ইউটিউবে কত ভিউসে কত ডলার ইনকাম হয়? বিস্তারিত জানুন এই পেষ্টে-

20th July, 2023
1150



আপনি যদি ইউটিউবার হয়ে থাকেন আপনার ইউটিউব চ্যানেল যদি সদ্য মনিটাইজেশন পেয়ে থাকে অথবা আর কয়েক দিনের মধ্যে আপনার চ্যানেল মনিটাইজেশন পাবে আপনার ইনকাম শুরু হয়ে যাবে ঠিক সেই মূহুর্তে আপনি জানতে চাইবেন ইউটিউব থেকে প্রতি ১০০০ ভিউসে কত টাকা ইনকাম হয়। কারন যেহেতু মনিটাইজেশন পাওয়ার পর প্রথম অবস্থায় আপনার ইনকাম কম হবে আপনি চাইবেন বেশি ভিউস আনতে আর অবশ্যই সেটা যেন কমপক্ষে ১০০০ ভিউস হয়। আর প্রতি ১০০০ ভিউসের ইনকাম আপনি জানলে আপনার সাপ্তাহিক ও মাসিক একটা হিসেব কষতে পারবেন।

শুধু যে ইউটিউবার হিসেবে আপনার জানা দরকার তাই নয় , ইউটিউবে যারা দর্শক তাদেরও জানার আগ্রহ থাকে একজন ইউটিউবারের মাসিক আয় কত টাকা । তাই আজকে আপনার ১০০০ ভিউসের ইনকাম সম্পর্কে একটা ধারনা দেবো ।

তার আগে আমি আপনাকে বলবো আপনি বাংলাদেশে যত বড় বড় ইউটিউব চ্যানেল আছে তাদের মাসিক ইনকাম কত হয় সেটা একবার দেখে আসুন । তাহলে আমার দেয়া হিসেবে সাথে আপনি সামঞ্জস্য করতে পারবেন । নিচের দেয়া ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনি যেকোন ইউটিউব চ্যানেলের লিংক দিন । তাহলে সেই চ্যানেলের মাসিক ইনকাম আপনি দেখতে পাবেন ।

প্রদর্শিত ইনকাম শত ভাগ সঠিক না হলে একটু কমে বেশি হতে পারে। আপনি যেকোন একটা মনিটাইসড ইউটিউব চ্যানেলের লিংক কপি করুন । এবার socialblade ওয়েবসাইট প্রবেশ করে চ্যানেল URL paste করুন । আপনি সেই চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার, মাসে কত ভিউ আসে, প্রতি মাসে ইনকাম কত, চ্যানেল বয়স কত সব কিছুই দেখতে পাবেন ।

এবার আসুন জেনে নেয়া যাক ১০০০ ভিউসে কত টাকা ইনকাম হয়?
ইনকাম নির্ভর করে কয়েকটি বিষয়ের উপর। আপনার কোন ভিডিও যদি ১০০ ভিউ অর্জন করে তাহলে ইউটিউবের পক্ষ থেকে আপনাকে 0.30-0.80 (কম বেশি হতে পারে) ডলার দিবে। যদি বাংলাদেশী টাকায় হিসেব করেন তাহলে ২৮৳ থেকে ৮০৳ পর্যন্ত। আপনার চ্যানেল যদি প্রতিদিন  ১০ হাজার ভিউ অর্জন করে তাহলে প্রতিদিন ইনকাম হবে ৭৫০০৳ (0.75*10000)।


আরো কিছু আর্টিকেল



YouTube এর রিলিজ করা সাম্প্রতিক কিছু আপডেট সম্পর্কে জানুন Tuesday, 18th July, 2023

