ডিজিটাল মার্কেটিং কি? কিভাবে এটি করতে হয়?

20th July, 2023
493



ডিজিটাল মার্কেটিং এর পরিচয়ঃ

ডিজিটাল মার্কেটিং হলো মার্কেটিং প্রক্রিয়ার একটি অংশ যা ইন্টারনেট, মোবাইল ডিভাইস, সম্প্রচার মিডিয়া, এবং অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলির মাধ্যমে কোনও প্রোডাক্ট বা সেবা বা ব্র্যান্ডের প্রচার-প্রসার করে। এটি অনলাইন পাবলিসিটি, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেল মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO), পেই-পার-ক্লিক (PPC) বিজনেস এবং অন্যান্য সামগ্রিক প্রমোশনামূলক ক্যাম্পেইন গুলির উপযুক্ত সমন্বয় প্রযুক্তি সম্পর্কিত।

ডিজিটাল মার্কেটিং অনেকগুলি প্রযুক্তির সাথে যুক্ত হতে পারে, যার মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেল মার্কেটিং, বিজনেস ব্লগিং, ওয়েবসাইট অপটিমাইজেশন, কনটেন্ট মার্কেটিং, অনলাইন রেপুটেশন ম্যানেজমেন্ট, ভিডিও মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং, পেই-পার-ক্লিক বিজনেস, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এবং অন্যান্য সাধারণভাবে ব্যবহৃত মার্কেটিং প্রযুক্তির জন্য প্রস্তুতি থাকতে পারে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর উদ্দেশ্যঃ

ডিজিটাল মার্কেটিং এর মূল উদ্দেশ্য হলো মার্কেট সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের সাথে গ্রাহকের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা এবং প্রোডাক্ট বা সেবা কে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করে উচ্চতর বিক্রয় ও সেবা প্রাদানের মাধ্যমে ব্যবসায়ের লাভ বৃদ্ধি করা। এটি স্বাভাবিকভাবে অবদান রেখেই ব্যবসায়ের ডিজিটাল প্রেজেন্স ও অনলাইন গ্রাহক প্রাপ্তি বৃদ্ধি করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। এটি সাধারণভাবে নিম্নলিখিত উদ্দেশ্যগুলি প্রায় সমন্বিত করে:

  1. গ্রাহক প্রাপ্তি (Customer Acquisition): ডিজিটাল মার্কেটিং এর মূল উদ্দেশ্যের মধ্যে গ্রাহক প্রাপ্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রচার-প্রসারের মাধ্যমে ব্যবসায়ের লক্ষ্য নতুন গ্রাহকের কাছে পৌঁছানো এবং তাদের আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করা যাতে তারা কোম্পানির প্রোডাক্ট বা সেবা কে সন্নিবেশক ক্রেতা হিসেবে প্রস্তুত হন।

  2. গ্রাহক মূল্যবানীকরণ (Customer Engagement): ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবসায়ের গ্রাহক সাথে সম্পর্ক স্থাপন এবং মূল্যবানীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেল মার্কেটিং, এবং অন্যান্য মাধ্যমে গ্রাহকের সাথে সক্রিয় ও সাম্প্রদায়িকভাবে সাংযোগ করা হয়, যা তাদের মুল্যবান করে এবং কোম্পানির সাথে সাম্প্রদায়িকভাবে যুক্ত করে।

  3. ব্র্যান্ড প্রচার (Brand Awareness): ডিজিটাল মার্কেটিং দ্বারা ব্যবসায়ের ব্র্যান্ড প্রচার করা হয়। এই প্রক্রিয়াযর মাধ্যমে ব্যবসায়ের ব্র্যান্ড সন্তুষ্টি এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়।

ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে সফলতা কেমন?

ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে সফলতা সম্পর্কে বলা যায় যে, এটি প্রচুর সাফল্য অর্জন করেছে এবং এটি আরও বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করছে। ডিজিটাল মার্কেটিং একটি দ্বিগুণ মাধ্যম, যা ব্যবসায়ের লক্ষ্য গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করে এবং তাদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে। এই কারণে ব্যবসায়ের লাভ বৃদ্ধির উপায় হিসেবে ডিজিটাল মার্কেটিং প্রচুর গুরুত্ব প্রাপ্ত হয়েছে। কিছু কারণ নিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে সফলতা সম্পর্কে কথা বলা যায়:

  1. সাম্প্রদায়িকভাবে টার্গেট করা: ডিজিটাল মার্কেটিং প্রযুক্তিগুলি ব্যবসায়ের টার্গেট পাবলিকের দিকে সম্প্রদায়িকভাবে নির্দিষ্ট করার সুযোগ সরবরাহ করে। এটি অনলাইন প্রচার-প্রসার এর মাধ্যমে বিজনেসের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য প্রচার করতে সহায়তা করে, যাতে ব্যবসায়ের কাস্টমার গ্রুপের জন্য বিশেষভাবে প্রোডাক্ট বা সেবা উপলব্ধ করা যায়।

