকা সাহায্য করে। YouTube-এর সব ব্যবহারকারীকে YouTube এর কমিউনিটি নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে এবং YouTube এর কমিউনিটি নির্দেশিকা অনুযায়ী আপনাকে সব কন্টেন্ট পোস্ট করতে হবে।

মনিটাইজ করা ক্রিয়েটরের জানা উচিত যে এইসব নির্দেশিকা আলাদাভাবে শুধু আপনার ভিডিওর ক্ষেত্রে নয় বরং আপনার সম্পূর্ণ চ্যানেলের উপর প্রযোজ্য হয়। YouTube-এর কমিউনিটি নির্দেশিকা লঙ্ঘন করে এমন কন্টেন্ট মনিটাইজেশনের জন্য উপযুক্ত নয় এবং তা YouTube থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে।

YouTube পার্টনাররা তাদের ভিডিও মনিটাইজ করার জন্য AdSense-এর মাধ্যমে পেমেন্ট পেয়ে থাকেন। AdSense-এর প্রোগ্রাম নীতি এবং YouTube-এর পরিষেবার শর্তাবলী মেনে চলা নিশ্চিত করুন। AdSense-এর কন্টেন্ট সম্পর্কিত নীতি বিশাল এবং এর মধ্যে Webmaster/Search Console নীতির কোয়ালিটি বিষয়ক নির্দেশিকা অন্তর্ভুক্ত। নিচে, YouTube ক্রিয়েটরদের জন্য সবথেকে বেশি প্রাসঙ্গিক কিছু নীতি আমরা হাইলাইট করেছি।

একাধিক বার ব্যবহার করা কন্টেন্ট

'একাধিক বার ব্যবহার করা' কন্টেন্ট বলতে সেই সমস্ত চ্যানেলকে বোঝায়, যাদের তৈরি ভিডিওগুলির কন্টেন্টে এত মিল যে একই চ্যানেলে একাধিক ভিডিওর মধ্যে পার্থক্য খুঁজতে দর্শকের অসুবিধা হতে পারে। এই নীতির ভিত্তি হল AdSense-এর প্রোগ্রাম নীতির Search Console অংশ। YouTube এটি এমন প্রসঙ্গের সাথে যুক্ত করে যা YouTube ক্রিয়েটরদের জন্য আরও বেশি প্রাসঙ্গিক।

কী ধরনের কন্টেন্ট মনিটাইজ করা যাবে?

মনিটাইজ করা কন্টেন্ট যেন দর্শকদের দেখার জন্য কিছু আবেদনপূর্ণ ও আকর্ষণীয় কন্টেন্ট প্রদান করে তা এই নীতি নিশ্চিত করে। অন্যভাবে বলতে গেলে, সাধারণ দর্শকরা যদি স্পষ্টভাবে বলতে পারেন যে আপনার চ্যানেলের প্রতিটি ভিডিও একে অপরের থেকে আলাদা, তাহলে মনিটাইজ করা যেতেই পারে। আমরা জানি বহু চ্যানেল এমন কন্টেন্ট তৈরি করে যা একই প্যাটার্ন অনুসরণ করে। প্রতিটি ভিডিওর বিষয়বস্তু আলাদা হতে হবে।

কী ধরনের কন্টেন্ট মনিটাইজ করা যাবে তার উদাহরণ (এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত কিন্তু সীমিত নয়):

  • আপনার ভিডিওগুলির শুরু ও শেষ এক হলেও, অধিকাংশ কন্টেন্ট আলাদা
  • একই রকমের কন্টেন্ট, যেখানে প্রতিটি ভিডিও নির্দিষ্টভাবে আপনার ফিচার করা বিষয়বস্তুর কোয়ালিটি সম্পর্কে কথা বলে
  • একই রকম বিষয়ের একাধিক ছোট ক্লিপ একসাথে এডিট করে তাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বোঝান

যে কন্টেন্ট এই নির্দেশিকা লঙ্ঘন করে

কোনও চ্যানেলে একই ধরনের কন্টেন্ট থাকলে, তার ফলে YouTube-এ আবেদনপূর্ণ এবং আকর্ষণীয় ভিডিও দেখতে আসা দর্শকরা হতাশ হতে পারেন। অর্থাৎ, যেসব চ্যানেলে একটি ভিডিও থেকে অন্যটির মধ্যে কন্টেন্টে বিশেষ বৈচিত্র্য নেই সেগুলি মনিটাইজ করা যাবে না। অন্যভাবে বলতে গেলে, আপনার চ্যানেলে এমন কন্টেন্ট থাকলে চলবে না যা একটি মৌলিক টেমপ্লেট ব্যবহার করে অটোমেটিক তৈরি বা প্রোডিউস করা হয়।

