ইউটিউব মার্কেটিং কি? এটি কিভাবে করতে হয়? এতে আমাদের লাভ কি?

16th July, 2023
550



অনলাইন মার্কেটিং জগতের ধারণা পাল্টে দিয়েছে ইউটিউব। কয়েক বছর আগে যদি বলা হতো টিভিতে বিজ্ঞাপনই পণ্য প্রচারের অন্যতম সেরা মাধ্যম তখন তা বিশ্বাসযোগ্য ছিল। বর্তমান ডিজিটাল দুনিয়াতে মার্কেটিং এর জন্য ইউটিউব বরং অন্যসব মাধ্যমকে পেছনে ফেলে দিয়েছে। তাই এই সময়ে ইউটিউব মার্কেটিং ব্যবসা প্রচার ও প্রসারের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

পূর্বের মার্কেটিং ধারণায় গ্রাহকের ফিডব্যাক পাওয়ার ব্যাপার ছিলো খুবই সময় সাপেক্ষ। কিন্ত ইউটিউব মার্কেটিং এর ফলাফল খুবই কম সময়ে পাওয়া যায়। গ্রাহকের সাথে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করেছে ইউটিউব মার্কেটিং। ইউটিউব মার্কেটিং এর মাধ্যমে যে কেউ চাইলেই কিছু সঠিক নিয়ম অনুসরণের মাধ্যমে তার ব্যবসা বা পণ্যের মার্কেটিং করতে পারে।

 
ইউটিউব মার্কেটিং কি?
সাধারণত মার্কেটিং হলো কোন পণ্যের প্রচারণা। ইন্টারনেট তথা অনলাইনে যে মার্কেটিং করা হয় তা ডিজিটাল মার্কেটিং নামে পরিচিত। আর ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্যতম শাখা হলো ইউটিউব মার্কেটিং।

অতএব এ কথা বলা যায় যে, ইউটিউব চ্যানেল এ ভিডিও আপলোড এর মাধ্যমে কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পণ্য অথবা সেবার প্রচারণা করার নামই হলো ইউটিউব মার্কেটিং।

এটি দুই ধরণের হতে পারে। নিজে পণ্য বা সেবা সম্পর্কে ভিডিও তৈরি করে আপলোড দিয়ে প্রচার করা অথবা অন্য কারো দ্বারা টাকার বিনিময়ে চাহিদা মাফিক প্রচারণা করানো। সরাসরি ইউটিউব এ টাকা প্রদানের মাধ্যমে ইউটিউব মার্কেটিং করা যায়।

 
কিভাবে করবেন ইউটিউব মার্কেটিং?
এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, ইউটিউব মার্কেটিং কি জানা হয়ে গেলেও কিভাবে করবেন ইউটিউব মার্কেটিং তার ব্যাপারে সঠিক ধারণা না থাকলে ইউটিউব মার্কেটিং করা সম্ভব হবে না। ইউটিউব মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে কতগুলো ধাপ পার হতে হবে। আর তা হলো-

 
নিজের ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করুন
ইউটিউব গুগলের একটি প্রতিষ্ঠান। তাই প্রথমে একটি গুগল অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। যা আমাদের কাছে জিমেইল অ্যাকাউন্ট নামে পরিচিত। এই জিমেইল অ্যাকাউন্ট দিয়ে আপনি সরাসরি ইউটিউব এ সাইন ইন করতে পারবেন। আপনার ব্যবসার ধরণ অনুযায়ী আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারেন।

 
আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি সেটাপ করুন
গুগল অ্যাকাউন্ট এ সাইন ইন করার পর আপনি ইউটিউব এ আপনার ব্র্যান্ড অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারেন। ব্র্যান্ড অ্যাকাউন্ট এর মাধ্যমে আপনি চাইলে পরবর্তীতে চ্যানেলের ইউজার নেম, ব্র্যান্ড নেম ইত্যাদি এডিট করতে পারবেন।

অতপর মাই চ্যানেল অপশনে ক্লিক করুন। তারপর আপনার পছন্দমত বা প্রয়োজনমত নাম দিয়ে ক্রিয়েট চ্যানেল এ ক্লিক করুন। তখন আপনি ব্র্যান্ড অ্যাকাউন্ট করার অনুমতি পাবেন। এরপর আপনি ব্র্যান্ড নেম দিয়ে অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।

তারপর আপনার ব্র্যান্ড অ্যাকাউন্টকে আপনার ব্যবসার ধরণ মতো করে সাজাতে পারেন। আপনি চ্যানেল আইকন ও চ্যানেল আর্ট এর মাধ্যমে আপনার ব্র্যান্ড সম্পর্কে ধারণা দিতে পারবেন। যাতে অন্য ইউজাররা আপনার চ্যানেল ও ব্র্যান্ড সহজে চিনতে ও মনে রাখতে পারে।

 
আপনার ব্যবসা সম্পর্কিত ভিডিও তৈরি করুন
আপনার ইউটিউব চ্যানেল তৈরি ও ব্র্যান্ড সেটাপ করার পরবর্তী ধাপ হচ্ছে আপনার ব্যবসা সম্পর্কিত ভিডিও তৈরি করা। মূলত এই ভিডিও তৈরির মাধ্যমে ইউটিউব মার্কেটিং এর প্রথম ধাপ শুরু হয়। ভিডিও তৈরিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ, এই ভিডিও’র মাধ্যমে গ্রাহকের সামনে আপনার পণ্য বা সেবাটি উপস্থাপন করবেন।