YouTube-এর নীতি আপডেট

মনিটাইজেশন

YouTube Analytics:
YouTube Analytics-এ নতুন ধরনের 'বিভিন্ন ফরম্যাট জুড়ে দর্শক' কার্ড: YouTube Analytics-এর কন্টেন্ট ট্যাবে, এখন দেখতে পাবেন যে আপনার ফিরে আসা দর্শকদের মধ্যে কতজন একাধিক ফরম্যাট দেখেন এবং কতটা বেশি পরিমাণে ওভারল্যাপ করেন। এটি ভিডিও, Shorts ও Live-এ উপলভ্য। 
আরও জানুন।
Studio-তে নতুন শপিং অ্যাফিলিয়েট মেট্রিক: কোনও কম্পিউটার বা মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করে প্ল্যাটফর্মের "উপার্জন করুন" ট্যাবে গেলে, আপনি এখন "অ্যাফিলিয়েট" মেনুর মধ্যে শপিং অ্যাফিলিয়েট সংক্রান্ত আরও ডেটা দেখতে পাবেন। এইসব নতুন মেট্রিক আপনার আনুমানিক উপার্জন, মোট বিক্রি, অর্ডারের সংখ্যা ও প্রোডাক্টের সামগ্রিক পারফর্ম্যান্সের ব্যাপারে একটি ইনসাইট দেবে। আরও জানুন

YouTube Shorts

  • ক্লিপ রিমিক্স করা: আপনি এখন Shorts-এর মধ্যে ক্লিপ রিমিক্স করতে পারবেন। রিমিক্স কন্টেন্ট ব্যবহার করে Shorts তৈরি করা সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন।

 

কমিউনিটি নির্দেশিকা

  • [জুন ২০২৩] ফিচার ব্যবহারের উপযুক্ত হওয়ার বিষয়ে আপডেট: জুলাই থেকে, YouTube কমিউনিটির সুরক্ষার স্বার্থে, চ্যানেলগুলি উন্নত ফিচারে নিজেদের অ্যাক্সেস বজায় রাখতে চাইলে তাদের কমিউনিটি নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে। যেসব চ্যানেলের অ্যাক্সেস সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তারা নিজেদের চ্যানেলের ইতিহাস তৈরি করে বা যাচাইকরণ সম্পূর্ণ করে অ্যাক্সেস ফেরত পেতে পারে। 

প্রোডাক্ট ও ফিচার সংক্রান্ত নীতি

  • [জুন ২০২৩] 'স্টোরি' ফিচার সম্পর্কিত আপডেট: ২৬ জুন, ২০২৩ থেকে YouTube-এ 'স্টোরি' ফিচারটি আর কাজ করবে না। 'স্টোরি' তৈরির বিকল্পটি ক্রিয়েটরদের কাছে আর উপলভ্য হবে না। 
YouTube চ্যানেলে ৫০০টি Subscribe হলে আয় করা যাবে? Thursday, 20th July, 2023

ইউটিউব থেকে আয় করার জন্য ইউটিউবের কয়েকটি নিয়ম বা শর্ত অবশ্যই পুরণ করতে হয়। তার মধ্যে প্রধান শর্ত হচ্ছে বিগত ১ বছরে চ্যানেল ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার ও ৪ হাজার ঘন্টা ওয়াচটাইম অথবা শর্ট ভিডিওতে ১০ মিলিয়ন ভিউ অর্জন করতে হয়। অনেকে প্রফেশনালভাবে ইউটিউবিং শুরু করলেও ইউটিউবের এই শর্ত পূরন করতে করতে বছর পর্যন্ত লেগে যায়। যার ফল সরূপ অনেক ক্রিয়েটর হতাস হয়ে ইউটিউব চ্যানেল ছেড়ে দেয়। সেসব কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের কথা মাথা রেখে ইউটিউব অসাধারন এক আপডেট নিয়ে এসেছে। এখন থেকে ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করার জন্য ক্রিয়েটরদের আর ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার ও ৪ হাজার ঘন্টা লাগবে না।

গতকাল ইউটিউবের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ক্রিয়েটদের এমনই সু সংবাদ দিলেন ইউটিউব। ইউটিউবের নতুন এ আপডেটে বলা হয়েছে আগের শর্ত ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার ও ৪ হাজার ঘন্টা ওয়াচটাইমের লাগবে না। এখন থেকে ইউটিউব চ্যানেলে ৫০০ সাবস্ক্রাইবার ও তিন হাজার ঘন্টা ওয়াচটাইম থাকলে চ্যানেল থেকে আয় করা যাবে। আর শর্টস ভিডিওর ক্ষেত্রে ১০ হাজার মিলিয়ন ভিউসের পরিবর্তে ৩ হাজার মিলিয়ন ভিউস পূরন করলেই চ্যানেল মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করা যাবে। এছাড়া ৯০ দিনে কমপক্ষে ৩টি ভিডিও চ্যানেল আপলোড করতে হবে।