  2. প্রয়োজনীয় ডেটা এবং পরিসংখ্যান: ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবসায়ের সাথে প্রয়োজনীয় ডেটা এবং পরিসংখ্যান উপাত্ত করার সুবিধা রয়েছে। এই উপাত্ত অ্যানালাইসিসের মাধ্যমে ব্যবসায়ের উদ্দেশ্য গ্রাহকদের পছন্দ এবং মার্কেটিং সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা যায়, যা কাস্টমারের সাথে সম্পর্ক করার জন্য দরকারী পরিকল্পনা ও প্রচার-প্রসার ক্যাম্পেইনে ব্যবহৃত হয়।

  3. ক্রিয়েটিভিটি এবং ইনভেস্টমেন্ট: ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে, ব্যবসায়ের ক্রিয়েটিভিটি অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং সেই সাথে বিজ্ঞাপন বা প্রচার-প্রসারের জন্য মূল্যবান সামগ্রী তৈরি করার সুযোগ পাওয়া যায়। 

এই সেক্টরে কারা কাজ করতে পারে?

ডিজিটাল মার্কেটিং একটি ব্রহ্মসংস্কার বিষয় যেখানে বিভিন্ন পেশাদার এবং ক্যারিয়ার উদ্দেশ্যের লোকেরা কাজ করতে পারে। ডিজিটাল মার্কেটিং নেটওয়ার্ক বিশ্বব্যাপী বিস্তার লাভ করেছে। নিচে কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো যারা ডিজিটাল মার্কেটিং ক্ষেত্রে কাজ করতে পারে:

  1. ডিজিটাল মার্কেটিং স্পেশালিস্ট: এই ব্যক্তির কাজ হলো প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের বিপণন এবং বিক্রয় বৃদ্ধি করার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করা, সাইট অপ্টিমাইজেশন, মার্কেটিং অভিযানের প্রকাশনা এবং প্রফাইলিং সহ অন্যান্য কাজ করা।

  2. সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার: সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজাররা কোম্পানির সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলগুলির মার্কেটিং ক্যাম্পেইন পরিচালনা করতে সাহায্য করে। তারা প্রোফাইলে নতুন পোস্ট তৈরি করে, উপযুক্ত সময়ে পোস্ট সমূহ প্রকাশ করে, উত্তর দেয় এবং সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে কার্যক্রম পরিচালনা করে।

  3. কনটেন্ট মার্কেটার: কনটেন্ট মার্কেটাররা উচ্চ মানের সেরা কনটেন্ট তৈরি করে যা কোম্পানির টার্গেট পাবলিকের প্রস্তুতি এবং মার্কেটিং গোলকসেট সাথে মিলে। এটি ব্র্যান্ডের অধীনে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট তৈরি করতে সম্পর্কিত হতে পারে, যেমন ব্লগ পোস্ট, ইমেইল মার্কেটিং কনটেন্ট, ভিডিও, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ইত্যাদি।

  4. এসইও (SEO) স্পেশালিস্ট: এই পেশাদাররা ওয়েবসাইটের জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করে যাতে ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিন মোটরে উপরে প্রদর্শিত হয়।

আশাকরি বিষয়টি আপনার ক্লিয়ার ভাবে বুঝতে পেরেছেন।


আরো কিছু আর্টিকেল



আপনি কি ধরনের কন্টেন্ট YouTube এ মনিটাইজ করতে পারবেন? Tuesday, 18th July, 2023

আপনার ভিডিও কন্টেন্ট মনিটাইজেশনের জন্য উপযুক্ত হিসেবে বিবেচিত হতে সেটির সব ভিজ্যুয়াল ও অডিও এলিমেন্ট ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহার করার অধিকার আপনার কাছে থাকতে হবে।

আপনার তৈরি করা কন্টেন্টের জন্য নির্দেশিকা:

  • YouTube-এর কমিউনিটি নির্দেশিকা মেনে চলুন।
  • আপনার ভিডিওর সব এলিমেন্ট নিজে তৈরি করুন। এখানে কিছু উদাহরণ দেওয়া হল:
    • দৈনিক ভ্লগ
    • হোম ভিডিও
    • কিছু নিজে করার (DIY) ভিডিও
    • টিউটোরিয়াল
    • আসল মিউজিক ভিডিও
    • আসল শর্ট ফিল্ম
  • আপনার তৈরি করা সব ভিজ্যুয়াল ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহার করার অধিকার আপনার আছে কিনা সেটি দেখুন।
  • এটি মনে রাখবেন যে বিজ্ঞাপনদাতারা বিজ্ঞাপনদাতা-ফ্রেন্ডলি কন্টেন্টে বিজ্ঞাপন দেখানোর ব্যাপারে বেশি আগ্রহী হতে পারেন।

আপনি তৈরি করেননি এমন কন্টেন্টের জন্য নির্দেশিকা:

এগুলি করলে কি আমি ভিডিও মনিটাইজ করতে পারব…?