ভিডিও তৈরির ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমেই পরিকল্পনা সাজাতে হবে। ভিডিও এমনভাবে তৈরি করতে হবে যাতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দর্শক আগ্রহ নিয়ে আপনার আপলোড করা ভিডিও দেখে। তারপর পণ্য বা সেবা ক্রয়ের ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে থাকে।

মনে রাখতে হবে, স্বল্প সময়ের ভিডিওর মধ্যে যেন সবাই আপনার ব্যবসা তথা পণ্যের ব্যাপারে বিস্তারিত ধারণা লাভ করতে পারে সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। গবেষণায় দেখা গেছে, ইউটিউব ভিডিওর ক্ষেত্রে কম দৈর্ঘের ভিডিও সর্বাধিক জনপ্রিয়।

আপনার ব্যবসা সম্পর্কিত ভিডিও তৈরিতে সৃজনশীলতার সাথে ভিডিও তৈরি করতে হবে। যাতে ভিডিও কনটেন্ট ইউনিক ও এভারগ্রীন হয়ে থাকে।

 
আপনার ভিডিওগুলো এসইও অপ্টিমাইজড করুন
যত বেশি আপনার ভিডিও ভিউ হবে ততবেশি লাভ আসবে আপনার ইউটিউব চ্যানেল তথা ভিডিও থেকে। এই বিষয়টি সব সময় খেয়াল রাখতে হবে।

এসইও হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। আপনার ওয়েবসাইট অথবা ভিডিও কে প্রথম দিকে আনার জন্য যে কৌশল অবলম্বন করা হয় তাই এসইও।

সাধারণত আমরা গুগল বা ইউটিউব এ কোন বিষয়ে জানতে চাইলে টপিক লিখে সার্চ দিয়ে থাকি। যার কনটেন্ট বা ভিডিও যত বেশি টপিক সম্পর্কিত হয় সেসব আর্টিকেল অথবা ভিডিওগুলো আমাদের সামনে সবার আগে আসে। আর এই সামনে আসার প্রক্রিয়াই হলো এসইও তথা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। তাই আপনার ইউটিউব ভিডিওগুলো এসইও অপ্টিমাইজড করতে হবে।

আপনার ভিডিওগুলো এসইও অপ্টিমাইজ করার জন্য সঠিক ভাবে টাইটেল, ডেসক্রিপশন, ক্যাটাগরি, থাম্বনেইল, ট্যাগ, কীওয়ার্ড ইত্যাদি নির্বাচন করতে হবে। এর ফলে আপনি ন্যাচারাল ও ইউনিক দর্শক পাবেন। পাশাপাশি খুব দ্রুত সময়ে আপনার ভিডিওটি অধিক সংখ্যক ভিউ করবে। আপনার ভিডিওগুলো এসইও অপ্টিমাইজ করার জন্য ইউটিউব এসইও সম্পর্কে আরো জেনে নিতে পারেন।

ভিডিওগুলো ইন্টারনেটে প্রমোট করুন
যে কোন ব্যবসার পণ্য বা সেবার উৎপাদন করার পর আপনাকে প্রচারণার দিকে মনোযোগী হতে হবে। তেমনি আপনার ইউটিউব চ্যানেল ভিডিও তৈরি ও আপলোড করার পর আপনাকে অধিকতর মার্কেটিং এ নজর দিতে হবে। যেহেতু আপনার ব্যবসার চ্যানেল অনলাইন তথা ইন্টারনেটকেন্দ্রিক, তাই ভিডিওগুলো ইন্টারনেটে প্রমোট করুন। এ জন্য আপনাকে কিছু অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করতে হবে।

যেমন: ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, টুইটার, ব্লগ, ওয়েবসাইট ইত্যাদি।

এই সব মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে আপনি ভিডিওগুলো ইন্টারনেটে প্রমোট করতে পারেন। আপনার ভিডিও ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, টুইটার, ব্লগ, ওয়েবসাইট এ শেয়ার দিতে পারেন। যাতে করে এইসব মাধ্যম থেকে আপনার চ্যালেনে দর্শক আসে। এভাবেই আপনার ভিডিওগুলো ইন্টারনেটে প্রমোট করুন। তখন খুব দ্রুত সময়ে আপনার চ্যানেল এ সাবস্ক্রাইবার এবং ভিডিওর দর্শক বৃদ্ধি পাবে।

ইউটিউব অ্যাডস এর ব্যবহার করুন
ইউটিউব এ ভিডিও দর্শক বাড়ানোর অন্যতম মাধ্যম হলো ইউটিউব অ্যাডস। কম সময়ে কম খরচে সুনির্দিষ্ট দর্শক পেতে আপনি ইউটিউব অ্যাডস এর ব্যবহার করুন।

সাধারণত ইউটিউব এ কোন ভিডিও দেখার সময় মাঝে মাঝে বিভিন্ন অ্যাডস দেখতে পাই। ইউটিউব এ টাকার বিনিময়ে আপনার চ্যানেল ও ভিডিওগুলো অ্যাড আকারে প্রমোট করতে পারেন। ইউটিউব অ্যাডস এর ব্যবহার করে আপনি খুব দ্রুত সময়ে কাঙ্খিত দর্শক পেতে পারেন।

 
ইউটিউব মার্কেটিং করে কি লাভ হবে?
ইউটিউব মার্কেটিং করে কি লাভ হবে এই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর পাওয়ার আগে আপনি কিছু তথ্য জেনে নিতে পারেন। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী প্রায় দুই বিলিয়ন ইউজার প্রতিমাসে কমপক্ষে একবারের জন্য হলেও ইউটিউব এ ভিডিও দেখে। ইউটিউব হচ্ছে দ্বিতীয় স্যোশাল মিডিয়া প্লাটফর্ম যাতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের প্রায় ঊনআশি ভাগের ইউটিউব এ অ্যাকাউন্ট রয়েছে।