কী ধরনের কন্টেন্ট মনিটাইজ করা যাবে না তার উদাহরণ (এই তালিকাটি সম্পূর্ণ নয়):

  • ওয়েবসাইটের টেক্সট বা নিউজ ফিডের মতো আপনার লেখা নয় ও বিশেষভাবে পড়ে শোনানো হচ্ছে এমন কন্টেন্ট
  • গানের পিচ বা লয় পরিবর্তন করা হলেও সেটি আসল গানের সাথে একই আছে
  • একই রকমের রিপিট হওয়া ও খুব কম শিক্ষামূলক গুরুত্ব, ব্যাখ্যা বা বর্ণনা ছাড়া অর্থহীন কন্টেন্ট
  • টেমপ্লেট ভিত্তিক, অনেক বেশি পরিমাণে বা প্রোগ্রামের মাধ্যমে জেনারেট করা কন্টেন্ট
  • খুব কম শিক্ষামূলক গুরুত্ব, ব্যাখ্যা বা বর্ণনা সহ বা সেটি ছাড়া ছবির স্লাইডশো অথবা স্ক্রল করছে এমন টেক্সট

একাধিক বার ব্যবহার করা কন্টেন্ট

'একাধিক বার ব্যবহার করা' কন্টেন্ট বলতে সেই সমস্ত চ্যানেলের কাজের কথা বলা হয়, যারা অন্য কারও তৈরি করা কন্টেন্ট নতুন কোনও উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে চায়, কিন্তু তার মধ্যে নিজের তৈরি কিছু উল্লেখযোগ্য ব্যাখ্যা বা শিক্ষামূলক গুরুত্ব যোগ করে না। এই নীতি AdSense-এর প্রোগ্রাম নীতির Search Console অংশ থেকে নেওয়া হয়েছে। YouTube এটি এমন প্রসঙ্গের সাথে যুক্ত করে যা YouTube ক্রিয়েটরদের জন্য আরও বেশি প্রাসঙ্গিক।

কী ধরনের কন্টেন্ট মনিটাইজ করা যাবে?

এই নীতির লক্ষ্য হল যেসব ক্রিয়েটর মৌলিক ও নির্ভরযোগ্য কন্টেন্ট তৈরি করে দর্শকদের মূল্যবান কিছু প্রদান করেন তাদের স্বীকৃতি দেওয়া। আপনি নিজে তৈরি করেননি এমন কন্টেন্টে কোনও মজার বা বিশ্লেষণমূলক আঙ্গিক যোগ করলে, তার অর্থ হল আপনি কোনওভাবে কন্টেন্টটি রূপান্তরিত করেছেন। আপনার চ্যানেলে এই ধরনের কন্টেন্ট রাখতেই পারেন, তবে আলাদা আলাদা ভিডিওর ক্ষেত্রে কপিরাইট নীতির মতো অন্যান্য নীতি প্রযোজ্য হতে পারে। অন্যভাবে বলতে গেলে, আমরা একাধিক বার ব্যবহার করা কন্টেন্ট তখনই অনুমোদন করি যদি দর্শকরা বলতে পারেন যে আসল ভিডিও এবং আপনার ভিডিওর মধ্যে কোনও অর্থপূর্ণ পার্থক্য আছে।

মনে রাখবেন: এই উদাহরণগুলি একাধিক বার ব্যবহৃত কন্টেন্ট মনিটাইজেশন সংক্রান্ত নীতি লঙ্ঘন না করলেও, কপিরাইটের মতো অন্যান্য নীতি প্রযোজ্য হবে।

কী ধরনের কন্টেন্ট মনিটাইজ করা যাবে তার উদাহরণ (এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত কিন্তু সীমিত নয়):