আপনার কন্টেন্টের ধরন মনিটাইজ করা যায় কিনা এবং সেটি ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহার করার অধিকার যে আপনার আছে, তার প্রমাণ দিতে হয় কিনা তা জানতে নিচে দেখুন-

  • ভিডিওর অধিকার আপনার কাছে থাকলেই আপনার তৈরি করা কন্টেন্ট আপনি মনিটাইজ করতে পারবেন। আপনি কোনও মিউজিক লেবেলের সাথে চুক্তি করে থাকলে, সেটিতে উল্লিখিত সীমাবদ্ধতা বা শর্তাবলীর উপর নির্ভর করে সম্ভবত ভিডিও মনিটাইজ করতে পারবেন। আপনাকে হয়ত অ্যাটর্নির সাথে কথা বলতে হবে।

  • মনিটাইজ করা যায় এমন কন্টেন্ট তৈরি করতে অডিও বা ভিজ্যুয়াল এডিটিং সফ্টওয়্যার ব্যবহার করা যেতে পারে। লাইসেন্সের স্কোপ, সীমাবদ্ধতা ও ব্যবসায়িক অনুমতির উপর মনিটাইজেশন নির্ভর করবে। আপনি কোনও নমুনা বা লুপ ব্যবহার করে থাকলে, সেটি ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহার করা যাবে বলে লাইসেন্সে স্পষ্ঠভাবে উল্লেখ করা আছে কিনা দেখুন।

  • ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহার করা যাবে বলে লাইসেন্সের চুক্তিতে উল্লেখ করা থাকলে, আপনি রয়্যালটি-ফ্রি বা Creative Commons কন্টেন্ট মনিটাইজ করতে পারবেন। কখনও কখনও অধিকারের মালিক, ভিডিওতে ব্যবসায়িক কারণে কন্টেন্ট ব্যবহার করা হলে, কন্টেন্ট ক্রিয়েটরকে স্বীকৃতি দিতে হবে বলে দাবি করেন বা ব্যবহার করার লাইসেন্স কেনাকাটা করার প্রমাণ দিতে বলেন।

  • আপনি সেই ধরনের কন্টেন্ট মনিটাইজ করতে পারেন, কিন্তু আপনার কাছে অধিকারের মালিকের থেকে কন্টেন্ট যেকোনও সময় ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহার করা যাবে বলে স্পষ্টভাবে লিখিত অনুমতি থাকতে হবে।

  • কোনও ভিডিও গেম কন্টেন্ট মনিটাইজ করতে চাইলে, আপনার কাছে ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহার করার অধিকার থাকতে হবে, যা ভিডিও গেম প্রকাশকের দেওয়া লাইসেন্সের মাধ্যমে পাওয়া যাবে। কিছু ভিডিও গেম প্রকাশক আপনাকে সব ভিডিও গেমের কন্টেন্ট ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহার করার অনুমতি দিতে পারেন। তাদের লাইসেন্স সংক্রান্ত চুক্তিতে এই তথ্য কনফার্ম করা থাকতে পারে।

    লাইসেন্স সংক্রান্ত অন্যান্য চুক্তিতে, দীর্ঘক্ষণ ধরে শুধু গেমপ্লে দেখানো হয়েছে এমন ভিডিওর জন্য প্রকাশক ব্যবসায়িক অধিকার নাও দিতে পারেন। লাইসেন্স সংক্রান্ত শর্তাবলীর ক্ষেত্রে, ধারাভাষ্যে নিম্নলিখিত বিষয় না থাকলে, ভিডিও গেমের ব্যবহার খুব কম করতে হবে:

    • নির্দেশমূলক/শিক্ষামূলক গুরুত্ব
    • শুধুমাত্র প্রদর্শিত অ্যাকশনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকেছে
  • আপনার তৈরি করা সফ্টওয়্যার ইউজার ইন্টারফেস কন্টেন্ট মনিটাইজ করা হতে পারে, কিন্তু সেটিও নির্ভর করে সফ্টওয়্যারের লাইসেন্সে ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহারের অধিকার দেওয়া হয়েছে কিনা তার উপর।

    কখনও কখনও আপনাকে প্রকাশকের সাথে চুক্তি করতে অথবা লাইসেন্সিং ফি দিয়েছেন এমন প্রমাণ দেখাতে হতে পারে। ধারাভাষ্যে নিম্নলিখিত বিষয় না থাকলে, সফ্টওয়্যার ইউজার ইন্টারফেসের ব্যবহার খুব কম করতে হবে:

    • নির্দেশমূলক/শিক্ষামূলক গুরুত্ব
      • শুধুমাত্র প্রদর্শিত অ্যাকশনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকেছে
  • কোনও কন্টেন্ট সর্বজনীন ডোমেনে থাকার অর্থ হল যে সেটির কপিরাইটের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে বা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে অথবা সেটি আর প্রযোজ্য হয় না। আপনার ভিডিওর কন্টেন্ট সর্বজনীন ডোমেনে আছে তা প্রমাণ করতে পারলে, আপনি সেটি মনিটাইজ করতে পারবেন।

    মনে রাখবেন: এটি লাইসেন্সের স্কোপ, সীমাবদ্ধতা বা ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহারের অনুমতির উপর নির্ভর করে।

    সর্বজনীন ডোমেনের উপযুক্ত হওয়ার মাপকাঠি অনেক কারণে আলাদা আলাদা হতে পারে।

  • আপনি নিজে কিছু রেকর্ড করলেও, মূল কন্টেন্টের স্রষ্টা বা লেখকের কাছে সেটি ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহার করার অধিকার থাকতে পারে।