গুগলের পর ইউটিউব হচ্ছে সর্বাধিক জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন। ইউটিউবে পৃথিবীর একশো এর অধিক দেশের প্রায় আশিটি ভাষার কনটেন্ট রয়েছে। প্রতিদিন প্রায় এক বিলিয়নের বেশি লোক ইউডিটউব এ ভিডিও দেখে। প্রায় ষাট ভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ইউডিটউব চ্যানেল ও ভিডিওর মাধ্যমে তাদের মার্কেটিং পরিচালনা করে। প্রায় সত্তর ভাগের বেশি ইউজার মোবাইল ডিভাইস থেকে ইউটিউবে ভিডিও দেখে। প্রায় নব্বই ভাগ লোক ব্যবসার ব্র্যান্ড ও পণ্য সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা ইউটিউব থেকে পেয়ে থাকে। প্রতি মিনিটে প্রায় তিনশত ঘণ্টার ভিডিও আপলোড হয় ইউটিউবে। প্রায় ষাট ভাগ লোক তথ্য প্রাপ্তির জন্য আর্টিকেল পড়ার চাইতে ভিডিও দেখাকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। তাই বুঝা গেল বর্তমানে ইউটিউব মার্কেটিং করে অবশ্যই লাভ হবে।

আপনারা যদি খেয়াল করে দেখেন, পত্রিকা, টিভিতে বিজ্ঞাপনের মতো এখন ইউটিউব, ফেসবুক, গুগলে বিজ্ঞাপন দেয়া হচ্ছে। আমরা পত্রিকা, টিভির বিজ্ঞাপন গুলোই অনলাইন প্লাটফর্ম এ দেখছি। তাই এ কথা বলা যায় যে, আগামির পৃথিবীতে ব্যবসার পণ্য প্রচার-প্রসার ও বিক্রিতে ইউটিউব মার্কেটিং করে লাভ হবে।

 
ইউটিউব মার্কেটিং এর ৭টি লাভ
উপরের আলোচনার সত্যতা নিরুপণের জন্য ইউটিউব মার্কেটিং এর ৭টি লাভ সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন।

আমরা যদি পণ্যের মার্কেটিং এর মাধ্যম গুলোর দিকে তাকাই, দেখা যাবে টিভি, পত্রিকাতে কখনো বিজ্ঞাপন কমে না। তেমনি ভাবে একই পণ্যের অসংখ্য স্টোর থাকলেও ব্যবসা কমছে না বরং বাড়ছে। তাই অনলাইন মাধ্যমে পণ্যের প্রসার করতে ইউটিউব মার্কেটিং কখনো কমবে না। কারণ, সবাই এখন অনলাইন কেনাকাটায় আগ্রহী হচ্ছে। এর পাশাপাশি দিন দিন নতুন নতুন দর্শক তথা গ্রাহক তৈরি হচ্ছে। তাই বলা যায় যে, নতুন গ্রাহক পাওয়ার ক্ষেত্রে ইউটিউব মার্কেটিং এর চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ভবিষ্যতে আরো তা বেশি হবে।

দেখা যায় যে, নানা ভিডিও কনটেন্ট ভাইরাল হয়ে থাকে। তা যে কোন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে হতে পারে। আপনার ভিডিও যদি কোয়ালিটি কনটেন্ট হয় এবং গ্রাহকের জন্য প্রয়োজনীয় হয়ে থাকে, তখন অন্যদের শেয়ার করার মাধ্যমে কোন ধরণের পেইড মার্কেটিং ছাড়া আপনার ইউটিউব চ্যানেলের মার্কেটিং হতে থাকবে। যার ফলে আপনার ব্যবসা প্রসার লাভ করবে।

আপনার ইউটিউব চ্যানেলে যদি বেশি পরিমাণে দর্শক থাকে, দেশে বিদেশের যে কোন পণ্যের প্রচারে আপনার ইউটিউব চ্যানেল ব্যবহার করে আয় করতে পারেন। যদি লক্ষ্য করে দেখেন, পৃথিবীর সকল প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে।  সেখানে তারা তাদের পণ্য বা সেবার মার্কেটিং করে থাকে। আর এভাবেই আপনার ব্যবসার ব্র্যান্ড ভ্যালু বৃদ্ধি পাবে।

গুগল ও ইউটিউব অ্যাড থেকে আপনি অর্থ আয় করতে পারেন। আপনার ভিডিও তে ইউটিউব অ্যাড প্রদানের মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারেন।

আপনার ভিডিওর যদি একটি নিদির্ষ্ট সংখ্যক দর্শক থাকে, ইউটিউব আপনাকে অর্থ প্রদান করবে।

ফেসবুকে যেমন ফলোয়ার ইউটিউবে তেমনি সাবস্ক্রাইবার। যার যতো বেশি সাবস্ক্রাইবার তার ইউটিউব মার্কেটিং তত লাভজনক ও সহজ। সাবস্ক্রাইবারকে আমারা লয়্যাল গ্রাহক হিসেবে বিবেচনা করতে পারি। যে স্টোর এর পণ্য ভালো লয়্যাল গ্রাহক সবসময় সেখান থেকে পণ্য কিনে থাকে। তেমনি সাবস্ক্রাইবাররা যে কোন পণ্য মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে স্থায়ী গ্রাহক হিসেবে অংশগ্রহণ করে থাকে। ফলে দীর্ঘমেয়াদি ব্যবসা বৃদ্ধিতে সাবস্ক্রাইবাররা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।