  • সমালোচনামূলক পর্যালোচনার জন্য ক্লিপ ব্যবহার করা
  • কোনও সিনেমার এমন একটি দৃশ্য যেখানে আপনি সংলাপ নতুন করে লিখেছেন এবং ভয়েসওভার পরিবর্তন করেছেন
  • কোনও স্পোর্টস টুর্নামেন্টের রিপ্লে যেখানে প্রতিযোগী কী কারণে সফল হয়েছেন আপনি তা ব্যাখ্যা করেছেন
  • প্রতিক্রিয়ামূলক ভিডিও যেখানে আপনি আসল ভিডিওর উপরে মন্তব্য করেছেন
  • অন্য কোনও ক্রিয়েটরের এডিট করা ফুটেজ যেখানে আপনি গল্প বা মন্তব্য যোগ করেছেন
  • Shorts-এ রিমিক্স করা কন্টেন্ট যেখানে আপনার লাইব্রেরির কোনও গানের সাথে আপনি মৌলিক কন্টেন্ট বা অন্য কোনও ভিডিওর মৌলিক অডিও বা ভিডিও যোগ করেছেন

যে কন্টেন্ট এই নির্দেশিকা লঙ্ঘন করে

অন্য কোনও ব্যক্তির কন্টেন্ট নিয়ে, সেটিতে খুব কম পরিবর্তন করে এবং সেটিকে নিজের আসল কন্টেন্ট বলে দাবি করলে এই নির্দেশিকা লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে বিবেচনা করা হবে। আপনার কাছে আসল ক্রিয়েটরের অনুমতি থাকলেও এই নীতি প্রযোজ্য হবে। একাধিক বার ব্যবহার করা কন্টেন্ট, YouTube-এর কপিরাইট এনফোর্সমেন্ট থেকে আলাদা, যার অর্থ হল, এটি কপিরাইট, অনুমতি বা ন্যায্য ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে করা হয়নি। এই নির্দেশিকার অর্থ হল কোনও কোনও ক্ষেত্রে, আপনি নিজের কন্টেন্টের জন্য দাবি নাও পেতে পারেন, তবে আপনার চ্যানেল, কন্টেন্ট একাধিকবার ব্যবহার করা সংক্রান্ত নির্দেশিকা লঙ্ঘন করতে পারে।

কী ধরনের কন্টেন্ট মনিটাইজ করা যাবে তার আরও উদাহরণ (এই তালিকাটি সম্পূর্ণ নয়):

  • আপনার পছন্দের শো থেকে খুব কম বিবরণ বা সেটি ছাড়া একসাথে এডিট করা বিভিন্ন মুহূর্তের ক্লিপ
  • অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট থেকে সংকলিত ছোট ভিডিও
  • বিভিন্ন শিল্পীর গানের সংগ্রহ (আপনার কাছে তাদের অনুমতি থাকলেও)
  • এমন কন্টেন্ট যা অন্য ক্রিয়েটররা বহুবার আপলোড করেছেন
  • অন্য ব্যক্তির কন্টেন্টের অংশ (আপনার কাছে তাদের অনুমতি থাকলেও)

আশা করছি আপনার বিষয়টি বুজতে পেরেছেন। এরকম আরো সুন্দর সুন্দর পোস্ট পেতে আমাতে ওয়েবসাইটে প্রতিদিন ভিজিট করুন এবং আপনার মতামত জানান।

ইউটিউব কীভাবে মনিটাইজেশন নীতি এনফোর্স করে? এবং আপনার দায়িত্ব Monday, 17th July, 2023

YouTube কন্টেন্টে বিজ্ঞাপনদাতারা তাদের ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন দেখাতে চান কিনা তার উপর আপনার চ্যানেল এবং YouTube পার্টনার প্রোগ্রামের সাফল্য নির্ভর করে। বিজ্ঞাপনদাতারা বিশ্বাস হারালে, সব YouTube ক্রিয়েটরের উপার্জনের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

তাই YouTube এমন জঘন্য আচরণ অনুমোদন করে না যার ফলে কমিউনিটির উপর বিরাট নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এই নীতির অর্থ হল, YouTube-এর মধ্যে এবং বাইরে আপনাকে দর্শক, সহযোগী ক্রিয়েটর এবং YouTube এর বিজ্ঞাপনদাতাদের সম্মান করতে হবে।

আপনি এই নীতি লঙ্ঘন করলে, YouTube সাময়িকভাবে আপনার মনিটাইজেশন বা অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিতে পারে। এটি আপনার আগে থেকে আছে এমন সব চ্যানেলে, আপনি তৈরি করেছেন এমন সমস্ত নতুন চ্যানেলে এবং যেসব চ্যানেলে আপনাকে নিয়মিত দেখা যায় সেগুলির উপর প্রযোজ্য হতে পারে।