    কোনও টিভি শো, ডিভিডি বা সিডির রেকর্ডিং মনিটাইজ করতে, আপনাকে রেকর্ড করা অডিও বা ভিজ্যুয়াল এলিমেন্টের অধিকারের মালিকের থেকে লিখিত অনুমতি নিতে হবে।

  • আপনি কোনও কন্টেন্ট কিনে থাকলেও, সাধারণত মূল কন্টেন্টের স্রষ্টা বা লেখকের কাছে সেটি ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহার করার জন্য প্রয়োজনীয় অধিকাংশ অধিকার থাকে।

    আপনার কাছে কোনও থার্ড-পার্টি কন্টেন্ট ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহার করার জন্য অধিকার না থাকলে, সেটি আপনি কিনলেও মনিটাইজ করতে পারবেন না।

  • আপনি কোনও চার্জ ছাড়াই অনলাইনে কন্টেন্ট খুঁজে পেতে পারেন। তবে সাধারণভাবে, কন্টেন্টের প্রকৃত ক্রিয়েটর ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহার করার জন্য বেশিরভাগ অধিকার সংরক্ষণ করেন।

    আপনি এমন কন্টেন্ট মনিটাইজ করতে চাইলে, তা ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহার করার জন্য সব প্রয়োজনীয় অধিকার আপনার কাছে আছে কিনা দেখুন।

  • YouTube অডিও লাইব্রেরি থেকে নেওয়া মিউজিক আপনি মনিটাইজ করতে পারেন।

  • ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহারকে "ন্যায্য ব্যবহার" হিসেবে বিবেচনা করার সম্ভাবনা কম, কিন্তু ভিডিও মনিটাইজ করা এবং ন্যায্য ব্যবহারের সুবিধাকে কাজে লাগানো যেতে পারে। আরও তথ্য পেতে, YouTube-এ ন্যায্য ব্যবহার শীর্ষক নিবন্ধটি পড়ুন।

এই পৃষ্ঠায় দেওয়া তথ্যগুলি কেবলমাত্র ব্যবহারকারীদের বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্টভাবে জানানোর জন্য দেওয়া হয়েছে এবং এগুলি আইনি পরামর্শ হিসেবে গণ্য হবে না। শুধু উকিল বা আইনি উপদেষ্টার থেকে আপনার আইনি পরামর্শ নেওয়া উচিত।

ডিজিটাল মার্কেটিং কি? কিভাবে এটি করতে হয়? Thursday, 20th July, 2023

ডিজিটাল মার্কেটিং এর পরিচয়ঃ

ডিজিটাল মার্কেটিং হলো মার্কেটিং প্রক্রিয়ার একটি অংশ যা ইন্টারনেট, মোবাইল ডিভাইস, সম্প্রচার মিডিয়া, এবং অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলির মাধ্যমে কোনও প্রোডাক্ট বা সেবা বা ব্র্যান্ডের প্রচার-প্রসার করে। এটি অনলাইন পাবলিসিটি, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেল মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO), পেই-পার-ক্লিক (PPC) বিজনেস এবং অন্যান্য সামগ্রিক প্রমোশনামূলক ক্যাম্পেইন গুলির উপযুক্ত সমন্বয় প্রযুক্তি সম্পর্কিত।

ডিজিটাল মার্কেটিং অনেকগুলি প্রযুক্তির সাথে যুক্ত হতে পারে, যার মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেল মার্কেটিং, বিজনেস ব্লগিং, ওয়েবসাইট অপটিমাইজেশন, কনটেন্ট মার্কেটিং, অনলাইন রেপুটেশন ম্যানেজমেন্ট, ভিডিও মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং, পেই-পার-ক্লিক বিজনেস, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এবং অন্যান্য সাধারণভাবে ব্যবহৃত মার্কেটিং প্রযুক্তির জন্য প্রস্তুতি থাকতে পারে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর উদ্দেশ্যঃ

ডিজিটাল মার্কেটিং এর মূল উদ্দেশ্য হলো মার্কেট সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের সাথে গ্রাহকের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা এবং প্রোডাক্ট বা সেবা কে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করে উচ্চতর বিক্রয় ও সেবা প্রাদানের মাধ্যমে ব্যবসায়ের লাভ বৃদ্ধি করা। এটি স্বাভাবিকভাবে অবদান রেখেই ব্যবসায়ের ডিজিটাল প্রেজেন্স ও অনলাইন গ্রাহক প্রাপ্তি বৃদ্ধি করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। এটি সাধারণভাবে নিম্নলিখিত উদ্দেশ্যগুলি প্রায় সমন্বিত করে:

  1. গ্রাহক প্রাপ্তি (Customer Acquisition): ডিজিটাল মার্কেটিং এর মূল উদ্দেশ্যের মধ্যে গ্রাহক প্রাপ্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রচার-প্রসারের মাধ্যমে ব্যবসায়ের লক্ষ্য নতুন গ্রাহকের কাছে পৌঁছানো এবং তাদের আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করা যাতে তারা কোম্পানির প্রোডাক্ট বা সেবা কে সন্নিবেশক ক্রেতা হিসেবে প্রস্তুত হন।