আগেই বলা হয়েছে, আর্টিকেল পড়ার চাইতে মানুষ ভিডিও দেখতে আগ্রহী বেশি। আর ভিডিও মার্কেটিং এর জন্য ইউটিউব মার্কেটিং থেকে ভালো কোন মাধ্যম পৃথিবীতে নেই।

ভিডিও কনটেন্ট মার্কেটিং বর্তমানে খুবই সহজ ও জনপ্রিয় মাধ্যম। টাকা খরচ ছাড়াই শুধুমাত্র ইউটিউব মার্কেটিং এর দ্বারা আপনি যে কোন ব্র্যান্ড ও পণ্যের প্রচারণা করতে পারেন।

 

সমাপনিঃ বর্তমান ডিজিটাল পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত অনলাইন মার্কেটিং এর প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে। আর ইউটিউব মার্কেটিং তার নেতৃত্ব দিচ্ছে। আমরা ইউটিউব মার্কেটিং না করতে চাইলেও অন্যরা কিন্তু থেমে নেই। বরং দিন দিন ইউটিউব মার্কেটিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবসা প্রসার লাভ করছে এবং ইউটিউব মার্কেটিং এর চাহিদা বাড়ছে।

তাই আর দেরি না করে ইউটিউব মার্কেটিং এর মাধ্যমে ডিজিটাল দুনিয়াতে আপনার যাত্রা শুরুর মাধ্যমে নিজেকে স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তুলুন।


আরো কিছু আর্টিকেল



YouTube এর রিলিজ করা সাম্প্রতিক কিছু আপডেট সম্পর্কে জানুন Tuesday, 18th July, 2023

YouTube-এর নীতি আপডেট

মনিটাইজেশন

YouTube Analytics:
YouTube Analytics-এ নতুন ধরনের 'বিভিন্ন ফরম্যাট জুড়ে দর্শক' কার্ড: YouTube Analytics-এর কন্টেন্ট ট্যাবে, এখন দেখতে পাবেন যে আপনার ফিরে আসা দর্শকদের মধ্যে কতজন একাধিক ফরম্যাট দেখেন এবং কতটা বেশি পরিমাণে ওভারল্যাপ করেন। এটি ভিডিও, Shorts ও Live-এ উপলভ্য। 
আরও জানুন।
Studio-তে নতুন শপিং অ্যাফিলিয়েট মেট্রিক: কোনও কম্পিউটার বা মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করে প্ল্যাটফর্মের "উপার্জন করুন" ট্যাবে গেলে, আপনি এখন "অ্যাফিলিয়েট" মেনুর মধ্যে শপিং অ্যাফিলিয়েট সংক্রান্ত আরও ডেটা দেখতে পাবেন। এইসব নতুন মেট্রিক আপনার আনুমানিক উপার্জন, মোট বিক্রি, অর্ডারের সংখ্যা ও প্রোডাক্টের সামগ্রিক পারফর্ম্যান্সের ব্যাপারে একটি ইনসাইট দেবে। আরও জানুন

YouTube Shorts

  • ক্লিপ রিমিক্স করা: আপনি এখন Shorts-এর মধ্যে ক্লিপ রিমিক্স করতে পারবেন। রিমিক্স কন্টেন্ট ব্যবহার করে Shorts তৈরি করা সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন।

 

কমিউনিটি নির্দেশিকা

  • [জুন ২০২৩] ফিচার ব্যবহারের উপযুক্ত হওয়ার বিষয়ে আপডেট: জুলাই থেকে, YouTube কমিউনিটির সুরক্ষার স্বার্থে, চ্যানেলগুলি উন্নত ফিচারে নিজেদের অ্যাক্সেস বজায় রাখতে চাইলে তাদের কমিউনিটি নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে। যেসব চ্যানেলের অ্যাক্সেস সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তারা নিজেদের চ্যানেলের ইতিহাস তৈরি করে বা যাচাইকরণ সম্পূর্ণ করে অ্যাক্সেস ফেরত পেতে পারে। 

প্রোডাক্ট ও ফিচার সংক্রান্ত নীতি

  • [জুন ২০২৩] 'স্টোরি' ফিচার সম্পর্কিত আপডেট: ২৬ জুন, ২০২৩ থেকে YouTube-এ 'স্টোরি' ফিচারটি আর কাজ করবে না। 'স্টোরি' তৈরির বিকল্পটি ক্রিয়েটরদের কাছে আর উপলভ্য হবে না। 
YouTube চ্যানেলে ৫০০টি Subscribe হলে আয় করা যাবে? Thursday, 20th July, 2023

ইউটিউব থেকে আয় করার জন্য ইউটিউবের কয়েকটি নিয়ম বা শর্ত অবশ্যই পুরণ করতে হয়। তার মধ্যে প্রধান শর্ত হচ্ছে বিগত ১ বছরে চ্যানেল ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার ও ৪ হাজার ঘন্টা ওয়াচটাইম অথবা শর্ট ভিডিওতে ১০ মিলিয়ন ভিউ অর্জন করতে হয়। অনেকে প্রফেশনালভাবে ইউটিউবিং শুরু করলেও ইউটিউবের এই শর্ত পূরন করতে করতে বছর পর্যন্ত লেগে যায়। যার ফল সরূপ অনেক ক্রিয়েটর হতাস হয়ে ইউটিউব চ্যানেল ছেড়ে দেয়। সেসব কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের কথা মাথা রেখে ইউটিউব অসাধারন এক আপডেট নিয়ে এসেছে। এখন থেকে ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করার জন্য ক্রিয়েটরদের আর ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার ও ৪ হাজার ঘন্টা লাগবে না।