আপনার কোন চ্যানেল যদি ডিমনিটাইজ বা বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে এই নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর জন্য নতুন চ্যানেল তৈরি করবেন না অথবা পুরনো কোন চ্যানেল ব্যবহার করবেন না। এটি করলে আপনার সব চ্যানেল বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে।

ক্রিয়েটরের সততাঃ

YouTube আশা করে যে, যারা YouTube পার্টনার প্রোগ্রামে যোগ দিয়েছে এমন ক্রিয়েটররা নিজেদের পরিচয়ের ব্যাপারে সৎ থাকবে এবং অন-প্ল্যাটফর্ম অ্যাক্টিভিটিতে কারচুপি করে অথবা প্রতারণামূলক কাজে যুক্ত থাকার মাধ্যমে নিজেদের পরিচয় সংক্রান্ত মিথ্যা বর্ণনা দেবেন না।

অর্থাৎ, ক্রিয়েটরদের চ্যানেল ভিউ, সাবস্ক্রাইবার, লাইক, দেখার সময় ও বিজ্ঞাপনের ইম্প্রেশনের মতো চ্যানেল এনগেজমেন্ট কৃত্রিমভাবে বাড়ানো উচিত নয়। একইভাবে, YouTube পার্টনার প্রোগ্রামের উপযুক্ত হওয়ার জন্য, নীতি লঙ্ঘন করে এমন কন্টেন্ট মুছে দেওয়া বা ঝাপসা করার আগে ক্রিয়েটরদের তাতে অর্গানিক এনগেজমেন্ট পাওয়ার চেষ্টা করা উচিত নয়। এই ধরনের আচরণ করলে, আপনাকে YouTube পার্টনার প্রোগ্রাম থেকে সরিয়ে দেওয়া বা আপনার চ্যানেল বন্ধ করা হতে পারে। আরও তথ্যের জন্য YouTube এর AdSense নীতি দেখুন।

এছাড়াও, ক্রিয়েটরদের কোনও আর্থিক অপব্যবহারমূলক আচরণে যুক্ত থেকে ব্যবহারকারী বা YouTube-কে বিভ্রান্ত করা উচিত নয়, যেমন বেআইনি, জাল বা প্রতারণামূলক ট্রানজ্যাকশনের জন্য আমাদের মনিটাইজেশন ফিচার ব্যবহার করা। আপনি এই নীতি লঙ্ঘন করলে, আপনাকে YouTube পার্টনার প্রোগ্রাম থেকে সরিয়ে দেওয়া বা আপনার চ্যানেল বন্ধ করা হতে পারে।

YouTube যেভাবে মনিটাইজেশন নীতি এনফোর্স করে-

YouTube থেকে উপার্জন করেন এমন যেকোন ব্যক্তিকে অবশ্যই YouTube চ্যানেল মনিটাইজেশন সংক্রান্ত নীতি মেনে চলতে হবে। আপনি YouTube কোনও একটি নীতি লঙ্ঘন করলে, YouTube নিচে উল্লেখ করা কাজগুলি করতে পারে।

  • উইথহোল্ড, অ্যাডজাস্ট করা, আবার চার্জ করা বা উপার্জন অথবা পেমেন্ট অফসেট করাঃ আপনার কোন উপার্জন YouTube চ্যানেল মনিটাইজেশন সংক্রান্ত নীতি লঙ্ঘনের সাথে সম্পর্কিত হলে YouTube তা উইথহোল্ড বা অ্যাডজাস্ট করতে পারে। এছাড়াও, এখনও পেমেন্ট করা হয়নি এমন AdSense ব্যালেন্স থেকে সংশ্লিষ্ট উপার্জন আবার চার্জ করতে অথবা ভবিষ্যতে পেমেন্ট করা হবে এমন উপার্জন থেকে YouTube সেটি অফসেট করতে পারে।

    এই ধরনের লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে YouTube কিছুটা সময় নিয়ে তদন্ত করে দেখে যে উপার্জন উইথহোল্ড, অ্যাডজাস্ট নাকি অফসেট করা উচিত। এর ফলে পেমেন্ট করতে সর্বাধিক ৯০ দিন অথবা যতদিন না YouTube কোনও থার্ড-পার্টির অধিকার সংক্রান্ত বিরোধের সমাধান করছে ততদিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

    আপনার উপার্জন YouTube উইথহোল্ড বা অ্যাডজাস্ট করতে হবে এমন নীতি লঙ্ঘনের উদাহরণের মধ্যে এগুলি সহ আরও অনেক কিছু পড়ে:

    • আপনার কন্টেন্টে ভুল ট্রাফিক
    • জাল এনগেজমেন্ট
    • Content ID সংক্রান্ত দাবি
    • YouTube এর নীতি এনফোর্স করতে হলে YouTube ইমেল করে বা প্রোডাক্ট মধ্যস্থ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আপনাকে জানাবে। এছাড়া, আপনার কাছে কী কী বিকল্প উপলভ্য আছে সেই বিষয়েও আপনাকে জানানো হবে।
  • আপনার ভিডিওর বিজ্ঞাপন থেকে উপার্জন সীমিত করাঃ YouTube পার্টনার প্রোগ্রামের মেম্বার হিসেবে আপনি উপযুক্ত ভিডিওর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন থেকে উপার্জন করতে পারবেন, তবে এর জন্য YouTube এর বিজ্ঞাপনদাতার-অনুকূল কন্টেন্টের নির্দেশিকা মেনে ভিডিও তৈরি করতে হবে। তবে, যদি দেখা যায় যে আপনার ভিডিও YouTube এর বিজ্ঞাপনদাতার-অনুকূল কন্টেন্টের নির্দেশিকা মেনে চলছে না অথবা সেটি YouTube এর অন্য কোনও নীতি যেমন বয়স সংক্রান্ত বিধিনিষেধ বা কপিরাইট সংক্রান্ত নির্দেশিকা লঙ্ঘন করেছে, তাহলে YouTube ভিডিও বিজ্ঞাপন থেকে সীমিত উপার্জন করবে বা কোনও উপার্জন করবে না।
  • YouTube পার্টনার প্রোগ্রামে আপনার অংশগ্রহণ সাসপেন্ড করাঃ YouTube চ্যানেল মনিটাইজেশন সংক্রান্ত নীতি লঙ্ঘন করলে, আপনার সব বা যেকোনও অ্যাকাউন্টে মনিটাইজেশনের সুবিধা সাসপেন্ড করা বা স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। YouTube যদি আপনার চ্যানেলে মনিটাইজেশনের সুবিধা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়, সেক্ষেত্রে আপনার চ্যানেলে YouTube পার্টনার প্রোগ্রামের সাথে যুক্ত আর কোনও মনিটাইজেশন টুল, ফিচার ও মডিউলের অ্যাক্সেস থাকবে না। আপনি ক্রিয়েটর সহায়তা টিমের সাথে যোগাযোগ করে যেকোনও সময় নির্দিষ্ট কোনও মনিটাইজেশন মডিউল থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন।

    ডেটার রেকর্ড রাখাঃ YouTube-এর সাথে আপনার মনিটাইজেশন চুক্তি বাতিল করে দেওয়া হলেও, ক্রিয়েটর সহায়তা টিমের সাথে যোগাযোগ করে আপনি যখন এই প্রোগ্রামের অংশ ছিলেন তখনকার YouTube Analytics ডেটা চাইতে পারবেন।

  • আপনার YouTube চ্যানেল সাসপেন্ড করা বা বন্ধ করে দেওয়াঃ YouTube নীতি এনফোর্স করতে হলে YouTube ইমেল করে বা প্রোডাক্ট মধ্যস্থ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আপনাকে জানাবে। এছাড়াও, আপনার কাছে কী কী বিকল্প উপলভ্য আছে সেই বিষয়ে আপনাকে জানানো হবে।

আপনাকে প্রভাবিত করে এমন সমস্যার বিষয়ে কীভাবে সাহায্য পাবেনঃ

আপনি YouTube পার্টনার প্রোগ্রাম-এ যোগ দিয়ে থাকলে, ক্রিয়েটর সহায়তা টিমের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনি কোনও নির্দিষ্ট সমস্যার সম্মুখীন হলে অথবা ক্রিয়েটর হিসেবে YouTube থেকে সবচেয়ে বেশি সুবিধা কীভাবে পাবেন তার উপায় খুঁজতে চাইলে, YouTube আপনাকে সাহায্য করতে প্রস্তুত:

  • আরও ভালভাবে YouTube ব্যবহার করুন
  • YouTube-এর প্রযুক্তি বা পরিষেবার ব্যাপারে পরামর্শ পান।
  • নীতি ও কপিরাইট সংক্রান্ত নির্দেশিকা কীভাবে মেনে চলবেন তা জানুন
  • অ্যাকাউন্ট ও চ্যানেল ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর পান
  • Content ID ও অধিকার ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করুন
  • আপনার অ্যাকাউন্টে হওয়া সমস্যা সমাধান বা ত্রুটি সংশোধন করুন