ইউটিউবের এই আপডেটে খুশি ছোট ইউটিউবাররা। তাদের মতে এখন তারা ইউটিউবিং করতে আরও উৎসাহিত হবে। তবে এই আপডেট এখন শুধু যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, কানাডা, তাইওয়ান  ও দক্ষিন কোরিয়ায় উন্মুক্ত করা হবে। পরে এটি আসতে আসতে সকল দেশের ক্রিয়েটরদের জন্য চালু করে দেয়া হবে। যারা এখনও মনিটাইজেশনের শর্ত পুরন করতে পারেনি তাদের জন্য ইউটিউবিং করা আরও সহজতর হয়ে গেছে। পাশাপাশি যারা ইউটিউবিং করবে বলে ভাবছেন তারা এখন দ্বীগুন উৎসাহ পেয়ে কাজ করুন । যারা কাজ করবেন বলে ধারনা করছেন , ইউটিউব কতৃপক্ষ।

ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং করে আমাদের লাভ কি? Thursday, 20th July, 2023

ফ্রিল্যান্সিং এর পরিচয়ঃ

ফ্রিল্যান্সিং হলো এমন একটি কাজের পদ্ধতি যেখানে একজন ব্যক্তি নিজের সময় ও ক্যাপাসিটির সাথে কোনো প্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট নয় এবং স্বপ্রয়োজনে বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করে টাকা উপার্জন করে। এই পদ্ধতিতে ব্যক্তিরা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বা মাধ্যমে কাজ পেতে পারে, যার মধ্যে উদাহরণ হিসেবে ওয়েবসাইট ডিজাইন, সফটওয়্যার উন্নতি, সামগ্রিক প্রকল্প ব্যবস্থাপনা, ডিজিটাল মার্কেটিং, লেখার জন্য লেখক, প্রোগ্রামিং ও ডেটা এন্ট্রি অন্তর্ভুক্ত থাকে।

এই পদ্ধতিতে ফ্রিল্যান্সার স্বয়ং বসে কাজ করার সুবিধা পায় এবং নির্দিষ্ট প্রকল্প বা কাজের জন্য সময়সীমা নেওয়া হতে পারেন। ফ্রিল্যান্সার আপনার জন্য কাজ পেতে বিভিন্ন সাইট ও প্ল্যাটফর্মে আবেগ করতে পারেন যেমন Upwork, Freelancer, Fiverr, ইত্যাদি।

ফ্রিল্যান্সিং একটি উপযুক্ত পদ্ধতি হতে পারে যেটি উপলব্ধ সময় ব্যবহার করার সুবিধা দেয় এবং আপনার কাজের নির্দিষ্ট দক্ষতা অনুভব ও সুযোগ প্রদান করে। এই পদ্ধতির মাধ্যমে ব্যক্তি নিজের স্বাধীনতা অনুভব করতে পারে এবং লাভবান ক্যারিয়ার উজ্জীবিত করতে পারে।

ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে আপনি কয়েকটি উপকারিতা অর্জন করতে পারেন:

1. স্বাধীনতা: ফ্রিল্যান্সিং আপনাকে স্বয়ং বসে কাজ করার সুযোগ দেয় যার মাধ্যমে আপনি আপনার কাজের সময় ও সম্প্রদায়ের ব্যবস্থা নিজের উপার্জন করতে পারেন।

2. কর্ম উপার্জন: ফ্রিল্যান্সিং করে আপনি মাসিক বেতনের স্থানে প্রকল্প ভিত্তিক ভিত্তিত কাজ করতে পারেন। কার্য সম্পাদন করার প্রতি আপনি বিশেষ মূল্য নির্ধারণ করতে পারেন, যা আপনি নিজের ক্ষমতা এবং মার্কেট মূল্যে ভিত্তি করে সম্পাদন করতে পারেন।

3. বিশেষজ্ঞতা অর্জন: ফ্রিল্যান্সিং আপনার ক্ষমতা এবং বিশেষজ্ঞতা উন্নত করতে সাহায্য করে। আপনি অনুভব এবং দক্ষতা অর্জন করতে সমস্ত প্রকল্পে কাজ করতে পারেন, যা ভবিষ্যতে আপনার ক্যারিয়ারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