গতকাল ইউটিউবের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ক্রিয়েটদের এমনই সু সংবাদ দিলেন ইউটিউব। ইউটিউবের নতুন এ আপডেটে বলা হয়েছে আগের শর্ত ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার ও ৪ হাজার ঘন্টা ওয়াচটাইমের লাগবে না। এখন থেকে ইউটিউব চ্যানেলে ৫০০ সাবস্ক্রাইবার ও তিন হাজার ঘন্টা ওয়াচটাইম থাকলে চ্যানেল থেকে আয় করা যাবে। আর শর্টস ভিডিওর ক্ষেত্রে ১০ হাজার মিলিয়ন ভিউসের পরিবর্তে ৩ হাজার মিলিয়ন ভিউস পূরন করলেই চ্যানেল মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করা যাবে। এছাড়া ৯০ দিনে কমপক্ষে ৩টি ভিডিও চ্যানেল আপলোড করতে হবে।

ইউটিউবের এই আপডেটে খুশি ছোট ইউটিউবাররা। তাদের মতে এখন তারা ইউটিউবিং করতে আরও উৎসাহিত হবে। তবে এই আপডেট এখন শুধু যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, কানাডা, তাইওয়ান  ও দক্ষিন কোরিয়ায় উন্মুক্ত করা হবে। পরে এটি আসতে আসতে সকল দেশের ক্রিয়েটরদের জন্য চালু করে দেয়া হবে। যারা এখনও মনিটাইজেশনের শর্ত পুরন করতে পারেনি তাদের জন্য ইউটিউবিং করা আরও সহজতর হয়ে গেছে। পাশাপাশি যারা ইউটিউবিং করবে বলে ভাবছেন তারা এখন দ্বীগুন উৎসাহ পেয়ে কাজ করুন । যারা কাজ করবেন বলে ধারনা করছেন , ইউটিউব কতৃপক্ষ।

YouTube এর Watch Time মূলত কি? এটি কিভাবে গনানা করা হয়? Thursday, 20th July, 2023

Watch Time হলো একটি YouTube মেট্রিক্স যা বুঝায় যে একজন ভিউয়ার কত সময় ধরে একটি চ্যানেলে ভিডিও দেখেছেন। সরল ভাষায় বলতে গেলে, এটি হলো চ্যানেলে ভিডিও দেখার মোট সময়।

YouTube Watch Time যেভাবে গনান করা হয়ঃ

প্রতিটি ভিডিওর জন্য ওয়াচ টাইম অনুমোদন হয়, আপনি যদি ভিডিওটির কমপক্ষে অন্তত 30 সেকেন্ড বা এর চেয়ে বেশি সময় দেখেন তবে সেই ভিডিওর ওয়াচ টাইম মনে হবে। একই ভিডিওটি বারবার দেখলে ওয়াচ টাইম প্রতি বার যোগ হয় না, শুধুমাত্র মোট ভিডিও দেখা গণ্য হয়।

YouTube Watch Time একটি গুরুত্বপূর্ণ মেট্রিক্স হিসাবে বিবেচিত হয়, কারণ এটি ভিডিও উত্থান ও চ্যানেলের সামর্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। YouTube উপভোগকারীদের মধ্যে ভিডিওর জন্য আপনার মজার কনটেন্ট প্রদান করলে তারা আপনার ভিডিওগুলি বেশি দেখতে আগ্রহী হয় এবং আপনার চ্যানেলে বন্ধুত্বপূর্ণ সাথী হতে পারেন।

YouTube ভিডিও উত্থানের জন্য আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ মেট্রিক্স রয়েছে, যেমন ভিডিও ভিউস, সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা, লাইক এবং কমেন্ট সংখ্যা, ভিডিও শেয়ার সংখ্যা ইত্যাদি। সবগুলি মেট্রিক্স মিলে আপনি আপনার ভিডিওর জন্য একটি সম্পূর্ণ প্রয়োজনীয় উপায় অনুমান করতে পারেন যা আপনার চ্যানেলের সামর্থ্য ও উন্নতি অনুভব করতে সাহায্য করবে।

নিম্নলিখিত কিছু উপায় দ্বারা আপনি YouTube Watch Time বাড়াতে পারেনঃ

  1. উচ্চ মানের কন্টেন্ট তৈরি করুন: ভিউয়ারদের প্রকৃত মজার এবং সম্প্রসারণীয় কন্টেন্ট তৈরি করুন। আপনার ভিডিওর মান, উপকারিতা, শিল্পীত্ব এবং রচনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হওয়া উচ্চ মানের কন্টেন্ট তৈরি করতে সহায়ক হতে পারে।

  2. দীর্ঘ ভিডিও তৈরি করুন: ভিডিওর দৈর্ঘ্যের সাথে একটি সম্পর্ক থাকতে পারে, এটি মান উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। দীর্ঘ ভিডিও হলে, একটি ভিউয়ারের মাঝে আপনার ভিডিওটি পূর্ণভাবে দেখার সুযোগ থাকে, যা আপনার ওয়াচ টাইম বাড়ানোতে সাহায্য করতে পারে।

  3. এইচডি এবং আল্ট্রা এইচডি কোয়ালিটি: ভিডিওগুলি উচ্চ মানের এবং স্পষ্টতা সম্পন্ন হওয়া উচিত, যাতে ভিউয়ারগণ সুন্দর এবং আল্ট্রা এইচডি অভিজ্ঞতা প্রাপ্ত করতে পারে।