আপনি ক্রিয়েটর সহায়তা টিমের সাথে যোগাযোগ করা এবং YouTube ক্রিয়েটর হিসেবে সহায়তা পাওয়া সম্পর্কে আরও বিস্তারিত নির্দেশাবলী পাবেন।

YouTube এর রিলিজ করা সাম্প্রতিক কিছু আপডেট সম্পর্কে জানুন Tuesday, 18th July, 2023

YouTube-এর নীতি আপডেট

মনিটাইজেশন

YouTube Analytics:
YouTube Analytics-এ নতুন ধরনের 'বিভিন্ন ফরম্যাট জুড়ে দর্শক' কার্ড: YouTube Analytics-এর কন্টেন্ট ট্যাবে, এখন দেখতে পাবেন যে আপনার ফিরে আসা দর্শকদের মধ্যে কতজন একাধিক ফরম্যাট দেখেন এবং কতটা বেশি পরিমাণে ওভারল্যাপ করেন। এটি ভিডিও, Shorts ও Live-এ উপলভ্য। 
আরও জানুন।
Studio-তে নতুন শপিং অ্যাফিলিয়েট মেট্রিক: কোনও কম্পিউটার বা মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করে প্ল্যাটফর্মের "উপার্জন করুন" ট্যাবে গেলে, আপনি এখন "অ্যাফিলিয়েট" মেনুর মধ্যে শপিং অ্যাফিলিয়েট সংক্রান্ত আরও ডেটা দেখতে পাবেন। এইসব নতুন মেট্রিক আপনার আনুমানিক উপার্জন, মোট বিক্রি, অর্ডারের সংখ্যা ও প্রোডাক্টের সামগ্রিক পারফর্ম্যান্সের ব্যাপারে একটি ইনসাইট দেবে। আরও জানুন

YouTube Shorts

  • ক্লিপ রিমিক্স করা: আপনি এখন Shorts-এর মধ্যে ক্লিপ রিমিক্স করতে পারবেন। রিমিক্স কন্টেন্ট ব্যবহার করে Shorts তৈরি করা সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন।

 

কমিউনিটি নির্দেশিকা

  • [জুন ২০২৩] ফিচার ব্যবহারের উপযুক্ত হওয়ার বিষয়ে আপডেট: জুলাই থেকে, YouTube কমিউনিটির সুরক্ষার স্বার্থে, চ্যানেলগুলি উন্নত ফিচারে নিজেদের অ্যাক্সেস বজায় রাখতে চাইলে তাদের কমিউনিটি নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে। যেসব চ্যানেলের অ্যাক্সেস সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তারা নিজেদের চ্যানেলের ইতিহাস তৈরি করে বা যাচাইকরণ সম্পূর্ণ করে অ্যাক্সেস ফেরত পেতে পারে। 

প্রোডাক্ট ও ফিচার সংক্রান্ত নীতি

  • [জুন ২০২৩] 'স্টোরি' ফিচার সম্পর্কিত আপডেট: ২৬ জুন, ২০২৩ থেকে YouTube-এ 'স্টোরি' ফিচারটি আর কাজ করবে না। 'স্টোরি' তৈরির বিকল্পটি ক্রিয়েটরদের কাছে আর উপলভ্য হবে না। 
আপনি কি ধরনের কন্টেন্ট YouTube এ মনিটাইজ করতে পারবেন? Tuesday, 18th July, 2023

আপনার ভিডিও কন্টেন্ট মনিটাইজেশনের জন্য উপযুক্ত হিসেবে বিবেচিত হতে সেটির সব ভিজ্যুয়াল ও অডিও এলিমেন্ট ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহার করার অধিকার আপনার কাছে থাকতে হবে।

আপনার তৈরি করা কন্টেন্টের জন্য নির্দেশিকা:

  • YouTube-এর কমিউনিটি নির্দেশিকা মেনে চলুন।
  • আপনার ভিডিওর সব এলিমেন্ট নিজে তৈরি করুন। এখানে কিছু উদাহরণ দেওয়া হল:
    • দৈনিক ভ্লগ
    • হোম ভিডিও
    • কিছু নিজে করার (DIY) ভিডিও
    • টিউটোরিয়াল
    • আসল মিউজিক ভিডিও
    • আসল শর্ট ফিল্ম
  • আপনার তৈরি করা সব ভিজ্যুয়াল ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহার করার অধিকার আপনার আছে কিনা সেটি দেখুন।
  • এটি মনে রাখবেন যে বিজ্ঞাপনদাতারা বিজ্ঞাপনদাতা-ফ্রেন্ডলি কন্টেন্টে বিজ্ঞাপন দেখানোর ব্যাপারে বেশি আগ্রহী হতে পারেন।

আপনি তৈরি করেননি এমন কন্টেন্টের জন্য নির্দেশিকা:

এগুলি করলে কি আমি ভিডিও মনিটাইজ করতে পারব…?