  2. গ্রাহক মূল্যবানীকরণ (Customer Engagement): ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবসায়ের গ্রাহক সাথে সম্পর্ক স্থাপন এবং মূল্যবানীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেল মার্কেটিং, এবং অন্যান্য মাধ্যমে গ্রাহকের সাথে সক্রিয় ও সাম্প্রদায়িকভাবে সাংযোগ করা হয়, যা তাদের মুল্যবান করে এবং কোম্পানির সাথে সাম্প্রদায়িকভাবে যুক্ত করে।

  3. ব্র্যান্ড প্রচার (Brand Awareness): ডিজিটাল মার্কেটিং দ্বারা ব্যবসায়ের ব্র্যান্ড প্রচার করা হয়। এই প্রক্রিয়াযর মাধ্যমে ব্যবসায়ের ব্র্যান্ড সন্তুষ্টি এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়।

ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে সফলতা কেমন?

ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে সফলতা সম্পর্কে বলা যায় যে, এটি প্রচুর সাফল্য অর্জন করেছে এবং এটি আরও বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করছে। ডিজিটাল মার্কেটিং একটি দ্বিগুণ মাধ্যম, যা ব্যবসায়ের লক্ষ্য গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করে এবং তাদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে। এই কারণে ব্যবসায়ের লাভ বৃদ্ধির উপায় হিসেবে ডিজিটাল মার্কেটিং প্রচুর গুরুত্ব প্রাপ্ত হয়েছে। কিছু কারণ নিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে সফলতা সম্পর্কে কথা বলা যায়:

  1. সাম্প্রদায়িকভাবে টার্গেট করা: ডিজিটাল মার্কেটিং প্রযুক্তিগুলি ব্যবসায়ের টার্গেট পাবলিকের দিকে সম্প্রদায়িকভাবে নির্দিষ্ট করার সুযোগ সরবরাহ করে। এটি অনলাইন প্রচার-প্রসার এর মাধ্যমে বিজনেসের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য প্রচার করতে সহায়তা করে, যাতে ব্যবসায়ের কাস্টমার গ্রুপের জন্য বিশেষভাবে প্রোডাক্ট বা সেবা উপলব্ধ করা যায়।

  2. প্রয়োজনীয় ডেটা এবং পরিসংখ্যান: ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবসায়ের সাথে প্রয়োজনীয় ডেটা এবং পরিসংখ্যান উপাত্ত করার সুবিধা রয়েছে। এই উপাত্ত অ্যানালাইসিসের মাধ্যমে ব্যবসায়ের উদ্দেশ্য গ্রাহকদের পছন্দ এবং মার্কেটিং সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা যায়, যা কাস্টমারের সাথে সম্পর্ক করার জন্য দরকারী পরিকল্পনা ও প্রচার-প্রসার ক্যাম্পেইনে ব্যবহৃত হয়।

  3. ক্রিয়েটিভিটি এবং ইনভেস্টমেন্ট: ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে, ব্যবসায়ের ক্রিয়েটিভিটি অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং সেই সাথে বিজ্ঞাপন বা প্রচার-প্রসারের জন্য মূল্যবান সামগ্রী তৈরি করার সুযোগ পাওয়া যায়। 

এই সেক্টরে কারা কাজ করতে পারে?

ডিজিটাল মার্কেটিং একটি ব্রহ্মসংস্কার বিষয় যেখানে বিভিন্ন পেশাদার এবং ক্যারিয়ার উদ্দেশ্যের লোকেরা কাজ করতে পারে। ডিজিটাল মার্কেটিং নেটওয়ার্ক বিশ্বব্যাপী বিস্তার লাভ করেছে। নিচে কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো যারা ডিজিটাল মার্কেটিং ক্ষেত্রে কাজ করতে পারে:

  1. ডিজিটাল মার্কেটিং স্পেশালিস্ট: এই ব্যক্তির কাজ হলো প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের বিপণন এবং বিক্রয় বৃদ্ধি করার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করা, সাইট অপ্টিমাইজেশন, মার্কেটিং অভিযানের প্রকাশনা এবং প্রফাইলিং সহ অন্যান্য কাজ করা।

  2. সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার: সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজাররা কোম্পানির সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলগুলির মার্কেটিং ক্যাম্পেইন পরিচালনা করতে সাহায্য করে। তারা প্রোফাইলে নতুন পোস্ট তৈরি করে, উপযুক্ত সময়ে পোস্ট সমূহ প্রকাশ করে, উত্তর দেয় এবং সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে কার্যক্রম পরিচালনা করে।

  3. কনটেন্ট মার্কেটার: কনটেন্ট মার্কেটাররা উচ্চ মানের সেরা কনটেন্ট তৈরি করে যা কোম্পানির টার্গেট পাবলিকের প্রস্তুতি এবং মার্কেটিং গোলকসেট সাথে মিলে। এটি ব্র্যান্ডের অধীনে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট তৈরি করতে সম্পর্কিত হতে পারে, যেমন ব্লগ পোস্ট, ইমেইল মার্কেটিং কনটেন্ট, ভিডিও, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ইত্যাদি।