  4. স্ট্রিমিং প্ল্যানিং: আপনি যখন ভিডিও আপলোড করছেন, তখন স্ট্রিমিং প্ল্যানিং করুন। ভিডিওগুলি রেগুলারভাবে প্রকাশ করুন যাতে আপনার প্রতিটি ভিডিওর উত্থান স্থিতি থাকে এবং ভিউয়ারগণ নতুন ভিডিও দেখার জন্য আপনার চ্যানেলে ফিরে যান।

  5. ব্র্যান্ডিং এবং প্রচার: আপনার চ্যানেলের ব্র্যান্ডিং ও প্রচারের কাজ করুন। প্রতিটি ভিডিওতে আপনার চ্যানেলের লোগো, প্রচারের কার্ড, এন্ডস্ক্রিন, এবং অন্যান্য মার্কেটিং উপায় ব্যবহার করুন যাতে আপনার ভিউয়ারগণ আপনার অন্যান্য ভিডিওগুলি প্রাপ্ত করতে উৎসাহিত হয়।

YouTube Watch Time কমে যাওয়ার কারণগুলি বিভিন্ন হতে পারে, যেমন-

  1. সুদৃশ্যতা এবং প্রযুক্তিগত সমস্যা: ভিডিওর সুদৃশ্যতা কম হলে সাম্প্রতিক YouTube এলগরিদম আপনার ভিডিওগুলি সংবিধান করতে পারে না, যা Watch Time কমাতে সাহায্য করে। অন্যান্য প্রযুক্তিগত সমস্যার মধ্যে ভিডিও ভিউ অক্ষম করার কারণে প্রযুক্তিগত সমস্যা থাকতে পারে, যা ভিউয়ারদের প্রযুক্তিগত সমস্যা অনুভব করতে সহায়ক হতে পারে।

  2. প্রচার এবং মার্কেটিং অভাব: ভিডিওগুলির প্রচার এবং মার্কেটিং স্ট্রাটেজির অভাব হওয়া সম্ভবতি একটি কারণ হতে পারে। ভিডিওগুলির উপযুক্ত সার্কুলেশন এবং প্রচার না থাকলে ভিউয়ারগণ আপনার ভিডিওগুলি দেখার জন্য অজ্ঞাত থাকতে পারে।

  3. প্রযুক্তিগত বা ভাষার অসম্প্রচীতি: আপনার ভিডিওগুলির বিষয় বা ভাষা আপনার টার্গেট পাবলিকের সাথে সম্প্রচারিত নয় হলে, আপনি আপনার ভিডিও দেখার জন্য প্রযুক্তিগত বা ভাষার সাথে অসম্প্রচারিত হতে পারেন।

  4. ভিডিওর উত্থান করা না: আপনি নতুন ভিডিও তৈরি না করার জন্য প্রচুর সময় বা পরিশ্রম না সরবরাহ করতে পারেন, এটি ভিডিওর উত্থান কমিয়ে আনতে পারে। ভিডিওর প্রচার এবং উত্থান করার জন্য নতুন ভিডিও নিয়ে কাজ করা গুরুত্বপূর্ণ।

  5. প্রযুক্তিগত সমস্যা: ইন্টারনেট সংযোগের সমস্যা, ভিডিও লোড সময়ের বৃদ্ধি, সংযোগ সম্প্রসারণ এবং ভিউয়ারের সাথে অন্যান্য প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে ভিডিও দেখার সময় কমে যাতে পারে।

এই সমস্যার মধ্যে থাকলে, আপনি এই সমস্যার উৎস খুঁজে বের করে তার সমাধান করুন।

ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ নীতি সম্পর্কে জানুন Monday, 17th July, 2023

ইউটিউব পর্যালোচকরা আপনার চ্যানেলে যে বিষয়গুলি চেক করে:
তারা আপনার চ্যানেলে সেই সকল কন্টেন্ট গুলো চেক করেন, যে গুলি তাদের নীতি মেনে চলার ক্ষেত্রে আপনার চ্যানেলের স্পষ্ট পরিচয় দেয়। পর্যালোচকদের পক্ষে প্রতিটি ভিডিও চেক করা সম্ভব নয় বলে, তারা আপনার চ্যানেলের নিম্নলিখিত বিষয়গুলির উপর ফোকাস করতে পারেন:

১. মূল থিম
২. সবথেকে বেশি দেখা ভিডিও
৩. লেটেস্ট ভিডিও
৪. দেখার সময়ের সবচেয়ে বেশি অনুপাত
৫. ভিডিওর মেটাডেটা (নাম, থাম্বনেল এবং বিবরণ সহ)

উপরে এমন কন্টেন্টের উদাহরণ দেওয়া আছে যেগুলি YouTube এর পর্যালোচকরা মূল্যায়ন করতে পারেন। মনে রাখবেন যে, আপনার চ্যানেল সম্পূর্ণ YouTube এর নীতি মেনে চলছে কিনা তা দেখার জন্য পর্যালোচকরা চ্যানেলের অন্যান্য অংশ পর্যালোচনা করে দেখতে পারেন।

দর্শক, ক্রিয়েটর এবং বিজ্ঞাপনদাতাদের জন্য YouTube-কে একটি দারুণ কমিউনিটি হিসেবে বজায় রাখতে এইসব নির্দেশিকা সাহায্য করে। YouTube-এর সব ব্যবহারকারীকে YouTube এর কমিউনিটি নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে এবং YouTube এর কমিউনিটি নির্দেশিকা অনুযায়ী আপনাকে সব কন্টেন্ট পোস্ট করতে হবে।