4. বিশ্বব্যাপী ক্লায়েন্টবেস: ফ্রিল্যান্সিং আপনাকে বিশ্বব্যাপী ক্লায়েন্টবেস গড়তে সাহায্য করে। আপনি বিভিন্ন দেশের ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করতে পারেন, যা আপনার সীমাবদ্ধতা ছাড়াই আপনার আয় বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

5. সময় ব্যবস্থাপনা: ফ্রিল্যান্সিং আপনাকে নিজের সময় সঠিকভাবে ব্যবহার করতে সাহায্য করে। আপনি কোথাও কাজ করতে পারেন এবং নিজের পছন্দমত সময়ে কাজ করতে পারেন।

যেমনঃ একজন ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে, আপনি ওয়েবসাইট বা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন বানাতে কাজ করতে পারেন এবং নিজের ক্যারিয়ার এবং আয় নির্ধারণ করতে পারেন। এটি স্বাধীনতা এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে যা প্রস্তুতি করতে পারে আপনার ভবিষ্যতের ক্যারিয়ারের জন্য প্রয়োজনীয়।

কিছু কারণের জন্য ফ্রিল্যান্সিং বাংলাদেশে এত প্রচলিত হয়েছে

  1. ইন্টারনেট এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির উন্নতি: বাংলাদেশে ইন্টারনেট এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির উন্নতি দ্বারা সমস্ত মানুষের মাধ্যমে কাজ করার সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি কাজের স্থানে একটি ভ্রমণকারী অনুভব সৃষ্টি করে এবং প্রকল্প সম্পাদন এবং কাজের সাথে কর্মীদের যোগাযোগ করতে সহায়ক হয়েছে।

  2. দক্ষ তালেমার্কেট: বাংলাদেশের দক্ষ তালেমার্কেট এবং দক্ষ কর্মীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন প্রযুক্তিগত কৌশল এবং পেশাদার জ্ঞানের সাথে দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের কাজ নিয়ে বিশেষজ্ঞতা এবং অনুভব দ্বারা ব্যাবস্থা করা সম্ভব হয়েছে।

  3. নিয়োজিত কাজের অভাব: বাংলাদেশে নিয়োজিত কাজের সুযোগ কম আছে এবং নিজের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা চেয়েছে অনেকে। এই কারণে ব্যক্তিগত প্রকল্পে ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে স্বাধীনতা অনুভব করতে প্রত্যাশা করছেন অনেক লোক।

  4. আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম: বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে কাজ করতে পারেন যেমন Upwork, Freelancer, Fiverr, ইত্যাদি। এটি তাদের বিশেষজ্ঞতা এবং সেবা প্রদানের জন্য বিশ্বব্যাপী ক্লায়েন্টবেস এনাবে।

সর্বমোটভাবে বলা যায় যে ফ্রিল্যান্সিং বাংলাদেশে একটি প্রাকৃতিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এটি অনেকের জন্য স্বাধীনতা কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে।

আপনি কি ধরনের কন্টেন্ট YouTube এ মনিটাইজ করতে পারবেন? Tuesday, 18th July, 2023

আপনার ভিডিও কন্টেন্ট মনিটাইজেশনের জন্য উপযুক্ত হিসেবে বিবেচিত হতে সেটির সব ভিজ্যুয়াল ও অডিও এলিমেন্ট ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহার করার অধিকার আপনার কাছে থাকতে হবে।

আপনার তৈরি করা কন্টেন্টের জন্য নির্দেশিকা:

  • YouTube-এর কমিউনিটি নির্দেশিকা মেনে চলুন।
  • আপনার ভিডিওর সব এলিমেন্ট নিজে তৈরি করুন। এখানে কিছু উদাহরণ দেওয়া হল:
    • দৈনিক ভ্লগ
    • হোম ভিডিও
    • কিছু নিজে করার (DIY) ভিডিও
    • টিউটোরিয়াল
    • আসল মিউজিক ভিডিও
    • আসল শর্ট ফিল্ম
  • আপনার তৈরি করা সব ভিজ্যুয়াল ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহার করার অধিকার আপনার আছে কিনা সেটি দেখুন।
  • এটি মনে রাখবেন যে বিজ্ঞাপনদাতারা বিজ্ঞাপনদাতা-ফ্রেন্ডলি কন্টেন্টে বিজ্ঞাপন দেখানোর ব্যাপারে বেশি আগ্রহী হতে পারেন।

আপনি তৈরি করেননি এমন কন্টেন্টের জন্য নির্দেশিকা:

এগুলি করলে কি আমি ভিডিও মনিটাইজ করতে পারব…?