  4. এসইও (SEO) স্পেশালিস্ট: এই পেশাদাররা ওয়েবসাইটের জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করে যাতে ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিন মোটরে উপরে প্রদর্শিত হয়।

আশাকরি বিষয়টি আপনার ক্লিয়ার ভাবে বুঝতে পেরেছেন।

YouTube এর Watch Time মূলত কি? এটি কিভাবে গনানা করা হয়? Thursday, 20th July, 2023

Watch Time হলো একটি YouTube মেট্রিক্স যা বুঝায় যে একজন ভিউয়ার কত সময় ধরে একটি চ্যানেলে ভিডিও দেখেছেন। সরল ভাষায় বলতে গেলে, এটি হলো চ্যানেলে ভিডিও দেখার মোট সময়।

YouTube Watch Time যেভাবে গনান করা হয়ঃ

প্রতিটি ভিডিওর জন্য ওয়াচ টাইম অনুমোদন হয়, আপনি যদি ভিডিওটির কমপক্ষে অন্তত 30 সেকেন্ড বা এর চেয়ে বেশি সময় দেখেন তবে সেই ভিডিওর ওয়াচ টাইম মনে হবে। একই ভিডিওটি বারবার দেখলে ওয়াচ টাইম প্রতি বার যোগ হয় না, শুধুমাত্র মোট ভিডিও দেখা গণ্য হয়।

YouTube Watch Time একটি গুরুত্বপূর্ণ মেট্রিক্স হিসাবে বিবেচিত হয়, কারণ এটি ভিডিও উত্থান ও চ্যানেলের সামর্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। YouTube উপভোগকারীদের মধ্যে ভিডিওর জন্য আপনার মজার কনটেন্ট প্রদান করলে তারা আপনার ভিডিওগুলি বেশি দেখতে আগ্রহী হয় এবং আপনার চ্যানেলে বন্ধুত্বপূর্ণ সাথী হতে পারেন।

YouTube ভিডিও উত্থানের জন্য আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ মেট্রিক্স রয়েছে, যেমন ভিডিও ভিউস, সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা, লাইক এবং কমেন্ট সংখ্যা, ভিডিও শেয়ার সংখ্যা ইত্যাদি। সবগুলি মেট্রিক্স মিলে আপনি আপনার ভিডিওর জন্য একটি সম্পূর্ণ প্রয়োজনীয় উপায় অনুমান করতে পারেন যা আপনার চ্যানেলের সামর্থ্য ও উন্নতি অনুভব করতে সাহায্য করবে।

নিম্নলিখিত কিছু উপায় দ্বারা আপনি YouTube Watch Time বাড়াতে পারেনঃ

  1. উচ্চ মানের কন্টেন্ট তৈরি করুন: ভিউয়ারদের প্রকৃত মজার এবং সম্প্রসারণীয় কন্টেন্ট তৈরি করুন। আপনার ভিডিওর মান, উপকারিতা, শিল্পীত্ব এবং রচনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হওয়া উচ্চ মানের কন্টেন্ট তৈরি করতে সহায়ক হতে পারে।

  2. দীর্ঘ ভিডিও তৈরি করুন: ভিডিওর দৈর্ঘ্যের সাথে একটি সম্পর্ক থাকতে পারে, এটি মান উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। দীর্ঘ ভিডিও হলে, একটি ভিউয়ারের মাঝে আপনার ভিডিওটি পূর্ণভাবে দেখার সুযোগ থাকে, যা আপনার ওয়াচ টাইম বাড়ানোতে সাহায্য করতে পারে।

  3. এইচডি এবং আল্ট্রা এইচডি কোয়ালিটি: ভিডিওগুলি উচ্চ মানের এবং স্পষ্টতা সম্পন্ন হওয়া উচিত, যাতে ভিউয়ারগণ সুন্দর এবং আল্ট্রা এইচডি অভিজ্ঞতা প্রাপ্ত করতে পারে।

  4. স্ট্রিমিং প্ল্যানিং: আপনি যখন ভিডিও আপলোড করছেন, তখন স্ট্রিমিং প্ল্যানিং করুন। ভিডিওগুলি রেগুলারভাবে প্রকাশ করুন যাতে আপনার প্রতিটি ভিডিওর উত্থান স্থিতি থাকে এবং ভিউয়ারগণ নতুন ভিডিও দেখার জন্য আপনার চ্যানেলে ফিরে যান।

  5. ব্র্যান্ডিং এবং প্রচার: আপনার চ্যানেলের ব্র্যান্ডিং ও প্রচারের কাজ করুন। প্রতিটি ভিডিওতে আপনার চ্যানেলের লোগো, প্রচারের কার্ড, এন্ডস্ক্রিন, এবং অন্যান্য মার্কেটিং উপায় ব্যবহার করুন যাতে আপনার ভিউয়ারগণ আপনার অন্যান্য ভিডিওগুলি প্রাপ্ত করতে উৎসাহিত হয়।