মনিটাইজ করা ক্রিয়েটরের জানা উচিত যে এইসব নির্দেশিকা আলাদাভাবে শুধু আপনার ভিডিওর ক্ষেত্রে নয় বরং আপনার সম্পূর্ণ চ্যানেলের উপর প্রযোজ্য হয়। YouTube-এর কমিউনিটি নির্দেশিকা লঙ্ঘন করে এমন কন্টেন্ট মনিটাইজেশনের জন্য উপযুক্ত নয় এবং তা YouTube থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে।

YouTube পার্টনাররা তাদের ভিডিও মনিটাইজ করার জন্য AdSense-এর মাধ্যমে পেমেন্ট পেয়ে থাকেন। AdSense-এর প্রোগ্রাম নীতি এবং YouTube-এর পরিষেবার শর্তাবলী মেনে চলা নিশ্চিত করুন। AdSense-এর কন্টেন্ট সম্পর্কিত নীতি বিশাল এবং এর মধ্যে Webmaster/Search Console নীতির কোয়ালিটি বিষয়ক নির্দেশিকা অন্তর্ভুক্ত। নিচে, YouTube ক্রিয়েটরদের জন্য সবথেকে বেশি প্রাসঙ্গিক কিছু নীতি আমরা হাইলাইট করেছি।

একাধিক বার ব্যবহার করা কন্টেন্ট

'একাধিক বার ব্যবহার করা' কন্টেন্ট বলতে সেই সমস্ত চ্যানেলকে বোঝায়, যাদের তৈরি ভিডিওগুলির কন্টেন্টে এত মিল যে একই চ্যানেলে একাধিক ভিডিওর মধ্যে পার্থক্য খুঁজতে দর্শকের অসুবিধা হতে পারে। এই নীতির ভিত্তি হল AdSense-এর প্রোগ্রাম নীতির Search Console অংশ। YouTube এটি এমন প্রসঙ্গের সাথে যুক্ত করে যা YouTube ক্রিয়েটরদের জন্য আরও বেশি প্রাসঙ্গিক।

কী ধরনের কন্টেন্ট মনিটাইজ করা যাবে?

মনিটাইজ করা কন্টেন্ট যেন দর্শকদের দেখার জন্য কিছু আবেদনপূর্ণ ও আকর্ষণীয় কন্টেন্ট প্রদান করে তা এই নীতি নিশ্চিত করে। অন্যভাবে বলতে গেলে, সাধারণ দর্শকরা যদি স্পষ্টভাবে বলতে পারেন যে আপনার চ্যানেলের প্রতিটি ভিডিও একে অপরের থেকে আলাদা, তাহলে মনিটাইজ করা যেতেই পারে। আমরা জানি বহু চ্যানেল এমন কন্টেন্ট তৈরি করে যা একই প্যাটার্ন অনুসরণ করে। প্রতিটি ভিডিওর বিষয়বস্তু আলাদা হতে হবে।

কী ধরনের কন্টেন্ট মনিটাইজ করা যাবে তার উদাহরণ (এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত কিন্তু সীমিত নয়):

  • আপনার ভিডিওগুলির শুরু ও শেষ এক হলেও, অধিকাংশ কন্টেন্ট আলাদা
  • একই রকমের কন্টেন্ট, যেখানে প্রতিটি ভিডিও নির্দিষ্টভাবে আপনার ফিচার করা বিষয়বস্তুর কোয়ালিটি সম্পর্কে কথা বলে
  • একই রকম বিষয়ের একাধিক ছোট ক্লিপ একসাথে এডিট করে তাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বোঝান

যে কন্টেন্ট এই নির্দেশিকা লঙ্ঘন করে

কোনও চ্যানেলে একই ধরনের কন্টেন্ট থাকলে, তার ফলে YouTube-এ আবেদনপূর্ণ এবং আকর্ষণীয় ভিডিও দেখতে আসা দর্শকরা হতাশ হতে পারেন। অর্থাৎ, যেসব চ্যানেলে একটি ভিডিও থেকে অন্যটির মধ্যে কন্টেন্টে বিশেষ বৈচিত্র্য নেই সেগুলি মনিটাইজ করা যাবে না। অন্যভাবে বলতে গেলে, আপনার চ্যানেলে এমন কন্টেন্ট থাকলে চলবে না যা একটি মৌলিক টেমপ্লেট ব্যবহার করে অটোমেটিক তৈরি বা প্রোডিউস করা হয়।

কী ধরনের কন্টেন্ট মনিটাইজ করা যাবে না তার উদাহরণ (এই তালিকাটি সম্পূর্ণ নয়):

  • ওয়েবসাইটের টেক্সট বা নিউজ ফিডের মতো আপনার লেখা নয় ও বিশেষভাবে পড়ে শোনানো হচ্ছে এমন কন্টেন্ট
  • গানের পিচ বা লয় পরিবর্তন করা হলেও সেটি আসল গানের সাথে একই আছে
  • একই রকমের রিপিট হওয়া ও খুব কম শিক্ষামূলক গুরুত্ব, ব্যাখ্যা বা বর্ণনা ছাড়া অর্থহীন কন্টেন্ট
  • টেমপ্লেট ভিত্তিক, অনেক বেশি পরিমাণে বা প্রোগ্রামের মাধ্যমে জেনারেট করা কন্টেন্ট
  • খুব কম শিক্ষামূলক গুরুত্ব, ব্যাখ্যা বা বর্ণনা সহ বা সেটি ছাড়া ছবির স্লাইডশো অথবা স্ক্রল করছে এমন টেক্সট

একাধিক বার ব্যবহার করা কন্টেন্ট

'একাধিক বার ব্যবহার করা' কন্টেন্ট বলতে সেই সমস্ত চ্যানেলের কাজের কথা বলা হয়, যারা অন্য কারও তৈরি করা কন্টেন্ট নতুন কোনও উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে চায়, কিন্তু তার মধ্যে নিজের তৈরি কিছু উল্লেখযোগ্য ব্যাখ্যা বা শিক্ষামূলক গুরুত্ব যোগ করে না। এই নীতি AdSense-এর প্রোগ্রাম নীতির Search Console অংশ থেকে নেওয়া হয়েছে। YouTube এটি এমন প্রসঙ্গের সাথে যুক্ত করে যা YouTube ক্রিয়েটরদের জন্য আরও বেশি প্রাসঙ্গিক।

কী ধরনের কন্টেন্ট মনিটাইজ করা যাবে?