আপনার কন্টেন্টের ধরন মনিটাইজ করা যায় কিনা এবং সেটি ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহার করার অধিকার যে আপনার আছে, তার প্রমাণ দিতে হয় কিনা তা জানতে নিচে দেখুন-

  • ভিডিওর অধিকার আপনার কাছে থাকলেই আপনার তৈরি করা কন্টেন্ট আপনি মনিটাইজ করতে পারবেন। আপনি কোনও মিউজিক লেবেলের সাথে চুক্তি করে থাকলে, সেটিতে উল্লিখিত সীমাবদ্ধতা বা শর্তাবলীর উপর নির্ভর করে সম্ভবত ভিডিও মনিটাইজ করতে পারবেন। আপনাকে হয়ত অ্যাটর্নির সাথে কথা বলতে হবে।

  • মনিটাইজ করা যায় এমন কন্টেন্ট তৈরি করতে অডিও বা ভিজ্যুয়াল এডিটিং সফ্টওয়্যার ব্যবহার করা যেতে পারে। লাইসেন্সের স্কোপ, সীমাবদ্ধতা ও ব্যবসায়িক অনুমতির উপর মনিটাইজেশন নির্ভর করবে। আপনি কোনও নমুনা বা লুপ ব্যবহার করে থাকলে, সেটি ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহার করা যাবে বলে লাইসেন্সে স্পষ্ঠভাবে উল্লেখ করা আছে কিনা দেখুন।

  • ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহার করা যাবে বলে লাইসেন্সের চুক্তিতে উল্লেখ করা থাকলে, আপনি রয়্যালটি-ফ্রি বা Creative Commons কন্টেন্ট মনিটাইজ করতে পারবেন। কখনও কখনও অধিকারের মালিক, ভিডিওতে ব্যবসায়িক কারণে কন্টেন্ট ব্যবহার করা হলে, কন্টেন্ট ক্রিয়েটরকে স্বীকৃতি দিতে হবে বলে দাবি করেন বা ব্যবহার করার লাইসেন্স কেনাকাটা করার প্রমাণ দিতে বলেন।

  • আপনি সেই ধরনের কন্টেন্ট মনিটাইজ করতে পারেন, কিন্তু আপনার কাছে অধিকারের মালিকের থেকে কন্টেন্ট যেকোনও সময় ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহার করা যাবে বলে স্পষ্টভাবে লিখিত অনুমতি থাকতে হবে।

  • কোনও ভিডিও গেম কন্টেন্ট মনিটাইজ করতে চাইলে, আপনার কাছে ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহার করার অধিকার থাকতে হবে, যা ভিডিও গেম প্রকাশকের দেওয়া লাইসেন্সের মাধ্যমে পাওয়া যাবে। কিছু ভিডিও গেম প্রকাশক আপনাকে সব ভিডিও গেমের কন্টেন্ট ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহার করার অনুমতি দিতে পারেন। তাদের লাইসেন্স সংক্রান্ত চুক্তিতে এই তথ্য কনফার্ম করা থাকতে পারে।

    লাইসেন্স সংক্রান্ত অন্যান্য চুক্তিতে, দীর্ঘক্ষণ ধরে শুধু গেমপ্লে দেখানো হয়েছে এমন ভিডিওর জন্য প্রকাশক ব্যবসায়িক অধিকার নাও দিতে পারেন। লাইসেন্স সংক্রান্ত শর্তাবলীর ক্ষেত্রে, ধারাভাষ্যে নিম্নলিখিত বিষয় না থাকলে, ভিডিও গেমের ব্যবহার খুব কম করতে হবে:

    • নির্দেশমূলক/শিক্ষামূলক গুরুত্ব
    • শুধুমাত্র প্রদর্শিত অ্যাকশনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকেছে
  • আপনার তৈরি করা সফ্টওয়্যার ইউজার ইন্টারফেস কন্টেন্ট মনিটাইজ করা হতে পারে, কিন্তু সেটিও নির্ভর করে সফ্টওয়্যারের লাইসেন্সে ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহারের অধিকার দেওয়া হয়েছে কিনা তার উপর।

    কখনও কখনও আপনাকে প্রকাশকের সাথে চুক্তি করতে অথবা লাইসেন্সিং ফি দিয়েছেন এমন প্রমাণ দেখাতে হতে পারে। ধারাভাষ্যে নিম্নলিখিত বিষয় না থাকলে, সফ্টওয়্যার ইউজার ইন্টারফেসের ব্যবহার খুব কম করতে হবে:

    • নির্দেশমূলক/শিক্ষামূলক গুরুত্ব
      • শুধুমাত্র প্রদর্শিত অ্যাকশনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকেছে
  • কোনও কন্টেন্ট সর্বজনীন ডোমেনে থাকার অর্থ হল যে সেটির কপিরাইটের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে বা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে অথবা সেটি আর প্রযোজ্য হয় না। আপনার ভিডিওর কন্টেন্ট সর্বজনীন ডোমেনে আছে তা প্রমাণ করতে পারলে, আপনি সেটি মনিটাইজ করতে পারবেন।

    মনে রাখবেন: এটি লাইসেন্সের স্কোপ, সীমাবদ্ধতা বা ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহারের অনুমতির উপর নির্ভর করে।

    সর্বজনীন ডোমেনের উপযুক্ত হওয়ার মাপকাঠি অনেক কারণে আলাদা আলাদা হতে পারে।

  • আপনি নিজে কিছু রেকর্ড করলেও, মূল কন্টেন্টের স্রষ্টা বা লেখকের কাছে সেটি ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহার করার অধিকার থাকতে পারে।

    কোনও টিভি শো, ডিভিডি বা সিডির রেকর্ডিং মনিটাইজ করতে, আপনাকে রেকর্ড করা অডিও বা ভিজ্যুয়াল এলিমেন্টের অধিকারের মালিকের থেকে লিখিত অনুমতি নিতে হবে।

  • আপনি কোনও কন্টেন্ট কিনে থাকলেও, সাধারণত মূল কন্টেন্টের স্রষ্টা বা লেখকের কাছে সেটি ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহার করার জন্য প্রয়োজনীয় অধিকাংশ অধিকার থাকে।

    আপনার কাছে কোনও থার্ড-পার্টি কন্টেন্ট ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহার করার জন্য অধিকার না থাকলে, সেটি আপনি কিনলেও মনিটাইজ করতে পারবেন না।

  • আপনি কোনও চার্জ ছাড়াই অনলাইনে কন্টেন্ট খুঁজে পেতে পারেন। তবে সাধারণভাবে, কন্টেন্টের প্রকৃত ক্রিয়েটর ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহার করার জন্য বেশিরভাগ অধিকার সংরক্ষণ করেন।

    আপনি এমন কন্টেন্ট মনিটাইজ করতে চাইলে, তা ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহার করার জন্য সব প্রয়োজনীয় অধিকার আপনার কাছে আছে কিনা দেখুন।

  • YouTube অডিও লাইব্রেরি থেকে নেওয়া মিউজিক আপনি মনিটাইজ করতে পারেন।

  • ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহারকে "ন্যায্য ব্যবহার" হিসেবে বিবেচনা করার সম্ভাবনা কম, কিন্তু ভিডিও মনিটাইজ করা এবং ন্যায্য ব্যবহারের সুবিধাকে কাজে লাগানো যেতে পারে। আরও তথ্য পেতে, YouTube-এ ন্যায্য ব্যবহার শীর্ষক নিবন্ধটি পড়ুন।

এই পৃষ্ঠায় দেওয়া তথ্যগুলি কেবলমাত্র ব্যবহারকারীদের বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্টভাবে জানানোর জন্য দেওয়া হয়েছে এবং এগুলি আইনি পরামর্শ হিসেবে গণ্য হবে না। শুধু উকিল বা আইনি উপদেষ্টার থেকে আপনার আইনি পরামর্শ নেওয়া উচিত।