আপনার কন্টেন্টের ধরন মনিটাইজ করা যায় কিনা এবং সেটি ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহার করার অধিকার যে আপনার আছে, তার প্রমাণ দিতে হয় কিনা তা জানতে নিচে দেখুন-

  • ভিডিওর অধিকার আপনার কাছে থাকলেই আপনার তৈরি করা কন্টেন্ট আপনি মনিটাইজ করতে পারবেন। আপনি কোনও মিউজিক লেবেলের সাথে চুক্তি করে থাকলে, সেটিতে উল্লিখিত সীমাবদ্ধতা বা শর্তাবলীর উপর নির্ভর করে সম্ভবত ভিডিও মনিটাইজ করতে পারবেন। আপনাকে হয়ত অ্যাটর্নির সাথে কথা বলতে হবে।

  • মনিটাইজ করা যায় এমন কন্টেন্ট তৈরি করতে অডিও বা ভিজ্যুয়াল এডিটিং সফ্টওয়্যার ব্যবহার করা যেতে পারে। লাইসেন্সের স্কোপ, সীমাবদ্ধতা ও ব্যবসায়িক অনুমতির উপর মনিটাইজেশন নির্ভর করবে। আপনি কোনও নমুনা বা লুপ ব্যবহার করে থাকলে, সেটি ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহার করা যাবে বলে লাইসেন্সে স্পষ্ঠভাবে উল্লেখ করা আছে কিনা দেখুন।

  • ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহার করা যাবে বলে লাইসেন্সের চুক্তিতে উল্লেখ করা থাকলে, আপনি রয়্যালটি-ফ্রি বা Creative Commons কন্টেন্ট মনিটাইজ করতে পারবেন। কখনও কখনও অধিকারের মালিক, ভিডিওতে ব্যবসায়িক কারণে কন্টেন্ট ব্যবহার করা হলে, কন্টেন্ট ক্রিয়েটরকে স্বীকৃতি দিতে হবে বলে দাবি করেন বা ব্যবহার করার লাইসেন্স কেনাকাটা করার প্রমাণ দিতে বলেন।

  • আপনি সেই ধরনের কন্টেন্ট মনিটাইজ করতে পারেন, কিন্তু আপনার কাছে অধিকারের মালিকের থেকে কন্টেন্ট যেকোনও সময় ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহার করা যাবে বলে স্পষ্টভাবে লিখিত অনুমতি থাকতে হবে।

  • কোনও ভিডিও গেম কন্টেন্ট মনিটাইজ করতে চাইলে, আপনার কাছে ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহার করার অধিকার থাকতে হবে, যা ভিডিও গেম প্রকাশকের দেওয়া লাইসেন্সের মাধ্যমে পাওয়া যাবে। কিছু ভিডিও গেম প্রকাশক আপনাকে সব ভিডিও গেমের কন্টেন্ট ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহার করার অনুমতি দিতে পারেন। তাদের লাইসেন্স সংক্রান্ত চুক্তিতে এই তথ্য কনফার্ম করা থাকতে পারে।

    লাইসেন্স সংক্রান্ত অন্যান্য চুক্তিতে, দীর্ঘক্ষণ ধরে শুধু গেমপ্লে দেখানো হয়েছে এমন ভিডিওর জন্য প্রকাশক ব্যবসায়িক অধিকার নাও দিতে পারেন। লাইসেন্স সংক্রান্ত শর্তাবলীর ক্ষেত্রে, ধারাভাষ্যে নিম্নলিখিত বিষয় না থাকলে, ভিডিও গেমের ব্যবহার খুব কম করতে হবে:

    • নির্দেশমূলক/শিক্ষামূলক গুরুত্ব
    • শুধুমাত্র প্রদর্শিত অ্যাকশনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকেছে
  • আপনার তৈরি করা সফ্টওয়্যার ইউজার ইন্টারফেস কন্টেন্ট মনিটাইজ করা হতে পারে, কিন্তু সেটিও নির্ভর করে সফ্টওয়্যারের লাইসেন্সে ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহারের অধিকার দেওয়া হয়েছে কিনা তার উপর।