YouTube Watch Time কমে যাওয়ার কারণগুলি বিভিন্ন হতে পারে, যেমন-

  1. সুদৃশ্যতা এবং প্রযুক্তিগত সমস্যা: ভিডিওর সুদৃশ্যতা কম হলে সাম্প্রতিক YouTube এলগরিদম আপনার ভিডিওগুলি সংবিধান করতে পারে না, যা Watch Time কমাতে সাহায্য করে। অন্যান্য প্রযুক্তিগত সমস্যার মধ্যে ভিডিও ভিউ অক্ষম করার কারণে প্রযুক্তিগত সমস্যা থাকতে পারে, যা ভিউয়ারদের প্রযুক্তিগত সমস্যা অনুভব করতে সহায়ক হতে পারে।

  2. প্রচার এবং মার্কেটিং অভাব: ভিডিওগুলির প্রচার এবং মার্কেটিং স্ট্রাটেজির অভাব হওয়া সম্ভবতি একটি কারণ হতে পারে। ভিডিওগুলির উপযুক্ত সার্কুলেশন এবং প্রচার না থাকলে ভিউয়ারগণ আপনার ভিডিওগুলি দেখার জন্য অজ্ঞাত থাকতে পারে।

  3. প্রযুক্তিগত বা ভাষার অসম্প্রচীতি: আপনার ভিডিওগুলির বিষয় বা ভাষা আপনার টার্গেট পাবলিকের সাথে সম্প্রচারিত নয় হলে, আপনি আপনার ভিডিও দেখার জন্য প্রযুক্তিগত বা ভাষার সাথে অসম্প্রচারিত হতে পারেন।

  4. ভিডিওর উত্থান করা না: আপনি নতুন ভিডিও তৈরি না করার জন্য প্রচুর সময় বা পরিশ্রম না সরবরাহ করতে পারেন, এটি ভিডিওর উত্থান কমিয়ে আনতে পারে। ভিডিওর প্রচার এবং উত্থান করার জন্য নতুন ভিডিও নিয়ে কাজ করা গুরুত্বপূর্ণ।

  5. প্রযুক্তিগত সমস্যা: ইন্টারনেট সংযোগের সমস্যা, ভিডিও লোড সময়ের বৃদ্ধি, সংযোগ সম্প্রসারণ এবং ভিউয়ারের সাথে অন্যান্য প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে ভিডিও দেখার সময় কমে যাতে পারে।

এই সমস্যার মধ্যে থাকলে, আপনি এই সমস্যার উৎস খুঁজে বের করে তার সমাধান করুন।

ইউটিউব থেকে আয় করার সেরা কিছু উপায়। যা আপনি অনুসরণ করতে পারেন। Saturday, 15th July, 2023

পৃথিবীব্যাপী প্রায় ২৫০ কোটির বেশি মানুষ নিয়মিত ইউটিউবে ভিডিও দেখে থাকেন। প্রত্যেক মিনিটে এই প্ল্যাটফর্মে ৫০০ ঘণ্টা ভিডিও স্ট্রিম হয়। ইউটিউব এখন শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়। সে কথা এখন অনেকেরই জানা। আয়ের অন্যতম মাধ্যম ইউটিউব। জনপ্রিয় এই ভিডিও প্ল্যাটফর্ম থেকে ইউটিউবাররা মাসে কয়েক লাখ মার্কিন ডলার পর্যন্ত রোজগার করে থাকেন। বেকারত্ব থেকে মুক্তি পেয়েছে অনেক ছেলেমেয়ে। চাইলে আপনিও শুরু করতে পারেন। ঘরে বসেই মাসে ইনকাম করতে পারবেন লাখ লাখ টাকা। তাহলে জেনে নিন ইউটিউব থেকে আয় করার সেরা কিছু উপায়-

ইউটিউব থেকে আয় করতে আপনাকেঃ
ইউটিউব থেকে আয় করতে আপনাকে কড়া প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে হবে। প্রথমেই আপনার ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে স্থায়ী দর্শক তৈরি করতে হবে। তবেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন। প্রথমেই আপনাকে কিছু বিষয়ে নজর দিতে হবে। শুধু ভিডিও আপলোড করলেন আর আয় করে ফেললেন বিষয়টা মোটেই এমন নয়। এজন্য আপনাকে নানান বিষয় বুঝে শুনে কাজ করতে হবে। পার করতে হবে কয়েকটি রুলস এবং ফর্মালিটিস।

১. ভিডিও তৈরির আগে আপনার ভিডিও কোন দর্শকদের কাছে নিয়ে যেতে চান তা আগে ঠিক করুন। এরপরে সেই দর্শকদের জন্য ভিডিও তৈরি করে দর্শকদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে। ভিডিও তৈরির আগে উপযুক্ত বিষয় পছন্দ করুন। শুধুমাত্র সেই বিষয়ের উপরেই ভিডিও তৈরি করুন। এর ফলে দর্শকদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে সুবিধা হবে। সেই নির্দিষ্ট বিষয়ে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করুন।