এই নীতির লক্ষ্য হল যেসব ক্রিয়েটর মৌলিক ও নির্ভরযোগ্য কন্টেন্ট তৈরি করে দর্শকদের মূল্যবান কিছু প্রদান করেন তাদের স্বীকৃতি দেওয়া। আপনি নিজে তৈরি করেননি এমন কন্টেন্টে কোনও মজার বা বিশ্লেষণমূলক আঙ্গিক যোগ করলে, তার অর্থ হল আপনি কোনওভাবে কন্টেন্টটি রূপান্তরিত করেছেন। আপনার চ্যানেলে এই ধরনের কন্টেন্ট রাখতেই পারেন, তবে আলাদা আলাদা ভিডিওর ক্ষেত্রে কপিরাইট নীতির মতো অন্যান্য নীতি প্রযোজ্য হতে পারে। অন্যভাবে বলতে গেলে, আমরা একাধিক বার ব্যবহার করা কন্টেন্ট তখনই অনুমোদন করি যদি দর্শকরা বলতে পারেন যে আসল ভিডিও এবং আপনার ভিডিওর মধ্যে কোনও অর্থপূর্ণ পার্থক্য আছে।

মনে রাখবেন: এই উদাহরণগুলি একাধিক বার ব্যবহৃত কন্টেন্ট মনিটাইজেশন সংক্রান্ত নীতি লঙ্ঘন না করলেও, কপিরাইটের মতো অন্যান্য নীতি প্রযোজ্য হবে।

কী ধরনের কন্টেন্ট মনিটাইজ করা যাবে তার উদাহরণ (এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত কিন্তু সীমিত নয়):

  • সমালোচনামূলক পর্যালোচনার জন্য ক্লিপ ব্যবহার করা
  • কোনও সিনেমার এমন একটি দৃশ্য যেখানে আপনি সংলাপ নতুন করে লিখেছেন এবং ভয়েসওভার পরিবর্তন করেছেন
  • কোনও স্পোর্টস টুর্নামেন্টের রিপ্লে যেখানে প্রতিযোগী কী কারণে সফল হয়েছেন আপনি তা ব্যাখ্যা করেছেন
  • প্রতিক্রিয়ামূলক ভিডিও যেখানে আপনি আসল ভিডিওর উপরে মন্তব্য করেছেন
  • অন্য কোনও ক্রিয়েটরের এডিট করা ফুটেজ যেখানে আপনি গল্প বা মন্তব্য যোগ করেছেন
  • Shorts-এ রিমিক্স করা কন্টেন্ট যেখানে আপনার লাইব্রেরির কোনও গানের সাথে আপনি মৌলিক কন্টেন্ট বা অন্য কোনও ভিডিওর মৌলিক অডিও বা ভিডিও যোগ করেছেন

যে কন্টেন্ট এই নির্দেশিকা লঙ্ঘন করে

অন্য কোনও ব্যক্তির কন্টেন্ট নিয়ে, সেটিতে খুব কম পরিবর্তন করে এবং সেটিকে নিজের আসল কন্টেন্ট বলে দাবি করলে এই নির্দেশিকা লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে বিবেচনা করা হবে। আপনার কাছে আসল ক্রিয়েটরের অনুমতি থাকলেও এই নীতি প্রযোজ্য হবে। একাধিক বার ব্যবহার করা কন্টেন্ট, YouTube-এর কপিরাইট এনফোর্সমেন্ট থেকে আলাদা, যার অর্থ হল, এটি কপিরাইট, অনুমতি বা ন্যায্য ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে করা হয়নি। এই নির্দেশিকার অর্থ হল কোনও কোনও ক্ষেত্রে, আপনি নিজের কন্টেন্টের জন্য দাবি নাও পেতে পারেন, তবে আপনার চ্যানেল, কন্টেন্ট একাধিকবার ব্যবহার করা সংক্রান্ত নির্দেশিকা লঙ্ঘন করতে পারে।

কী ধরনের কন্টেন্ট মনিটাইজ করা যাবে তার আরও উদাহরণ (এই তালিকাটি সম্পূর্ণ নয়):

  • আপনার পছন্দের শো থেকে খুব কম বিবরণ বা সেটি ছাড়া একসাথে এডিট করা বিভিন্ন মুহূর্তের ক্লিপ
  • অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট থেকে সংকলিত ছোট ভিডিও
  • বিভিন্ন শিল্পীর গানের সংগ্রহ (আপনার কাছে তাদের অনুমতি থাকলেও)
  • এমন কন্টেন্ট যা অন্য ক্রিয়েটররা বহুবার আপলোড করেছেন
  • অন্য ব্যক্তির কন্টেন্টের অংশ (আপনার কাছে তাদের অনুমতি থাকলেও)

আশা করছি আপনার বিষয়টি বুজতে পেরেছেন। এরকম আরো সুন্দর সুন্দর পোস্ট পেতে আমাতে ওয়েবসাইটে প্রতিদিন ভিজিট করুন এবং আপনার মতামত জানান।