    কখনও কখনও আপনাকে প্রকাশকের সাথে চুক্তি করতে অথবা লাইসেন্সিং ফি দিয়েছেন এমন প্রমাণ দেখাতে হতে পারে। ধারাভাষ্যে নিম্নলিখিত বিষয় না থাকলে, সফ্টওয়্যার ইউজার ইন্টারফেসের ব্যবহার খুব কম করতে হবে:

    • নির্দেশমূলক/শিক্ষামূলক গুরুত্ব
      • শুধুমাত্র প্রদর্শিত অ্যাকশনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকেছে
  • কোনও কন্টেন্ট সর্বজনীন ডোমেনে থাকার অর্থ হল যে সেটির কপিরাইটের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে বা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে অথবা সেটি আর প্রযোজ্য হয় না। আপনার ভিডিওর কন্টেন্ট সর্বজনীন ডোমেনে আছে তা প্রমাণ করতে পারলে, আপনি সেটি মনিটাইজ করতে পারবেন।

    মনে রাখবেন: এটি লাইসেন্সের স্কোপ, সীমাবদ্ধতা বা ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহারের অনুমতির উপর নির্ভর করে।

    সর্বজনীন ডোমেনের উপযুক্ত হওয়ার মাপকাঠি অনেক কারণে আলাদা আলাদা হতে পারে।

  • আপনি নিজে কিছু রেকর্ড করলেও, মূল কন্টেন্টের স্রষ্টা বা লেখকের কাছে সেটি ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহার করার অধিকার থাকতে পারে।

    কোনও টিভি শো, ডিভিডি বা সিডির রেকর্ডিং মনিটাইজ করতে, আপনাকে রেকর্ড করা অডিও বা ভিজ্যুয়াল এলিমেন্টের অধিকারের মালিকের থেকে লিখিত অনুমতি নিতে হবে।

  • আপনি কোনও কন্টেন্ট কিনে থাকলেও, সাধারণত মূল কন্টেন্টের স্রষ্টা বা লেখকের কাছে সেটি ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহার করার জন্য প্রয়োজনীয় অধিকাংশ অধিকার থাকে।

    আপনার কাছে কোনও থার্ড-পার্টি কন্টেন্ট ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহার করার জন্য অধিকার না থাকলে, সেটি আপনি কিনলেও মনিটাইজ করতে পারবেন না।

  • আপনি কোনও চার্জ ছাড়াই অনলাইনে কন্টেন্ট খুঁজে পেতে পারেন। তবে সাধারণভাবে, কন্টেন্টের প্রকৃত ক্রিয়েটর ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহার করার জন্য বেশিরভাগ অধিকার সংরক্ষণ করেন।

    আপনি এমন কন্টেন্ট মনিটাইজ করতে চাইলে, তা ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহার করার জন্য সব প্রয়োজনীয় অধিকার আপনার কাছে আছে কিনা দেখুন।

  • YouTube অডিও লাইব্রেরি থেকে নেওয়া মিউজিক আপনি মনিটাইজ করতে পারেন।

  • ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহারকে "ন্যায্য ব্যবহার" হিসেবে বিবেচনা করার সম্ভাবনা কম, কিন্তু ভিডিও মনিটাইজ করা এবং ন্যায্য ব্যবহারের সুবিধাকে কাজে লাগানো যেতে পারে। আরও তথ্য পেতে, YouTube-এ ন্যায্য ব্যবহার শীর্ষক নিবন্ধটি পড়ুন।

এই পৃষ্ঠায় দেওয়া তথ্যগুলি কেবলমাত্র ব্যবহারকারীদের বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্টভাবে জানানোর জন্য দেওয়া হয়েছে এবং এগুলি আইনি পরামর্শ হিসেবে গণ্য হবে না। শুধু উকিল বা আইনি উপদেষ্টার থেকে আপনার আইনি পরামর্শ নেওয়া উচিত।


আমাদের প্রচারাভিযান



চলমান ক্যাম্পেইন

প্রতিবার ১০টি করে দেখানো হচ্ছে
No record found!

উচ্চ মানের ক্যাম্পেইন

প্রতিবার ১০টি করে দেখানো হচ্ছে
No record found!

সম্পন্ন ক্যাম্পেইন

প্রতিবার ১০টি করে দেখানো হচ্ছে
No record found!