২. একটি ভালো ক্যামেরা, আলো, মাইক্রোফোন আপনার ভিডিয়োকে আরও প্রফেশনাল লুক দিতে পারে। নিয়মিত ভিডিও পোস্ট করতে হবে। প্রত্যেক ভিডিওর সঙ্গে দিতে হবে কি-ওয়ার্ড। নিজের ভিডিও থেকে সোশ্যাল মিডিয়া ও নিজের ব্লগিং ওয়েবসাইটে ট্র্যাফিক নিতে হবে।

৩. ইউটিউব থেকে রোজগারের জন্য চ্যানেলে অন্তত এক হাজার সাবস্ত্রাইবার থাকতে হবে। সাবস্ক্রাইবার প্রতি আপনি কোনো টাকা পাবেন না। তবে যত বেশি সাবস্ক্রাইবার থাকবে রোজগারের সম্ভাবনা ততই বেশি হবে। যেমন ধরুন আপনি যদি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রমোশনাল কাজ করতে চান তবে আপনার চ্যানেলে যত বেশি সাবস্ক্রাইবার থাকবে তত বেশি রোজগার করতে পারবেন।

৪. এক হাজার সাবস্ক্রাইবারের সঙ্গেই আয় শুরুর জন্য বিগত ১২ মাসে প্রয়োজন হবে চার হাজার ঘণ্টা ভিউ। যত বেশি ভিউ পাবেন রোজগারের সম্ভাবনা ততই বাড়তে থাকবে। তবে আপনার ভিডিওর উপরে দেখানো লিঙ্কে ক্লিক করে কেউ সম্পূর্ণ বিজ্ঞাপন দেখলে তবেই রোজগার হবে ইউটিউব থেকে।

৫. তবে শুধুমাত্র ইউটিউবে দেখানো বিজ্ঞাপন থেকে রোজগার করে জীবন চালানো প্রথমে কঠিন হতে পারে। এই কারণে সঙ্গে অন্য কাজ রাখা প্রয়োজন। নিজের চ্যানেলের ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য YouTube Partner Program এ যোগ দিতে পারেন। প্রত্যেক ভিডিও থেকে রোজগারে একটি অংশ কনটেন্ট ক্রিয়েটরের সঙ্গে ভাগ করে নেয় এই ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম।

৬. YouTube Studio থেকে Monitization বিভাগে গিয়ে চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেখানো সিলেক্ট করতে পারবেন। এখানেই ড্যাশবোর্ডে মাসে কত রোজগার হয়েছে দেখে নিতে পারবেন।

৭. একবার প্ল্যাটফর্ম থেকে রোজগার শুরু করলে আপনি YouTube Premium -এ সাইন আপ করতে পারবেন। এই ফিচারে আপনার সাবস্ক্রাইবাররা চাইলে অতিরিক্ত খরচ করে বিজ্ঞাপন ছাড়াই আপনার চ্যানেলের ভিডিও দেখতে পাবে। সাবস্ক্রাইবারদের থেকে রোজগারের দ্বিতীয় পথ হিসাবে কাজ করবেএই YouTube Premium।

৮. বিজ্ঞাপন ছাড়াও আয়ের আরও কিছু উপায় রয়েছে। যেমন ধরুন- মার্চেনইডাইস।টি-শার্ট, কফি মগ, ব্যাগ সহ নিজস্ব মার্চেনডাইস বিক্রি করে ইউটিউব থেকে রোজগার করতে পারবেন। প্রত্যেক ভিডিওর নিচে রাখতে পারবেন মার্চেনডাইস সেলফ।

৯. ফ্যান ফান্ডিংকরতে পারেন। একবার আপনার চ্যানেলে কিছু দর্শক এসে গেলে Patreon, Tipee অথবা Buy Me A Coffee এর মতো ওয়েবসাইট থেকে দর্শকদের কাছ থেকে রোজগার করতে পারবেন।

১০. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আপনার রোজগার আরও বাড়তে পারে। তবে আপনার সঙ্গে কোন ব্র্যান্ডের গাঁটছড়া থাকলে তা ভিডিওতে জানিয়ে দিন।

১১. ভিডিও লাইসেন্সিং করতে পারেন। মনে করুন আপনার কোনো ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে গেলে বিভিন্ন মিডিয়া সেই ভিডিও স্ট্রিম করার জন্য আপনাকে অতিরিক্ত টাকা দেবে। এটাই হচ্ছে ভিডিও লাইসেন্সিং।

১২. চ্যানেল মেম্বারশিপ করতে পারেন। চ্যানেলের মেম্বার হলে দর্শকরা অতিরিক্ত কনটেন্ট পেয়ে যাবেন। এইভাবে বাড়বে আপনার রোজগার। এ ছাড়াও চ্যাট পেমেন্টের মাধ্যমেও ইউটিউব থেকে ভালো আয় করা যায়। যেমন- লাইভ স্ট্রিম। এর সুপার চ্যাটের মাধ্যমে দর্শকদের কাছ থেকে রোজগার করতে পারবেন।

আমরা সবসময় আপনার চ্যানেলের অর্গানিক ভিউ ও সাবস্ক্রাইব পেতে সহায়তা করে থাকি। আপনার Youtube চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব, ভিউ এবং ওয়াচ টাইম বাড়াতে এখনই ডাউনলোড করুন Channel Booster সফটওয়্যার।